পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

)ఫిసి প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩e৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড কথা কইতিমূ-আজকাল দেখলেই ছুটে পালাস কোন হিসেবে ?” অtয়া কহিল,-"পালাতাম না এখনো—কিন্তু তোমার বর যখন তোমায় আমাদের বাড়ী পর্যন্ত বেড়াতে দিতে 5ान् न, उशन थाभिहे व ८कन सैद्र गरण कथा रु'tइ নিজের মান খোয়াই ।” আল্লার সঠিক উত্তরের আঘাতে নেলীর মুখে কালো ছায়া পড়িল। ঠিক এই সময় বিকাশ বাহির হইতেই বলিয়া উঠিল—“বউদি, কলকাতার কুটুম্ব মশাইরা এসেছেন, দ্বার খোলে ।” আনন্দে উজ্জল হইয়া উঠিয়া শশব্যন্তে দরোজা খুলিয়া দিয়া নেগী অতিথিদের আহবান করিয়া লইল । আগন্তক হিরগ্ন আর স্বধেন্দু। আয় ও নেলী তাহদের দু’জনকেই প্ৰণাম করিয়া পারে ধূলা গইল। আন্না উভয়ের আগ+ গোড়া সাজসজ্জা দেখিয়া লইয়া সপ্রশংসদৃষ্টিতে কহিল— "বাঃ সমস্ত খন্দরের পরেছ যে !” বিকাশ কহিল,—“yes, all খন্দর।” হিরন্ময় কহিল,—“খন্দর আমাদের সর্বস্ব । খদ্দরই গতি, খঙ্গরই মুক্তি।” আয় কহিল,—“একটু আস্তে বল, দাদা-এটা সরকারী হাসপাতালের ভাক্তার সাহেবের বাড়ী।” হিরন্ময় হো হো করিয়া হাসিয়া উঠিয়৷ কহিল, "তা বটে, কিন্তু আমরা ষে খন্দরেরই প্রচারক-সরকারী, বেসরকারী আমাদের স্কুল হ’লে ত ক্ষতি নেই।” বিকাশ কহিল—“আপনাদের ক্ষতি না হ’লেও এক পক্ষের হয়ত মারাত্মক ক্ষতি হ’তে পারে।” স্থধেন্দু কহিল—“আচ্ছা, ওকথা পরে হ'লেও চলবে । এখন নেলি, কেমন আছ, নতুন থোকা কই ? বা দিব্যি ফুটফুটেটি হয়েছে, দ্যাখ্যাধ হিরন্ময়, যেন একটি মোমের পুতুল ঘুমুচ্ছে—উঠলে একটু চটকাতে পারি যে।” হিরন্ময় কঠিল—“পিসিমাতে নেলাকে আর খোকাকে নিয়ে যাবার জন্তে ভারি ব্যস্ত। ডাক্তার সাহেবকে তাই বলতে এসেছি। তারপর আন্না, তুমিও এখানে। বেশ দুই বন্ধু কাছাকাছি আছ, গল্পগুজব খুব চলে বোধ হয়।” বিকাশ কহিল,-"তা খুব চলে। আল্লা বউদিও حاکتنت ভারি ভাল মাতুয, প্রায়ই আমাদের ভাল ভাল পিঠে, খাবার, এইসব তৈরী ক’রে খাওয়ান ।" নেলাঁ সচকিতে কহিল, ”সত্যিইত, আমার একটুও ইস নেই, দাদাদের নিশ্চয় খাওয়া হয়নি। ঠাকুর-পে, তুমি একটু ঠাকুরকে হাসপাতাল থেকে ডেকে দাওনা ভাই ; এক্ষুনি দুটি ভাত চাপিয়ে দিক্‌ ৷” হিরন্ময় কহিল—“ব্যস্ত হবার দরকার নেই ; জলটল খেয়েছি ; একপ্রস্থ আরও খেতেও রাজি আছি । ভাত যে কোনো সময় হ'লেই চলবে। ওহে বিকাশ-বাবু, ডাক্তার কোথায় ?” বিকাশ কহিল, “এখুনি আসবেন-আচ্ছ, আমি ঠাকুরকে ডেকে আনি ।” বিকাশ চলিয়া গেল ! নেলীও আপাততঃ কিছু জলখাবারের বম্বোবস্ত করিতে চলিল। হঠাৎ সেই খাতাখানার দিকে দৃষ্টি পড়ায় স্থধেন্দু কহিল,—“ওহহো, আমার দেওয়৷ সেই খাই খান না ? মনে আছে নেলী, বলেছিলাম খাতাখান ভর্তি ক’রে আবার আমাকেই ফেরত দিতে ?” নেলী ক্ষিপ্ৰহস্তে খাতাখান সরাইয়া ফেলিবার পুর্বেই সেখানি আয়৷ তুলিয়া লইয়। স্থধেন্দুর হাতে দিয়া কহিল, “খাত কবে ভৰ্ত্তি হ’য়ে গেছে, স্থধেন্দু দা । আর সত্যি বলছি, গল্পগুলো এমন চমৎকার । কোনোট পড়লে চোখে জল আসে, কোনোট। পড়লে হাসিতে পেট ফেটে আসে, আবার কোনোটা—” নেলী হতাশ তাবে আমার মুখ চাপিয়া ধরিয়া কহিল,—“কেন আমায় জালাস, আল্লা ?” তারপর সে ছলছল চোখে ঘরের বাহির হইল্পী গেল । সামান্ত কারণে নেলার কণ্ঠে যে করুণমর বাজয় উঠিল, দুই বন্ধুরই কানে তাহ বড় বেম্বর বাজিল, বিস্মিত দৃষ্টতে আয়ার দিকে চাহিয়া স্কধেন্দু কহিল,—“গল্প লিখেছে, তার জন্যে এত লুকোচুরি কিসের তাতো বুঝলাম না । ছেলেবেলাকার পাগলামী এখনো ধায়নি বুঝি ?” আল্লা চুপি চুপি কহিল, “ন, তা ডাক্তারবাবু ওসব পছন্দ কয়েন না । একবার নেগী তাকে আমোদ ক'রে বলেছিল যে, সে মাসিক কাগজে গল্প লিখবে, সে ধ