পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৪৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ఫిలిe সখ হয়েছে আমাকে বিলেত পাঠাবার | আচ্ছা তা ন! হয় কিছুদিন পরেই পাঠাস। আমি বেশী বুড়ো হ’য়ে शांद न !'? কিন্তু গৌরীর নিজের উৎসাহ যতখানি বাড়িয়া যাইতেছিল, আর সকলের কাছে সেই ধরিমাণ উৎসাহ ত সে পাইলই না, বরং নানাদিক্ দিয়া বাধা পাইতে লাগিল। সে পিতামাতার আদরিণী কন্যা হইলেও বাড়ীর বড় মেয়েদের মধ্যে সেই একমাত্র নিঝৰ্কট ; কাজেই সংসারে সকলেই তাহার কাছে একটু সাহায্যপ্রার্থী ছিল। যখন এ ভাবিত, ‘আমার ছেলেট একবার ধরূলে বাচি", সে ভাবিত, ‘আমার সেলাইট একটু শেষ ক’রে দিলে কাল কাজে লাগে’, আর একজন ভাবিত, "ভাড়ারট। একহাতে গোছাচ্ছি একটু এসে হাতও দেয় না, তখন গৌরী বই খাতা লইয়া ঘরের কোণে গিয়া লুকাইলে সকলেই বিরক্ত হইত। নরম করিয়া হইলেও ছুইচার কথা শুনাইতে তাহারা ছাড়িত না । বলিত, “বাবা, আমরা উদয়াস্ত সংসারে হিম্ সিমৃ খেয়ে ম'রে গেলাম, তুষ্ট বেশ আছিস্ ; বিবিটি সেঞ্জে ইস্কুলে গেলি, আবার বাড়ী এসেই নিজের বই মুখে দিয়ে বসলি। শাশুড়ী-ননদের ভয় ত নেই যে কারুর মুখ চেয়ে চলতে হবে।” গৌরীর এই সাধনাকে যে সকলে বিবিয়ানার রূপান্তর মাত্র ভাবিত, ইহাতে অপমানে ও বেদনায় তাহার মনটা একেবারে মুসূড়াইয়া যাইত। সে আগের তুলনায় বেশভূষা অনেক কমই কfরত, কিন্তু প্রতিদিনই ইস্কুল যাইতে হইত বলিয়া পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ন হইলে চালত না । তাছাড়া পোষাক-পরিচ্ছদের যে অঙ্গ গুলি ভদ্রবেশের নামে চলিত, সেগুলির কোনোটি বাদ দিয়াই বা ই স্কুলে যায় কি করিয়া ? তবু সকলের কথায় দুঃখ পাইয়া সে যথাসাধ্য বাহুল্যবর্জিত পোষাক করিয়াই ইস্কুল যাওয়া স্বরু করিল। প্রথম দুই একদিন কেহ কিছু বলিভ না ; কিন্তু শিক্ষয়িত্রী ছাত্রী সকলেরই বিস্মিত দৃষ্টি যে তাহার উপর আসি পড়িত ইহা বুঝিতে গৌরীর দেরী হইত না ; সে লজ্জায় সঙ্কুচিত হইয়া ষাইত । শেষে একদিন একজন মেয়ে তাহাকে ডাকিয়াই বলিল, “দেখ ভাই, তুমি আগে কখনও ইস্কুলে পড়নি, তাই তোমায় ব’লে দিচ্ছি। তোমার মত বড় প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড মেয়েদের এরকম ক'রে ইস্কুলে আসা ভাল দেখায় না। লোকের সাম্নে দিয়ে রাস্তায় গাড়ীতে ওঠ, এখানে এত লোকজনের মধ্যে আস, আমাদের মত কাপড়চোপড় তোমার পরা উচিত।” গেীরীর যেন লজ্জায় মাথা কাটা গেল । সে অঙ্ক মেয়েদের মতই পোষাক-পরিচ্ছদ ধরিল । বাড়ীতে সকলেই বলিতে লাগিল, “গেীরা ইস্কুলে পড়তে গিয়ে দিনকার দিন মেম হ’য়ে উঠছে।" গৌরী নয়টার সময় ই স্কুল যাইত, পাঁচটায় বাড়ী ফিরিত। এই দীর্ঘকালটার ভিতর জলস্পর্শও তাহার করা হইত না । মা সঙ্গে খাবার দিতে চাঙ্গিলে ঠাকুরম পিসিমা বাধা দিতেন ! “ই স্কুলের ঝিগুলো খিরিষ্টান ; তাদের জল খাইয়ে আর অধৰ্ম্মের ভার বাড়িও না।” গৌরী কিছু বলিত না ; কারণ আজকাল সে খাওয়াদাওয়া সম্বন্ধে সকল বিচার মানিয়াই চলিত । ইস্কুলে যে সেলাই শিখাইত, সে ছিল মুসলমান দরজি । “একে পুরুবমাতুষ তাতে মুসলমান-ওর কাছে বিধবা মেয়ে সেলাই শিখবে }” ঠাকুরম গেলেন ক্ষেপিয়া । নানা গোলমালে ইস্কুলে গিয়া পড়াশুনা করা গেীরীর দায় হইয়া উঠিল । গৌরী বলিল, “আমি বোডিঙ গিয়ে থাকৃব ; বাড়ীতে আমার পড়াশুনা হয় না।” ঠাকুরমা বলিলেন, “ওম, সেখানে ছত্রিশ জাতের সঙ্গে তুষ্ট খাবি দাবি কি ক’রে । একেবারেই কি ८६८लछ् ट्'tग्न ॐ(ल ?” শুধু এই সামান্ত কারণে মা বোনকে চটাইতে হরিকেশব চাহিলেন না । গৌরীকে আর কোথাও রাখা যায় কি না চেষ্টা দেখিতে লাগিলেন। অনেক কষ্টে এক হিন্দুবিধবাশ্রমে জায়গা পাওয়া গেল । সেখান হইতে ইস্কুলে পড়িতে যাইবার অনুমতিও সংগ্রহ করা হইল। ছোট একটি দোতলা বাড়ী। আসবাবপত্র কিছুই নাই ; মেঝের উপর মান্থর পাতিয়া মেয়ের পড়াশুন} করে, তাহারই উপর আবার বিছানা পাতিয়া ঘুমায়। সমস্ত কাজকৰ্ম্মই মেয়েদের নিজেদের করিতে হয় }