পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৫৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড জেনীভায় ক্লস্যের প্রস্তর-প্রতিমু জেনীভা হ্রদের পোস্তার সমাপ্তরাল রাস্তাটির উপর অনেকগুলি হোটেল আছে। এইগুলির সামনে কোন ঘরবাড়ী নাই এবং এইগুলি হইতে হ্রদ ও পৰ্ব্বতের স্বন্দর দৃশ্য দেখা যায় বলিয়, ধনী ও ফ্যাশনেবল লোকের এইসব হোটেলে থাকে। তন্মধ্যে একটিতে নিমন্ত্রিত হইয়া আমি একদিন চা-পান ও একদিন মাধ্যাহিক আহার করিয়াছিলাম। হোটেলটির কামর, হুল প্রভৃতি বড় বড়, আসবাবও উৎকৃষ্ট ; কিন্তু খাদ্যদ্রব্য, আমি যে অপেক্ষাকৃত সস্ত। ছোট হোটেলটিতে ছিলাম, তাহা অপেক্ষ উৎকৃষ্ট মনে হয় নাই । হ্রদের উত্তরতীরস্থিত পোস্তা ও খাটগুলির সমান্তরাল রাস্তার কিয়দংশের পাশ দিয়া সুন্দর গাছের সারি আছে। এই পোস্তায় ও রাস্তায় অপরাহ্লে ও সন্ধ্যায় স্ত্রী পুরুষ বালকবালিকা দলে দলে বেড়াইতে আসে। রবিবার ও অন্যান্য ছুটির দিনে ত খুবই ভিড হয়। এই লৰ দিনে ষ্টীমার ও অন্য সব রকম ছোট বড় জলযানে এত ভিড় হয়, যে, মনে হয় যেন সারা সহরের লোক আমোদপ্রমোদের জন্তু বাহির হইয়াছে। ইহাতে তাহদের স্ফৰ্ত্তি বাড়ে, স্বাস্থ্য ভাল হয়, স্বতরাং কৰ্ম্মশক্তিও বাড়ে । অবরোধ-প্রথা না থাকায় মেয়েরাও পূর্ণমাত্রায় উপকৃত ও আনন্দিত হইবার সুযোগ পায়। আমরা যখন পাশ্চাত্য লোকদের সঙ্গে প্রতিযোগিতা করিতে চাই, তখন মনে রাখিতে হইবে, যে, আমাদের প্রতিবোগিতা এমন সব জাতির জ্বঙ্গে যাহাঁদের নরনারা উভয়েই স্বস্থ, শিক্ষিত ও সৰ্ব্ববিধ কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহে সমর্থ। জেনীভ। হ্রদের উভয়তীরে ঘাটে ঘাটে বিস্তর চা কফি ও থাবারের দোকান আছে। ঘাটে ষ্টীমার নৌকা প্রভৃতি লাগিব। মাত্র, যাত্রীরা, যাহার যেখানে ইচ্ছা, নামিয়া ধায় এবং ছায়াতরুর নীচে রক্ষিত চেয়ারে বসিয়া “জলযোগ” করে, এবং তালখেলা, পড়া প্রভৃতি যাহার যাহা ইচ্ছা করিতে থাকে। এই প্রকারে খোলা স্বাস্থ্যকর জায়গায় প্রায় সমস্তটা দিন কাটাইয়া তাহারা অপরাহ্লে বা সন্ধ্যায় বাড়ী ফিরিয়া আসে । জলযান ছাড়া অনেকে রেলেও যাতায়াত করে । যাহাদেয় নিজের মোটর গাড়ী আছে, তাহারা তাহাতে বেড়াইতে । १ोंध्र ! জেনীভ যে ক্যান্টন বা জেলার প্রধান সহর, সেই