পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৬৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] সম্পাদকের চিঠি २8:» কাগজ লাইব্রেরীর টেবিলে রাখা হয় না ; ভারতীয় যে-সব সাময়িক পত্রিকার সব-চেয়ে বেশী কাটুতি, তাহার একটিও সেখানে নাই ; অধিকাংশ রকম রাজনৈতিক মতের মুখপত্রও তথায় নাই। তিনি বলিলেন, “আমি ফরোঅর্ড পাই” (যদিও তাহা টেবিলে রাখা হয় না)। আমি বলিলাম, “আমি মাসিক ও ত্রৈমাসিকের কথা বলিতেছি ।” তিনি বলিলেন, "যে-সব কাগজের প্রকাশকের লীগকে বিনামূল্যে কাগজ পাঠান, তাহাদেরই কাগজ রাখা হয়।” তদনুসারে আমি লীগ-লাইব্রেরীতে মডার্ণ-রিভিউ এবং ওয়েলফেয়ার পাঠাইতেছি। কিন্তু সে দুটি টেবিলে রাখা হইতেছে কি না, জানি না। একদিন আমি কয়েকজন বন্ধুর সহিত ভিলনভ, নামক স্থানে রম্য রল মহাশয়ের সহিত দেখা করিতে গিয়াছিলাম। তিনি সেখানে ভিল। অলগা নামক ভবনে তাহার পিতা ও ভগিনীর সহিত বাস করেন। ভিলনভ রেলে জেনীভ হইতে প্রায় ৫৬ মাইল । প্রায় দুই ঘণ্টার পথ। ষ্টীমারেও যাওয়া যায়, এবং তাহ অধিকতর প্রীতিকরও বটে ; কিন্তু তাহাতে সময় বেশী লাগে। লঙ্গানে আমাদিগকে ট্রেন বদলাইতে হইল। আমরা তৃতীয় শ্রেণীর গাড়ীতে গিয়াছিলাম। গাড়ী ও বেঞ্চি গুলি খুব পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন, ভারতবর্ষের তৃতীয় বা মধ্যম শ্রেণীর মত নোংরা নয়। ভারতবর্ষে তৃতীয় শ্রেণীর যাত্রীদের অন্ত যে-সব অস্ববিধ আছে, তাহারও কিছুমাত্র স্বইজারল্যাণ্ড বা ইউরোপের অন্য কোন দেশে দেখি নাই । কারণ, দেশগুলি স্বাধীন। আমাদের দেশে তৃতীয় শ্রেণীর গাড়ীতে ভ্রমণ করিতে হইলে টিকিট ক্রয়, সংকীর্ণ ফাটক দিয়া প্লাটফমে প্রবেশ, এবং তৎকালে কথন কথন ঘাড়ধাক্কা প্রহারসম্ভোগ, ধাক্কাধাকি করিয়া গাড়ীতে প্রবেশ, তথায় স্থানাভাব, গাড়ী ও বেঞ্চিগুলির অপরিস্কার অবস্থা, পায়খানার নোংরা অবস্থা ও জলাভাব, ইত্যাদি হইতে নরকের কিছু ধারণা জন্মে। এরূপ অবস্থার জন্য আমরা ষে কতকটা দায়ী, তাহ অস্বীকার করা যায় না। কিন্তু রেলের কর্তৃপক্ষ যদি সব বিষয়ে স্ববঙ্গোবস্ত করেন, যথেষ্ট জল যোগান, এবং পরিচ্ছন্নতার প্রতি কড়া নজর রাখেন, তাহা হইলে ক্রমশঃ উন্নতি নিশ্চয়ই হইতে পারে। - రిషి-కిరి ভিলনত ষ্টেশনে নামিয়া কিছুদূর হাটিয়া ভিলা অলগা পৌছিতে হয়। . ভিলা অলগার অব্যবহিত নিকটের রাস্তাটির দুদিকে এমন ঘনপত্রাবলীবিশিষ্ট দুই সারি ছায়াতর আছে, যে, রোদ ত দূরে থাক, অল্প বৃষ্টি হইলে তাহাও বোধ করি গায়ে লাগে না। রম্য রল ও তাহার ভগিনী শ্ৰীমতী মাদুলিন আমাদিগকে র্তাহাদের বাগানে বসাইলেন। আমার জামাত শ্ৰীমান কালিদাস নাগের নিকট হইতে র্তাহারা আমার নাম শুনিয়াছিলেন। কালিদাস ফ্রান্সে অধ্যয়ন করিবার সময় রুল। মহাশয়কে মহাত্মা গান্ধী সম্বন্ধীয় পুস্তক রচনায় কিছু সাহায্য করিয়াছিলেন । এই স্বত্রে রল পরিবারের সহিত র্তাহার ঘনিষ্ঠত হয়। রলার বয়স ষাটের উপর। তখন অল্প দিন আগে ইনফ্লুয়েঞ্জা হইতে সবে আরোগ্য লাভ করিয়াছিলেন । এইজন্য স্বাস্থ্য ভাল দেখাইতেছিল না। র্তাহার চক্ষু স্বনীল, প্রতিভায় সমুজ্জল। মুখে দাম্ভিকতা বা তদ্রুপ কিছুর লেশমাত্র নাই। তিনি ইংরেজী বলেন না, তাহার ভগিনী বলেন। তাহার সহিত অল্প যাহা কথাবাৰ্ত্ত হইয়াছিল, তাহ শ্ৰীমতী মাদলিনের মধ্যবৰ্ত্তিতায় । তাহীদের অধ্যয়নকক্ষের টেবিলে শ্ৰীমান্‌ কালিদাস ও শ্ৰীমতী শাস্তার ফোটোগ্রাফ দেখিয়া আমি আহলাদ প্রকাশ করায় শ্ৰীমতী মাদলীন হাসিয়া বলিলেন, “আপনাকে দেখাইবার জন্ত উহ। ওখানে রাখা হয় নাই ; উহ। এমনিই সব সময় টেবিলের উপর থাকে।” রম্য রুলার বৃদ্ধ পিত ভারতবর্ষের লোক আসিয়াছে শুনিয়া বাহির হইয়৷ আসিলেন ও আমাদের সহিত করকম্পন করিলেন। র্তাহার বয়স নব্বই পার হইয়াছে। সেরূপ বয়সের পক্ষে তিনি এখনও বেশ সোজা ও শক্ত আছেন । তাহার সাক্ষাৎ-লাভ যে আনন্দ ও সম্মানের বিষয়, তাহা তাহাকে ইংরেজীতে জানাইলাম। র্তাহার কন্যা তাহাকে তাহা ফরাসীভাষায় বলিলে তিনিও আহলাদ প্রকাশ করিলেন । রম্য রলার গ্রন্থাবলীর ভারতবর্ষে কিরূপ প্রচার, সে-বিষয়ে কথা উঠিলে, আমি বলিলাম, ভারতবর্ষে ফ্রেঞ্চ বেশী লোক জানে না, এই জন্য জ্যা খ্রিস্তফ ( জন ক্রিষ্টেफब्र) ०ट्रङि पश्ञि हेtरब्रखौ चशरान इं★tद्रशै-जांना অনেক লোকে পড়ে। মহাত্মা গান্ধী সম্বন্ধীয় উiহার ফ্রেঞ্চ