পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় সংখ্যা ] পুস্তক-পরিচয় ২৭৩ গ্রন্থের প্রতি পৃষ্ঠার ধাত্রীদের কর্তব্য সম্বন্ধে উপদেশ রহিয়াছে। সেই কর্তব্য লঙ্গনের ফলে যে এই বাঙ্গাল দেশে প্রতিবৎসর আড়াই লক্ষ শিশু ও ত্রিশ হাজার জননী অকালে ৰুtলগ্রাদে পতিত হইতেছে, সে-কথাটা গ্রন্থকার পরিস্কার ভাষায় বুঝাইয়া দিয়াছেন। চরিত্রহীনতার দরুণ কুৎসিত রোগ হয় এবং ঐজঙ্ক প্রস্তুতি ও শিশু মারা যায়, এই বিষয় প্রমাণ করিয়া গ্রন্থকার বলিতেছেন – “বয়স্থ মেরে ও পুরুষদের সাবধান ক'রে বলবে যে, চরিত্রহীন হ’লে যে কেৰল নিজের সর্বনাশ হয় তা নয়, কিন্তু শিশুহত্যার ভাগী হ’তে হয়। এই রোগের অনেক সময় বাহিরে লক্ষণ প্রকাশ পায় না । অথচ রোগ ভিতরে থাকে, তাই থেকে অম্ভের শরীরে যায় । ১২ বৎসর পর্যান্ত এর জের থাকে, এমন ধটনাও জানা আছে ।” শিক্ষিত ধাত্রীর সংখ্যার অল্পত বা অভাৰ বশতঃ অনেকে এখনও অশিক্ষিত দেশী ধাই দ্বারা প্রসব করাইয় থাকেন। তাছাদের শিক্ষার জন্য সুন্দরী-বাবু “শিশুমঙ্গল প্রথম শিক্ষা” ক্ষুদ্র পুস্তিক রচনা করিয়াছেন। জরায়ু প্রভৃতির প্রতিকৃতি ও ছবির সাহায্যে কিরূপে শিক্ষ। দেওয়া বাইতে পারে এই গ্রন্থে তাহার সঙ্কেত রহিয়াছে । যাহাতে গ্রামে গ্রামে ডিষ্টিক্টবোর্ড কিম্বা পল্লীমঙ্গল সমিতির অধীনে ঐরাপ শিক্ষার অনেকগুলি কেন্দ্র হয় গ্রন্থকারের এবং ডাক্তার বেন্টলির এই অভিপ্রায়। আমরা আশা করি, প্রত্যেক ডিষ্টিক্ট বোর্ড ও সেবাসমিতি এই পুস্তক দুইখানি ক্রয় করিয়া বিতরণ কfরবেন এবং শিক্ষিত ধাত্রী ও অশিক্ষিত ধাই শিক্ষার বাবস্থা করিবেন। ঘরে ঘরে এই পুস্তকগুলি গৃহ-পঞ্জিকার স্থায় পঠিত হওয়া উচিত । হ বাঙ্গালী ভাষার ঐতিহাসিক ব্যাকরণ— “The Origin and Development of the Bongali language" নামে দুই খণ্ডে অষ্টাংশিত ফুলস্কাপ আকারের শতোত্তর সহস্ৰ পুষ্ঠাব্যাপী একখানি গ্রন্থ সম্প্রতি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস হইতে প্রকাশিত হইয়াছে । এই বিরাট গ্রন্থ বহিঃ-সৌন্দর্য্যে যেমন নয়নানন্দ হইয়াছে, -সৌন্দর্ঘ্যেও-বিষয়-গৌরবে আলোচনাপদ্ধতিতে এবং লিপিকৌশলে—তেমূনি চিত্তহারী হইয়াছে । গ্রন্থের লেখক সাহিত্যাচার্য স্ত্রীযুক্ত সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যার মহাশয় বাঙ্গল, ভাষায় টৎপত্তি, বিকাশ ও পরিণতির স্বেরূপ পুখানুপুঙ্খ তথ্য সম্বলিত বিবৃতি দিয়াছেন, তাহাতে এত দিন পরে বঙ্গভাষা-তাত্বিকগণের গবেষণা ও আলোচনার বহুবিস্তুসন্ধুল সংকীর্ণ পথটি আজ পরিষ্কৃত ও রাজপথে পরিণত ছইল । কিরূপে যে কোল-গ্রবিড় তিব্বতী-বৰ্ম্মী দারী ভাষার ডালপালা-হে-মুওারী মালুতেী-ওঁ ও লেপচাভোট কোচ-মেচ গারে মৃ. কুকী টন লুশাই-খাসী প্রভৃতি মেচ্ছ, చిet=eStు নামক একথামী • অসাধু, ইতরাখা কথ্য-গ্রাম-উপ-অপাদি-নামক উপেক্ষিত ভাষার এবং জাৰ্য্য-ভারতের সংস্কৃত প্রাকৃতের তন্তুৰ ও তৎপৰ্ব্ব ভাষাগুলির শব্দ-সাগরে प्रान कब्रिब्र चार्षांमांई दात्राणांद्र ८शैलिछ धू$िब्र बर्डभान ८कोलौछ লাভ হইল, শব্দবিজ্ঞানধিত্ব স্বনীতিবাবু তাহার অক্লান্ত পরিশ্রম ও একনিষ্ঠ সাধনার ফলে তাহা সুস্পষ্টভাবেই দেখাইয়াছেন । বাঙ্গালী ভাষাকে স্বর্গাদপি গরীয়সী জননী সংস্কৃতের তৎসম দুহিতা বা দৌহিত্রী জ্ঞানে যাহার। আজিও অধ্যামির মোহে মাতৃভাষায় অনাৰ্য্য সংস্রব সহ করিতে পারেন না, বাঙ্গালাভাষায় ঠিকুজিকুলুঙ্গিকার এমন অনেকেরই দৃষ্ট এই ভাষাবিজ্ঞানের ধারানিবদ্ধ ঐতিহাসিক ব্যাকরণখনি বিশেষভাবেই আকর্ষণ করিবে । তাহারা দেখিবেন যে, ৰাঙ্গালীর অত্যতীতের পূর্বপুরুষগণের অনাৰ্য্য প্রভম্ব আৰ্য্যসংস্কারপুত সেই বাঙ্গালীই কোন কোন রসায়ন সংযোগে আঙ্গ বিশ্বসাহিত্যের এই বাঙ্গালায় পরিণত হইয়াছে। পাণিনি মুগ্ধবোধের তদ্ভব ও তৎসম ছাচে ঢাল বাঙ্গালী-ব্যাকরণকারগণও দেখিবেন যে, র্তাহীদের বাঙ্গাল। ধ্যাকরণ লেখা হয় নাই, কিন্তু মহাক্স রাজ{ রামমোহন তাহার "গৌড়ীয় ব্যাকরণে” ঠিক এক শতাব্দী পূৰ্ব্বে যে আদর্শ দেখাইয়াছিলেন এবং যাহা কবিসম্রাট রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “শব্দতত্ব” হইতে বিদ্যানিধি যোগেশচন্দ্র রায় মহাশয়ের বাঙ্গাল ব্যাকরণের পর্য্যস্ত ক্ষুদ্র বৃহৎ বাবতীর বৈরাকরণিক লেখমালার ভিতর দিয়া অমুস্থত হইয় আসিয়াছে, স্বনীতিবাবুর লেখনীমুখে সেই ব্যাকরণই আজ পর্যাপ্ত ও সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দরত লাভ করিল। গ্রন্থকার ইহাতে ভারতীয় আধ্যানাৰ্য্য শব্দ ব্যতীত পর্তুগীজ ইংরেজী আরবী-পারসীক প্রভৃতি বহু বৈদেশিক ভাষার শব্দসংস্রব বিশদ ভাবে প্রদর্শন করির প্রায় দশ সহস্র বাঙ্গাল শব্দের উৎপত্তি আলোচনা ও ধ্বনি-বিচার করিয়াছেন । এপর্যন্ত এই বিভাগের যতগুলি পুস্তক, পুস্তিক ও প্রবন্ধ বাহির হইয়াছিল, সকলগুলিরই আলোচন। অল্পধিক আংশিক, এবং phonology & morphology; otolibiţă to gifax, gos সাহায্যে অল্পধিক বিচারিত হইলেও তৎসমস্তই অনুসরণ-পদ্ধতি ও শৃঙ্খলার, ধ্বনি এবং গঠন বিজ্ঞানের ধারানিষ্ঠতার অনমুগত ও অকিঞ্চিৎকর : তাহদের অধিকাংশই একমাগাঁ ও সংস্কৃতমুলান্বেষী। পারিপাশ্বক অনাৰ্য্য-ভাষামুণীলন-প্রবণতায় অভাবই যে, এরূপ সংস্কারবন্ধ-সিদ্ধান্তের হেতু তাহ বলাই বাহুল্য। মুখের বিষয়, উপস্থিত গ্রন্থের লেখকে তাহার সস্তাব, বহুভাষায় সংস্রধজাত জ্ঞানের বিকাশ ও মুক্ত সংস্কারের ফলে আমরা এমন একখানি গ্রন্থ হাতে পাইলাম, যাহ। ভারতীয় কোনও প্রাদেশিক ভাষার সাহিত্যে অল্পাবধি शिषिङ रुग्न नाङ्के १११ यांझांब्र cशोब्ररव वांछ वक्रडांब ७ यांत्रांशी গৌরবান্বিত । আমরা ইংরেজী ভাষায় লিখিত এই ঐতিহাসিক ব্যাকরণ খানির বাঙ্গলি সংস্করণ দেখিবার আশায় বুহিলাম । শ্ৰী বিধুশেখর ভট্টাচাৰ্য্য।