পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/২৯১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

so o so o : to f ཐ་བ་དག། l i. so L. = বঙ্গে নারীনিৰ্য্যাতন গত বৎসর আমি যখন লওনে ছিলাম, তখন একজন হিন্দুস্থানী ছাত্র আমাকে জিজ্ঞাসা করিয়াছিলেন, “বাংলা দেশেই নারীদের উপর অত্যাচারের সংবাদ বেশী কেন শুনা যায় ? ইহার উত্তর দিতে পারি নাই। কেহ এরূপ প্রশ্ন করিলে, অন্যান্য প্রদেশেও এরূপ অত্যাচার হয় কি না, অকুসন্ধান করিতে ইচ্ছা হইতে পারে। কিন্তু ষে দোষ, কলঙ্ক, লজ। আমাদের আছে, তাহা অন্তেরও থাকিলে –এমন কি অন্থের তাহ অধিকতর পরিমাণে থাকিলেও, আমাদের দোষ, কলঙ্ক ও লজ্জার ক্ষালন বা অপনোদন হয় না, কিংবা আমাদের দোষ, গুণে পরিণত হয় না। স্বতরাং নিজেদের দোষ কমাইবার নিমিত্ত,অন্যান্য প্রদেশে কি হয়, তাহার খবর লওয়া অনাবশ্যক ও অঙ্কুচিত, কিন্তু যদি এরূপ হয়, যে, অম্লান্ত প্রদেশে আগে এইরূপ ঘটন ঘটিত, কিন্তু এখন ঘটে না ; কিম্বা এখন ঘটিলে তঞ্জত্য অধিবাসীরা তাহার প্রতিকার করিতে সমর্থ হয় ; তাহা হইলে, কি কি কারণে এবং কি কি উপায় অবলম্বন দ্বারা অন্যান্য প্রদেশে এরূপ অত্যাচার অতীত ইতিহাসের বিষয় হইয়া পড়িয়াছে, বা বর্তমানে অন্যান্য প্রদেশে এরূপ অত্যাচার ঘটিলে তাহ দমনের কি কি উপায় অবলম্বিত হয়, তাহা তত্তৎপ্রদেশ-নিবাসী আমাদের কোন বাঙালী পাঠক জানিলে সংক্ষেপে লিথিয়া পাঠাইলে বঙ্গদেশের সাহায্য ও উপকার হইতে পারে। ডাক্তার মুঞ্জে অল্পদিন হইল, পূৰ্ব্ববঙ্গে গিয়াছিলেন। র্তাহার নিকট তথাকার কেহ কেহ দুঃখ করিয়া বলিয়াছেন, যে, পশ্চিমবঙ্গ পূর্ববঙ্গে নারীনির্ধ্যাতন সম্বন্ধে উদাসীন,এবং কোন প্রকার সাহায্য করে না। পূৰ্ব্ববঙ্গ পূৰ্ব্ববঙ্গ, এবং পশ্চিমবঙ্গ পশ্চিমবঙ্গ বলিয়া যে কোন ঔদাসীন্ত আছে, তাহা আমাদের মনে হয় না। কিন্তু সমস্ত দেশই ষে ইহার প্রতিকারে যথেষ্ট সচেষ্ট নহে, তাহাডে সন্দেহ নাই। ডাক্তার মুঞ্জের মুখে ইহাও শুনিলাম, পুৰ্ব্ববঙ্গের লোকেরা এ বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গের লোকদের সহানুভূতি ও সাহায্য চান। সহানুভূতি অনেক সময় ফাক কথামাত্র। প্রকৃত সহায়ুভূতি থাকিলেও অনেক সময় কেহ কেহ কাৰ্য্যতঃ কোন সাহায্য করিতে পারেন না বটে। তথাপি সাধারণতঃ ইহা মনে করা ভ্রম নহে, যে, সহানুভূতি খাটি কিনা ও তাহার পরিমাণ কত, তাহা সাহায্যের প্রকৃতি ও পরিমাণ হইতে বুঝা যায়। এই জন্ত, নারীনির্ধ্যাতনের প্রতিকারকল্পে বঙ্গের কোন এক অংশের লোক সেই অংশের লোকদের নিকট এবং অন্তান্ত অংশের লোকদের নিকট কি কি প্রকারে কিরূপ সাহায্য চান, তাহার কেজো রকমের আলোচনা হওয়া বাঞ্ছনীয়। অত্যাচরিতা ও অত্যাচারীর জাতিধৰ্ম্মনিৰ্ব্বিশেষে এই দৌরাত্মা ও পাপ দেশ হইতে উন্মুলিত হওয়া চাই। কেহ যেন মনে না করেন, ইহা অসম্ভব । আমাদের দেশে অনেকে মনে করে, যে, নরনারীর সম্পর্ক-বিষয়ক নীতিতে আমরা ইংলণ্ড ও অন্যান্য ইউরোপীয় দেশের চেয়ে শ্রেষ্ঠ। এই ধারণা-সত্য কিনা, তাহার বিচার করা এখন অপ্রাসঙ্গিক । এস্থলে আমরা কেবল ইহাই বলিতে চাই, যে, নারীর উপর অত্যাচার বিষয়ে ইউরোপ ভারতবর্ধ অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ । ইউরোপে নরনারীর সম্বন্ধ বিষয়ক যে দুনীতির কথা তথাকার অনেক মোকদ্দমা হইতে প্রমাণিত হয়, তাহ অন্ত রকমের। এক বা দল বাধিয়া কুমারী, সধবা, বিধবা নারী হরণ ও তাহার উপর পাশব অত্যাচার, তাহাকে লুকাইয়া রাখা, তাহাকে গ্রাম হইতে গ্রামাস্তরে সরাইয়। সরাইয়া লইয়া যাওয়া, অত্যাচারের পর তাহার প্রাণবধ-এপ্রকারের ঘটনা আধুনিক ইউরোপের কোথাও ঘটে বলিয়া পড়ি নাই, শুনি নাই। গত বৎসর কিছুকাল ইউরোপের ভিন্ন ভিন্ন