পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Հե-8 ছিলেন, তাহ জানিবার জন্তু রবীন্দ্রনাথের বন্ধু ও ভক্তগণ কৌতুহলী হইবেন। প্ৰবৰ্ত্তকসংঘ কর্তৃক প্রবর্তিত নূতন অভিনন্দন-রীতি অগুস্ত্ৰ অমুস্থত হইবে কি না, তাহাও অম্লমানের विश्वघ्न श्tद । শান্তিপুরে শিক্ষকসমিতির অধিবেশন শাস্তিপুরে বঙ্গীয় শিক্ষকসমিতির যে অধিবেশন সম্প্রতি হইয়া গিয়াছে, সিটিকলেজের অধ্যক্ষ শ্ৰীযুক্ত হেরম্বচন্দ্র মৈত্রেয় মহাশয় তাহার সভাপতি মনোনীত হইয়াছিলেন। র্ত হার বক্তৃতায় শিক্ষকদের অবস্থার উন্নতি, শিক্ষালয়গুলির উন্নতি, শিক্ষার বিস্তার, শিক্ষার উন্নতি প্রভৃতি নানাবিষয়ে অনেক বিবেচক জনোচিত কথা ছিল । আমাদের দেশে শিক্ষকদের— বিশেষতঃ অধস্তন শ্রেণীর শিক্ষকদের, বেতন বড় কম । ৰাহারা নিজের ও পরিবারবর্গের গ্রাসাচ্ছাদনের চিস্তায় নিতান্ত বিব্রত, তাহদের সমুদয় শক্তি কথনও কৰ্ত্তব্যসম্পাদনে নিয়োজিত হইতে পারে না । এইজন্তু নিম্নতম শ্রেণীর শিক্ষকদেরও এমন একট। নূ্যনতম বেতন নির্দিষ্ট হওয়া উচিত, যাহাতে র্তাহারা সপরিবারে মুস্থশরীরে বাচিয়! থাকিতে পারেন । আগে আমাদের দেশে শিক্ষকদের সম্বন্ধে কিরূপ ব্যবস্থা ছিল, তাহা ভাবিয়া কোন লাভ নাই। সে কালও আর নাই, মৃতরাং সেরূপ ব্যবস্থাও আর প্রবর্তিত হইতে পারে না । মৈত্রেয় মহাশয় বিদ্যালয়ের জন্ত ও ছাত্রাবাসের জন্ত বহুব্যয়সাধ্য গৃহনিৰ্মাণ সম্বন্ধে যাহা বলিয়াছেন, তাহা ঠিক কথা। ঘর বাড়ীর আদর্শ খুব উচু করিলে শিক্ষার আসল জিনিষটার দিকে দৃষ্টি দিবার সামর্থ না থাকিতে পারে । ছাত্রের স্বাস্থ্যকর বাড়ীতে থাকে, ইহা অবশু বাঞ্ছনীয়। কিন্তু তা ছাড়া, তাহাদিগের পক্ষে এরূপ বাড়ীতে থাকিবার অভ্যাস হওয়া বাঞ্ছনীয় নহে, যেরূপ বাড়ীতে তাহারা পিতৃগৃহে থাকে না, পরেও হয়ত থাকিবে না । বিদ্যালয়ে গবন্মেষ্ট, যে-সব সৰ্ত্তে সাহায্য দিয়া প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১se৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড । থাকেন, তদন্থসারে টাকা লইবার সামর্থ্য অনেক বিদ্যালয়ের কমিটির থাকে না। স্বতরাং সৰ্বগুলি অপেক্ষাকৃত সহজে পালনীয় করা উচিত । আগে আগে গবন্মেণ্ট ধনী লোকদিগকে শিক্ষার জন্য দান করিতে নানা প্রকারে উৎসাহিত করিতেন । শিক্ষার উন্নতি ও বিস্তৃতির এখনও যথেষ্ট প্রয়োজন রহিয়াছে। তাহার জন্য যত টাকার আবগুক, গবন্মেন্টের তাহা দিবার প্রবৃত্তি নাই, সামর্থ্যও সম্ভবতঃ নাই। স্বতরাং ধনী লোকদিগকে পূৰ্ব্ব রীতি অনুসারে উৎসাহিত করা উচিত। মৈত্রেয় মহাশয় এবিবয়ে ধাহ! বলিয়াছেন, তাহ৮ সমীচীন । ছাত্রদের দৈহিক উন্নতির চেষ্টা: কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় বিদ্যালয়ে ছাত্রদের দৈহিক উন্নতির জন্য ব্যায়ামক্রীড়াদির যেরূপ বন্দোবস্ত করিবার নিমিত্ত ঘুেরুপ প্রস্তাব করিয়াছেন, যত শাস্ত্র তদন্থসারে কাজ হয় ততই ভাল । বিদ্যালয়ে ছাত্রদের একবার, জলযোগের ব্যবস্থা হওয়ার আবশুক । অন্ত অনেক রকম ব্যয় আছে, যাহা না করিলেও চলে । কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষার জন্ত যথাসাধ্য ব্যয় করা গবন্মেণ্টের ও দেশের লোকদের কর্তব্য । দৈহিক শিক্ষ। তাহার একটি আবর্জনীয় অঙ্গ । সকল রকম ব্যায়াম ও ক্রীড়া সকল ছাত্র-ছাত্রার উপযোগী নহে ! এইজস্ব ডাক্তার ও খ্যায়ামশিক্ষকের পরামর্শ অনুসারে প্রত্যের্কের ডপযোগ ব্যায়ামক্রীড়াদির ব্যবস্থ হওয়া উচিত । ইহা ব্যয়সাধ্য। কিন্তু এই সদ্ব্যয় না ঋরিগে চলিবে না । কলেজের ছাত্রদের নিমিত্ত সামরিক শিক্ষা বাধ্যতামূলক করা উচিত কি না, সে-বিষয়ে মত-ভেদ আছে। কিন্তু ইহা নিশ্চিত, যে,এরূপ শিক্ষা সকলেরই হওয়া উচিত,যাহাতে আত্মরক্ষার জন্য অস্ত্রব্যবহারে সামর্থ্য ও দক্ষত জন্মে এবং অস্ত্রাঘাতের ভয়টা দূর হয়। যুদ্ধক্ষেত্রে নী গিয়াও আমরা দাঙ্গ-ভঙ্গ ও জনতা-ভঙ্গের ওজুহাতে গুলিবর্ষণের কৃপায় বুঝিতে পারিতেছি, গুলি যত নিক্ষিপ্ত হয় মাছুষ তত মরে না । ইহা হইতে এরূপ অল্পমান