পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩০৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శివసిe সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্ব বরিশালের মুসলমান কনফারেন্সে সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্ব সম্বন্ধেও একটি প্রস্তাব গৃহীত হইয়াছে । সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচন দুই রকমের হইতে পারে। প্রত্যেক ধৰ্ম্মসম্প্রদায়ের জন্ত প্রতিনিধির সংখ্যা নির্দিষ্ট থাকিবে। প্রতিনিধিরা যে ধৰ্ম্মাবলম্বী লোক হইবেন,কেবল সেই সম্প্রদায়ের ভোটারদেরদ্বারাই নির্বাচিত হইবেন । ইহা গেল এক রকম সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্ব । দ্বিতীয় প্রকার নির্বাচনে আর সব ঠিক থাকিবে, কেবল নিদিষ্টসংখ্যক সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধি সব সম্প্রদায়ের ভোটারদের দ্বারা নিৰ্ব্বাচিত হইবেন । নিৰ্ব্বাচন যেরকমেরই হউক, আমরা এই সাম্প্রদায়িক জিনিষটারই বিরোধী। ইহা জাতিগঠনে এবং জাতীয় সংহতি ও শক্তি বৰ্দ্ধনে বাধা জন্মায় । ইহা মাকুষকে নিজেকে সমগ্র জাতিটির অংশ ভাবিয়া সমগ্রজাতির হিতচেষ্টা করিতে না শিখাইয়া, শিখায় নিজেকে ক্ষুদ্রতর একটি দলের অংশ বলিয়া ভাবিতে ও তাহারই জন্য চেষ্টা করিতে । ধৰ্ম্মসাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্ব জিনিষটা মোটের উপর একটা মিথ্যার উপর প্রতিষ্ঠিত। মামুষের রাষ্ট্রীয় স্বার্থ ধৰ্ম্মভেদ অনুসারে ভিন্ন নহে। স্বতরাং রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্ব নিম্প্রয়োজন । শুধু তাই নয়। কোন সম্প্রদায় ক্ষুদ্র হইলেও যোগ্যতা ও দেশহিত চেষ্ট দ্বারা খুব প্রভাবশালী হইতে পারেন, এবং আত্মরক্ষা করিতে পারেন। এক লক্ষ পাশির ষদি ইহা করিতে পারিয়া থাকেন, সাতকোট মুসলমান কেন পারিবেন না । সাম্প্রদায়িক নিৰ্ব্বাচনের আর-একটা গুরুতর দোষ এই, যে, প্রত্যেক সম্প্রদায়ের আলাদা আলাদা ন্যায্যসংখ্যক প্রতিনিধি নির্দিষ্ট করা হয় নাই, হইতে পারে মা। যে সম্প্রদায় যত ছোট ও দুৰ্ব্বল, স্থায়তঃ তাহারই স্বার্থরক্ষার জন্ত তত বেশী ও ভাল বন্দোবস্ত ও চেষ্ট হওয়া উচিত। কিন্তু কাৰ্যত দেখা যাইতেছে, যে, ভারতবর্ষে হিন্দুদের নীচেই মুসলমানদের সংখ্যা বেশী ; প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩৩৪ { ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড অথচ তাহাদের চীৎকার বেশী বলিয়া গবর্ণমেণ্ট তাহীদের: জন্ত যেরূপ বম্বোবস্ত করিতেছেন, প্রত্যেক প্রদেশের তদপেক্ষ নূ্যন সংখাক খ্ৰীষ্টিয়ান, ইহুদী, জৈন, বৌদ্ধ, শিখ, পাশি, ব্রাহ্ম, আদিমনিবাসী প্রত্যেক জাতি, প্রভৃতির জঙ্গ তাহা করিতেছেন ন—করা সম্ভবপরও নহে। সমুদয় হিন্দুকে কেবল মাত্র একটা দল ভাবিলে চলিবে না। দক্ষিণাত্যে. ব্রাহ্মণ অ-ব্রাহ্মণে দলাদলি আছে। দেশের বন্ধুর। বাংলাদেশেও নমঃপূদ্রদিগকে অন্ত নানা হিন্দুর বিরোধী করিয়া তুলিবার চেষ্টায় আছেন। এই প্রকারে ভারতবর্ষের সক সম্প্রদায় ও দলকে খুশি করিতে হইলে নূনকল্পে পাঁচ শত দলের জন্য আলাদা আলাদা প্রতিনিধির বন্দোবস্ত করিতে হইবে। এরূপ ব্যবস্থা পৃথিবীর কোন দেশে কখন হয়: নাই, হুইবেও না। উপরে যে দ্বিতীয় রকমের সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচনের কথা অর্থাৎ সকল সম্প্রদায়ের ভোটারসমষ্টি দ্বার} নির্বাচনের কথা বলা হইয়াছে, তাহ মদের ভাল । কিন্তু তাহা চালাইতে হইলে এই আইনও হওয়া উচিত, ষে, এই প্রথা দশ বৎসর পরে উঠিয়া যাইবে ও তখন সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্ব থাকিবে না। এখন যাহাদের সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধি নিৰ্ব্বাচনের অধিকার অাছে, তাহাদের যখন, মত হইবে তখন সাম্প্রদায়িক প্রতিনিধিত্ব উঠিয়া যাইবে, ইহা কাজের কথা নয়। অনিষ্টকর জিনিষ্ণের আয়ু অনির্দিষ্ট রকম দীর্ঘ হইতে না দিয় তাহাকে নির্দিষ্ট রকম অল্পায়ু করা উচিত। সিন্ধুর জন্য স্বতন্ত্র শাসনব্যবস্থ৷ মুসলমানরা আর-একটা দাবী করিতেছেন, ষে, সিন্ধু দেশকে বোম্বাই প্রেসিডেন্সী হইতে আলাদা করিয়া উহাকে স্বতন্ত্র গবর্ণরের ও ব্যবস্থাপক সভার অধীন একটি প্রদেশ করা হউক। তাহার কারণ সহজবোধ্য। সিন্ধুদেশে মুসলমানের সংখ্যা খুব বেশী ; কিন্তু সমুদয় বোম্বাই প্রেসিডেন্সীর সমগ্র অধিবাসীদের মধ্যে মুসলমানরা নূ্যন অংশ। স্বতরাং মুসলমানরা চান এমন একটি প্রদেশ যাহাতে র্তাহার সংখ্যাভূমিষ্ঠ হইতে পারেন। বর্তমান,