পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩১১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२&8 “Politics, whatever the cynic may say, is the noblest occupation of the ablest men of the 6om:munity,” তিনি বলিতেছেন, সমাজের যোগ্যতম লোকদের মহত্তম চেষ্টার স্থল রাজনৈতিক কাৰ্য্যক্ষেত্র। এই কথাটা তিনি না বলিয়। অল্প কেহ বলিলে ভাল হইত। গোখলের মত লোক রোজগারের ক্ষমতা থাকা সত্বে ও সে-পথ ছাড়িয়া দিয়া রাজনৈতিক কাজ করিয়াছিলেন। রহিম সাহেব বৃদ্ধ বয়স পৰ্য্যস্ত যত রকম সরকারী চাকরী দুটা ইতে পারিয়াছেন, করিয়াছেন। মন্ত্রিত্ব চাকরীট না-পাওয়ায় তাহার বড় দুঃখ হইয়াছে। এখনও তিনি তাহা পাইলে করিবেন। এইজন্তই বলিতেছি, উদ্ধৃত কথাগুলি কোনও ত্যাগী লোকের মুখে শোভা পাইত। তবে যদি “অকুপেশুন” কথাটা তিনি সেন্স রিপোর্টের অর্থে অর্থাৎ পেশা অর্থে ব্যবহার করিয়া থাকেন, তবে তাহ স্বতন্ত্র কথা । খিলাফত ফণ্ডের যেরূপ সদ্ব্যয় হইয়াছে, তাহাতে রাজনীতি পেশাটা মন বোধ হয় না । এইরূপ পেশ টিলক স্বরাজ্য ফও এবং বঙ্গের গ্রামপুনর্গঠন, ফও সংস্কষ্ট কোন কোন অমুসলমান কৰ্ম্মীও অবলম্বন করিয়াছিলেন। রহিম সাহেব মুসলমানদের একটি খবরের কাগজের জন্ত ছয় লক্ষ টাকা এবং তবলিগ ও তাঞ্জিমের জন্য ছয় লাখ টাকা চাহিয়াছেন। এই টাকা যদি সংগৃহীত হয়, তাহা হইলে তাহার সদ্ব্যয়ের ব্যবস্থা কিরূপ হইবে ? উহা পেশাদার রাজনৈতিকদের হাতে পড়িবে কি ? শ্ৰীনিবাস শাস্ত্রী ভারত গবন্মেণ্ট শ্ৰীযুক্ত শ্ৰীনিবাস শাস্ত্রী মহাশয়কে দক্ষিণ আফ্রিকায় ভারতবর্ষের এজেণ্ট নিযুক্ত করিয়াছেন। নামটা এজেণ্ট না দিয়া অধিকতর সম্মানজনক কোন নাম দিলে ভাল হইত। যাহা হউক, নিৰ্ব্বাচন খুব ভাল হইয়াছে। রাজনৈতিক জ্ঞানে, ত্যাগে, কৰ্ত্তব্যনিষ্ঠায়, বাগ্মিতায় ও চরিত্রে তিনি সৰ্ব্বাংশে এই কাজের উপযুক্ত। তা স্থাকে দেখিয়া, তাহার সঙ্গে মিশিয়া ভারতবাসীদের সম্বন্ধে কাহারও নিকৃষ্ট ধারণা হইবে না। প্রবাসী—জ্যৈষ্ঠ, ১৩e৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড কলিকাতা মিউনিসিপালিটীতে স্বরাজী প্রভুত্ব কলিকাতার মেয়র আবার স্বরাজী জীযুক্ত যতীন্দ্রমোহন সেনগুপ্তই হইলেন, এবং কমিটিগুলিতেও স্বরাজীদেরই প্রভুত্ব বজায় রহিল। স্বরেন্দ্রবাবুর চেষ্টায় নূতন কলিকাতা মিউনিসিপাল আইনে দেশী লোকদের ক্ষমতাবৃদ্ধির পর হইতে স্বরাজী দলের হাতেই এই ক্ষমতা আছে। তাহাজের আমলে কলিকাতার চক্ষুগোচর ও নাসিকাগোচর কোন উন্নতি আমরা লক্ষ্য করিতে পারি নাই ; মদিও ইহাও বলা উচিত, ষে, তদ্রুপ কোন অবনতিও লক্ষ্য করি নাই । গুপ্ত কোন উন্নতি-অবনতি হইয়া থাকিলে তাহার বিষয় অবগত মহি। নানাদিকে উন্নতি খুব যে দরকার ও সম্ভব তাহা সবাই জানে। দেশীয় লোকদের প্রভুত্বে—বিশেষত: সৰ্ব্বাপেক্ষণ অধিক দেশভক্তির স্পৰ্দ্ধ যাহার করেন তাহাদের প্রভুত্বে—যদি কেবল ইংরেজ পাড়াগুলিই ফিট, ফাট থাকে, দেশী পাড়ার কোন উন্নতি না হয়, তাহ হইলে নূতন মিউনিসিপাল আইনের সার্থকতা কি ? স্বরাজী দলের একটা খুষ স্ববিধা এই ছিল, যে, তাহারা অন্ত কোন দলেয় সাহায্য না লইয়া বা মুখাপেক্ষ না করিয়াও নিজের ইচ্ছামত কাজ করিতে পারিতেন। দলে এরূপ পুরু তাহারা ছিলেন। তাহা সত্বেও যে তাহার কলিকাতার দেশী পাড়াগুলির উন্নতি করেন নাই, পূৰ্ব্ববৎ ইংরেজ পাড়াতেই টাকা ঢালিয়াছেন, ইহা তাহাদের প্রশংসার বিযয় নহে। কলিকাতা মিউনিসিপালিটীতে অস্ত কোন দলকে প্রাধান্ত লাভ করিতে হইলে হয় ত ইংরেজদের সাহায্য চাই, হয় ত তাহাদিগকে কণ্ট্যাক্টজাদি দিয়া খুশি করা চাই । দেশের পক্ষে তাহা স্ববিধাজনক নহে। অবশ্ন দেশী লোকদের মধ্যে লুটের টাকার ভাগবাটোয়ারাও যে ভাল, তাহাও নহে। জামাদের বক্তব্য এই, ষে, স্বরাজীদের প্রবলত এক সময়ে এমন ছিল, যে, তাহারা সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ ভাবে ঘুষ না দিয়াও, কেৱল সৎকৰ্ম্মশীলতার দ্বারাই, নিজেদের ক্ষমতা অক্ষুণ্ণ রাখিতে পারিতেন । কিন্তু সেরূপ কৃতিত্বের প্রশংসা তাহারা অর্জন করিতে পারেন নাই। এই তৃতীয় দফায় পরিবেন কিনা, বলিতে পারি না ।