পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

లి;ly প্রবাসী—অষাঢ়, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড আনিল । ভানুমতী খাইতে বসিলে, সে তাহার কাছে বলিয়া পিলিমার বাড়ী কি কি দেখিয়া এবং শুনিয়া জাসিল, তাহারই বর্ণনা আরম্ভ করিল। সব শুনিয়া ভানুমতী বলিল, “ওম, তুই এ টাকার কথা জানূতিস না ? আমি কবে শুনেছি।” ভবানী বলিল, “তোমরা না বললে আর আমি জানব কোথা থেকে বাছ ? ভগবান করুন, এখন ভালয় ভালয় একটি বেট। ছেলে হ’য়ে যায়, তাহ’লেই সব দিক্ রক্ষণ হয়।” ভানুমতী বলিল, “বেট ছেলে না হ’য়ে মেয়ে হ’লেই কি আর ? তবে ছেলে হ’লে শ্বশুরের, স্বামীর বংশ থাকৃবে, মেয়ে হ’লে সেটা থাকৃবে না এই যা।” ভবানী রাগিয়া বলিল, “তোমার এক কথা ! কেন মেয়ে হ’লে ক্ষতিটা কম কি ? ছয় লাখ টাকা হাতছাড়া হয়ে যাবে, সেটা বুঝি কিছু না ? আর যে চিরকাল তোমার দ্বধমনী কবুল, সেই চোখের সাম্নে বসে দুহাতে তোমার হন্ধের ধন ওড়াবে, তা দেখতে পারবে ?” ডাম্বুমতী ভবানীর রাগে হাসিয়া বলিল, “বাবাঃ, তোর রাজপুতরা বড় হিংস্কটে কিন্তু। যাকে দেখতে পারিস না, তার নামেই জলে বাস্। এইজন্যেই ইতিহাসে তোদের কথা এত লিখেছে।” ভবানী বলিল, “তা বাছা, আমরা গরম দেশের মাতুয আমাদের মেজাজ গরম। যে দুধমনী করে, আমরাও তার ছুষমনীই করি, আর যে ভাল করে দরকার হ’লে তার জন্তে জানও দিতে পারি । তোমার ঐ লক্ষ্মীছাড়া দেওর যদি টাকা পায়, তা হ’লে আমার বুকের ভিতরটা পুড়ে যাবে। ভগবান কখনো এমন অন্তায় হ’তে দেবেন नां ।’’ ভাতুমতী বলিল, “ও কথা বলিস্ ন রে। ভগবানের গুীয়-অন্তায় মাছুষে বোঝে না। তা না হ'লে আমার অমন দেবতার মত স্বামী চ'লে গেল।” সে আঁচল দিয়া চোখ মুছিতে মুছিতে উঠিয়া গেল। ভবানী নীচে নামিয়া গেল, যদিই রান্নাঘরের দিকে কোনো কাজ থাকে। সে দুই দণ্ড বসিয়া থাকিতে পারিত না, নিজের নিদিষ্ট কাজ শেষ হইয়া গেলে, অন্তের কাজ काफ़िश जहेब्र कब्रिटङ दनिङ । uहेछछ बाफ़ौद्र भन्न शि চাকরেরা তাহাকে বেশ খানিকট খাতির করিয়া চলিত, शनिe ऊांशंब्र कफ़ cभछाछ ७वर कफैक्ट कथाब्र छछ আড়ালে সবাই তাহার নিন্দ করিতেও ছাড়িত না । শোভার মেয়ে দুর্গার কল্যাণে এই ক'দিন অবশু তাহার সময় কাটাইবার উপায়ের বিশেষ অভাব ছিল না। নীচে গিয়া ভবানী দেখিল, রান্নাঘরের কাজ একরকম হইয়াই গিয়াছে, দুর্গাও নিতান্ত লক্ষ্মী মেয়ের মতন মায়ের পাশে বসিয়া ইন্‌জিন গাড়ী লইয়া খেলিতেছে। তাহাকে লইয়া এখনি যে পাগলের মত দিকৃবিদিকে ছুটাছুটী করিতে হইবে, তাহার বিশেষ সম্ভাবনা নাই। অগত্যা ভবানী ঘর হইতে এক রাশ কাপড়, স্থত। ছুচ কঁচি প্রভৃতি বাহির করিয়া আনিল, এবং রান্নাঘরের দরজার কাছে বসিয়া একখান অৰ্দ্ধসমাপ্ত ছোট কাথা লইয়া দ্রুতগতিতে সেলাই করিতে স্বরু করিল। শোভাবতী বলিল, “বুড়ো হয়েছিস্ কে বলবে? চোখের ত দিব্যি তেজ আছে। রাত্রেই সেলাই করছিস্ ? আমি ত পারি ন! P* ভবানী বলিল, “আমি নামেই বুড়ী বাছা । বয়সই হয়েছে, শরীরের ত ক্ষয় হয়নি ? সেই চৌদ্ধ বছর বয়সে রাড় হয়েছি, স্বামীর ঘরও করতে হয়নি, ছেলেপিলে মানুষও করতে হয়নি। কাজেই গতরে শক্তি আছে।” বাহিরের দরজার কড়াট। সজোরে বাজিয়া উঠিল। ভবানী সেলাই ফেলিয়া সেইদিকে চলিল। দরজা খুলিয়াই দেখিল উদয় দাড়াইয়া। সঙ্গে তাহার অার একটি কে ভদ্রলোক, তাহাকে ভবানী পূৰ্ব্বে কখনও দেখে নাই । অভ্যাগতদ্বয়কে ভিতরে আহবান করিবার কোনো লক্ষণ না দেখাইয়। ভযানী বলিল, “কাকে চান ?” উদয় জিজ্ঞাসা করিল, “মহেশবাবু বাড়ী নেই ?” ভবানী বলিল, “বাবু এখনও বেড়িয়ে ফেরেন-নি।” উদয় বলিল, “আচ্ছ, তা বৌঠানকে খবর দাও, এলাম যখন একটু দেখা ক’রে যাই।” ভবানী অমানবদনে বলিল, "ওম, ভাকুও বাড়ী নেই। মেজ দিদিমণির সঙ্গে আজ তার শ্বশুরবাড়ীতে একটু ঘুরে আসতে গেছে।” উদয় চৌকাঠের ভিতরে আসিয়া দাড়াইয়াছিল,