পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

\లిసి 8 প্রবাসী—আষাঢ়, ১৩৩৪ [ २१च छांन, »य थ७ তাহাকে আজ স্বার্থের খাতিরে সে কোথায় নিৰ্বাসিত করিড়েছে?.. কিন্তু ভানুর স্বাধ তাঁহাকে দেখিতে হইবে, এবং উদয়ের থোত মুখ ভোতা করিতে হইবে। পাপ যাহা হইবার হউক, ভগবান বা মানুষে তাহাকে যে শান্তি বিধান করুক, সে তাহ মাথা পাতিয়া লইতে প্রস্তুত আছে। রাজপুতের মেয়ে ভয়ে কখনও পিছায় না। মিসেস মিত্র ভালুকে ঔষধ দিতে দিতে বলিলেন, "রাধুনী মাগীকে ভোর না হতেই কোনো গতিকে বিদায় করতে হবে। তাকেই রেখে এসেছি কিন৷ ষাড়ীতে, তা সে কুতুকর্ণের বেট এতক্ষণ নাক ডাকিয়ে বাড়ী ফাটাচ্ছে। এখন কিছু জানূষে না, কিন্তু পরে খোকার জায়গায় খুকী দেখলে নানা কথা তুলতে পারে। মাইনে পায় নি একমাসের ব’লে, যাব যাবও করছে । দেখ ত বসন্ত এল বুঝি ?” রসন্ত যেমন দ্রুত গতিতে গিয়াছিল, তেমনিই দ্রুত গতিতে ফিরিয়াছে। সদর দরজা খোলার সামান্ত শকটুকু শোনা যাইতে না যাইতে সে আসিয়া উপরের তলায় উপস্থিত হইল। কোলে তাহার কম্বলে জড়ানো fief i মিসেস মিত্র ঝট করিয়া ছেলেটিকে তাহার কোল হইতে টানিয়া লইয়া ভষানীকে বলিলেন “কি জাম টাম তোমরা শেলাই করেছ বাছ, গোটা দুই দাও একে। আর বসন্ত, মেয়ে নিয়ে তুই এখুনি বেরো, তোকে এখন আর আসতে হবে না। পথে বেরিয়েই গাড়ী কবি, বাছার যেন ঠাও। কিছুতে না লাগে। বাড়ী গিয়ে ওকে ঢাকাঢুকি দিয়ে শুইয়ে রাখবি, রাধুনী মাগী ভোরে উঠতেই তাকে গাল মন্দ দিয়ে খুব একটা ধুম ঝগড়া বাধিয়ে দিবি। আমি গিয়েই তাকে বিদায় করব, খুকীর কাছে তাকে যেতেও দিস না, তাহ’লে দশ কথার স্বষ্টি করবে। যা বেরো এখন শিগগির।” বসন্ত শিশু কস্তাটিকে উত্তমরূপে কম্বল ও ফঁাখায় জড়াইয়া বাহির হই। গেল। খোকাকে নূতন জাম, মোজা প্রভৃতি পরাইতে পরাইতে ভবানী বলিল, "ছেলে দেখতে ত মন্দ না, তবে রং তেমন ফরসা নয়।” লেডী ডাক্তার বলিলেন, “বেটা ছেলে, ইং নিয়ে কি হবে । তবু খুব কালোও না। বাঙালীর ঘরে যেমন হয়, মাঝামাঝি তাই হয়েছে । ওমা, মা লক্ষ্মী যে চোখ খুলে তাকীচ্ছ দেখি ! দেখ, দেখ, কেমন সোনার চাদ ছেলে হয়েছে। ভবানী, এদিকে নিয়ে এস, আলোর কাছে। এই দেখ মা ।” ভানুমতী শিশুর দিকে তাকাইয়া বলিল, “ভবানী খুব খুসি হয়েছিল, না ? ওকি, কাদচিস নাকি ? এখন আর কাবার কি ?” ভবানী তাহার মুখের দিকে চাহিয়া বলিল, “না ম', আর র্কfদব না । আহা, আজ জামাই বেঁচে থাকৃলে ।” মিসেস মিত্র বলিলেন, “ওসব কথা এখন আর কেন গো ? বে গেছে সেত গেছেই, এখন যে এল তাকে নিয়ে আনন্দ কর । কৈ শাখ ট"tখ বাজাও, বাড়ীর লোক ত এখন অবধি জান্‌লই না।” ঘোররোলে পাড় কাপাইয়া শাখ বাজিয়া উঠিল। মহেশবাবু বিছানা ছাড়িয়া আলুথালু বেশে ছুটিয়া আসিলেন। “কি হল ভবানী, কি হল ? মা আমার ভাল ত ?” ভবানী থোকাকে তাহার সামনে তুলিয়া ধরিয়া বিজয়ের হাসি হাসিয়া বলিল,“খোকা হয়েছে বাবু, আপনার বাড়ী রাজা এসেছে। কৈ গিনি বার করুন।” দুই আঙ্গুল দিয়া শিশুকে একটু আদর করিয়া মহেশবাবু হাসিয়া বলিলেন, “গিনিত দুহাতে ক'রে ও ছড়াবে তষানী, গরীব দাদামহাশয় আর ওকে একটা গিনি দিয়ে কি করবে ? তবু নিয়ম মেনে চলা ভাল, এই নাও দাদামণি,” বলিয়া তিনি শিশুর গোলাপী মুঠির মধ্যে দুটি গিনি ঢুকাইয়া দিলেন। খোকা হওয়ার আশায় তিনি গিনি পকেটে করিয়াই শুইতে গিয়াছিলেন । ভানুমতীর বিবর্ণ মুখের দিকে চাহিয়া বলিলেন, “ম আমার ভাল আছে उ ?” মিসেস মিত্র বলিলেন, “দিব্যি আছে,ওর সেরে উঠতে কিছু দেরী হবেনা। আচ্ছা, জামায় তাহ’লে একট। গাড়ী ডেকে দিন, এখনও রাত রয়েছে, সঙ্গে একটা লোক হ’লে ভাল হয়। এই ওষুধ রেখে গেলাম, এক দাগ খাইয়ে দিয়েছি, তিন ঘণ্টা পরে অার এক দাগ। সকালেই আমি