পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] “প্রাচীন ভারতে রাজ-কোষবিষয়ক বিধি-ব্যবস্থা” N©© প্রবন্ধে উল্লিখিত বিবর বর্তমান সময়ে ভারত-সরকারের সহিত প্রাদেশিকসরকার সমূহের রাজস্ব লইয়া যেরূপ সম্পর্ক ও সম্বন্ধ বিদ্যমান আছে বা থাকা উচিত—আমরা এই প্রবন্ধে প্রাচীন উত্তরাপথের বা দক্ষিণাপথের কোন বৃহৎ সাম্রাজ্যের সহিত তদধীন খণ্ড খণ্ড সামস্ত রাজমগুলের সেরূপ কোন সম্পর্ক বা সম্বন্ধ ছিল কি না তাহার কোন আলোচনায় প্রবৃত্ত হই নাই। প্রাচীন ভারতে যে কোন রাজতন্ত্রপ্রদেশের ভিতর কিরূপভাবে রাজস্ব-বিভাগ পরিচালিত হইত, এখানে তাহাই যথাসাধ্য বলিবার চেষ্টা করিয়াছি। এই প্রবন্ধে যে যে বিষয় উত্থাপিত হইয়াছে তন্মধ্যে এই কয়েকটি প্রধান—(১) নানাবিধ রাজস্ব, ভাগধেয়, কর, বলি ও শুন্ধের উৎপত্তি-কাহিনী ও তাহার তত্ত্বকথা ; (২) কোন কোন বিষয়ে করাদি আদেয় ছিল ও তাহার হার ; (৩) করসংগ্রহকারী ও তদবিনিয়োগকারী রাজপুরুষগণের ক্রিয়াকলাপ ; (৪) আপদ সময়ে নূতন করাদি এবৰ্ত্তনের বিধি ; (৫) সরকারী আয়ব্যয়ের তালিকা ও তাহার হিসাবরক্ষকগণের করণীয় ব্যবস্থা ; ও (৬) রাজ্যের আয়ব্যয়ের দায়িত্ব-ভার। এই বিষয়গুলি ছাড়া আরও প্রসঙ্গ-প্রাপ্ত অন্যান্ত কথার যথা-সম্ভব উল্লেখ করা গিয়াছে । কোনও এক প্রসঙ্গে [ ১১৩ অধ্যায় ] নীতিবিশারদ মহামতি কৌটিলা রাজার প্রথম উৎপত্তি ও প্রজার সহিত তাহার কিরূপ সংবিৎবাপন ( রফ ) থাকিবে তৎসম্বন্ধে লিখিয়াছেন— “মাংগুস্তারাভিভূতাঃ প্ৰজা মনুং বৈবশ্বতং রাজানং চক্রিরে। ধান্তবড়ভাগং পণ্যদশভাগং হিরণ্যং চাস্য ভাগধেরং প্রকল্পয়ামান্বঃ। তেন ভূত রাজান; প্রজানাং যোগ ক্ষেমবহাঃ। তেবাং কিবি দণ্ডকর হয়প্তি যোগক্ষেমৰহাশ্চ প্রজানাম্। তন্মাদুখবড় ভাগষারণ্যক জপি निद्रभूडि-छरैनाठश् छां★षहर cषांश्यान् cभी”बिठौठि"। ८ष५ कम्न-ऋटिंह कछन। এই উদ্ভূত সম্বর্তে ভারতবর্ষে প্রাচীনকাল হইতে রাজা ও প্রজার মধ্যে রক্ষণমূল্য ভাগধেয় ৰা কয় লইয়া যে প্রকার এক চুক্তিনাম চলিয়া আলিতেছে তাহার পরিষ্কার স্বচনা দেখিতে পাওয়া যায়। খ্ৰীষ্টপূৰ্ব্ব ৪র্থ শতকের এই পণ্ডিত যখন এত স্পষ্টভাৰে এই চুক্তির উল্লেখ করিয়াছেন—তখন তদপেক্ষ প্রাচীনতর সময় হইতেই রাজনীতিশাস্ত্রের এই মত-বাদ যে চলিয়৷ আসিতেছিল এইরূপ মনে করা অসঙ্গত হইবে না। বর্তমান সময়েও আমরা রাজার বা সরকারী শাসন-প্রণালীর কোন দোষ বা ব্যতিক্রম লক্ষ্য করিলে তৎক্ষণাৎ তাহদের কার্ধ্যের সমালোচন-প্রসঙ্গে বলিয়া থাকি—"প্রজার নানাপ্রকার কর-শুস্কাদি দিয়া থাকে, সুতরাং রাজা প্ৰজা হইতে প্রাপ্ত অর্থের বিনিময়ে স্বরক্ষার ব্যবস্থা করিবেন না কেন ? রাজা ত প্রজার ভূতিতে ভূতঅতএব তিনি প্রজার সেবক বা ভৃত্য। এখন দেখা যাউক কৌটিল্যের বাক্যের অর্থ কি। তিনি লিখিতেছেন—প্রজাগণ মাৎস্যন্তায়ে বা অরাজকতায় ক্লেশ-ভোগ করিয়া বৈবশ্বত মলুকে সৰ্ব্বপ্রথম রাজা নিযুক্ত করিয়াছিলেন এবং ব্যবস্থা করিলেন যে, ক্লীয় রক্ষা-কাৰ্য্যের বেতন জন্ত তিনি প্রজ কর্তৃক উৎপন্ন ধান্তের যষ্ঠ অংশ ও পণ্যের (বিক্রেয় দ্রব্যাদির ) দশম অংশ ও অক্ষান্ত কারণে রাজপ্রাপ্য তৎ-তৎ-প্রদেশপ্রসিদ্ধ হিরণ্য (নগদ মুত্র। ) ভাগধেয়রূপে প্রজার নিকট হইতে পাইবেন। এই ভাগধেয়-রূপ ভূতি গ্রহণ করিয়া তিনি প্রজাগণের যোগ ও ক্ষেম সাধন করিতে পারিবেন। [ “অলভ্যলাভে যোগ: স্তাং ক্ষেমে। লন্ধস্ত পালনমু ইতি যাদবঃ । ] রাজার আদেয় দগু ( অর্থদণ্ড লব্ধ ধন ) ও কর রাজ্যের কিস্বিষ (চৌর্ধ্যাদিজনিত নানারূপ পাপ ) দূর করিতে ও প্রজার যোগ-ক্ষেম-সাধক হইতে পারে। এই নিমিত্ত আরণ্যক ঋষিগণও তাহাদের উদ্ধৃবৃত্তি লব্ধ ধান্যাদির যষ্ঠভাগ রাজাকে প্রদান করিতেন এবং ভাবিতেন— “এই ভাগধেয় তাহারই লভ্য—যিনি আমাদিগকে রক্ষা করিবেন” । রাজা করদায়ীকে রক্ষণ করেন তাই গৌতমও ধৰ্ম্মসূত্রে রাজাকে "তন্ত্রক্ষণ-ধৰ্ম্মী” বলিয়া উল্লেখ করিয়াছেন। স্বতরাং দেখা যাইতেছে যে, প্রজার রক্ষা বিধানের মূল্যরূপেই রাজা রাজস্ব বা কর পাইয়া থাকেন। তাহার প্রধান ধৰ্ম্ম বা কৰ্ত্তব্য হইল প্রজার রক্ষাকার্য্য এবং উহার মূল্য স্বরূপ হইল প্রজা-প্রদত্ত করে বা ভাগধেয়ে তাহার অধিকার। কিন্তু তাহাতে অধিকারী বলিয়া তিনি প্রজার দুঃখ-দৈন্তের দিকে দৃষ্টিপাত না করিয়া উৎপীড়ন সহকারে যথেচ্ছভাবে মূলোচ্ছেদনপূর্বক যদি