পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] অতিভোগ, মধ্যম ভোগ ও অল্প ভোগ অনুসরণ করিয়া এই ভাগধের হার দশমভাগ, অষ্টম ভাগ বা যষ্ঠভাগরূপে নির্দিষ্ট ছিল। ইহা কিন্তু অতি প্রাচীন সময়ের কথা—কিন্তু পরে সাধারণত: ধান্যাদির বড় ভাগই বলিরূপে ধার্ঘ্য হইয়া গৃহীত হইত। প্রথম কোনও পতিত ভূমিখণ্ডে জনপদ নিবেশকালে রাজাকে দেখিতে হইত যে, প্রত্যেক নুতন গ্রামে ১•• হইতে ৫•• কুল বা গৃহস্থের বাস থাকে এবং গ্রামটি শূত্রজাতীয় কর্ধক বহল হর । এইপ্রকার ১৯টি, ২• •টি, ৪• •টি ও ৮• •টি গ্রাম-সমষ্টির মৃথাক্রমে নাম ছিল “সংগ্রহণ,” “কার্বFiș” (cf. Thana Town), “agtigs” (cf. S. D. “xtata” (cf. D. T. Town) এইসমস্ত স্থানে রাজা ঋত্বিক, আচাৰ্য্য, রাজা পুরোহিত ও শ্রোত্রিয় ব্রাহ্মণগণকে “ব্রহ্মদেয়” ক্ষেত্রভূমি দগু-কর রহিত করিয়া দান করিতেম। রাজকীয় বিভিন্ন শাসন-বিভাগের অধ্যক্ষগণ, সংথ্যায়ক প্রভৃতি রাজকৰ্ম্মচারিগণ, “গোপ” নামক দশগ্রামাধিপতি ও “স্থানিক” নামক নগর চতুর্ভাগাধিকারী ও অস্তান্ত বড় বড় কয়েকজন রাজভৃত্যও বিক্রয় ও আধানের অধিকার বর্জনে বিনা করে এইরূপ ক্ষেত্রাদি ভোগজন্য পাইয়া থাকিতেন। কৃষকগণের মধ্যে যাহারা শাস্ত্রবিহিত রাজদেয় ভাগাদি কররূপে দিতে স্বীকৃত থাকিত তাহারাই “কৃত-ক্ষেত্ৰ” (কর্ষণ-বপন-যোগ্য) পাইত এবং যাহারা “অকৃত” (সাধ্য সৌষ্ঠব ) ক্ষেত্র কর্ষণযোগ্য করার চেষ্টা করিত, তাহাদিগের নিকট হইতে তাহা কাড়িয়া লওয়া হইত না বরং সে-ক্ষেত্রকে হল-প্রয়োগের উপযোগী না করিতে পারিলে তাহার ক্ষতিপূরণ জন্য রাজাকে কিছু দিত। এমনকি, সেই অবস্থায় অনেক সময় রাজা তাহাদিগকে ধান্ত, পশু ও হিরণ্য (নগদ টাকা ) দিয়াও অনুগ্রহ করিতেন। কিন্তু এইরূপ পরিহার (exemption) ও অনুগ্রহ করিতে যাইয়া রাজাকে লক্ষ্য রাখিতে হুইত যেন তন্দ্বারা রাজ্যের কোষক্ষয় না ঘটে । Town) e ংস্তুক শুষ্কৰিধি ও তাঁহায় হীর ঠিক বর্তমান কালের প্রথাতে প্রজার স্কোপার্জিত মায়ের উপর যেভাবে যত হারে কর নির্দিষ্ট হইতেছে جو احس-:86 প্রাচীন ভারতে রাজ-কোষবিষয়ক বিধি-ব্যবস্থা ·GAL প্রাচীন সময়ে তদ্রুপ আয়কর বিহিত না থাকিলেও প্রায় প্রত্যেক প্রজাকেই কোনও না কোন প্রত্যক্ষ বা অপ্রত্যক্ষ কর দিতে হইতই। কি পশুরক্ষক,কি হিরণ্যের বৃদ্ধি-প্রযোক্তা (মৃদখোর), কি পণ্যষ্যবহারী বণিক, কি ফলমূলাদি বিক্রেতা সকলকেই নিয়মিত হারে নানা প্রকার শুষ্কাদি দিতে হইত। fashing (exported) s &ow (inported) Geofoo পণ্যজাতের উপরই শুঙ্কের ব্যবস্থা ছিল। প্রাচীন ভারতে কোন পণ্যই ইহার জাতি-ভূমিতে অর্থাৎ উৎপত্তিস্থানে বিক্রীত হইতে পারিত না । এই বিধি একটু কঠিন বলিয়া প্রতীয়মান হইলেও তাহা মধ্যবৰ্ত্তী ক্রেতুগণের হস্ত-পরিবর্তন হইতে পণ্যের রক্ষা সাধন করিয়া তাহার মূল্য সহনোপধোগী করিয়া রাখিতে সমর্থ হইত। পরদেশজাত পণ্য রাজার নিজ জনপদে বা নিজের জনপদ-জাতপণ্য স্বরাজ্যস্থিত দুর্গে, নগরে ও নিগমে প্রবেশু হইলে তৎ-তৎ-পণ্যের যাহা মূল্য তাহার পঞ্চভাগ রাজাদেয় শুদ্ধ—ইহাই সামান্তবিধি। কিন্তু পুপ, ফল, শাক, শুষ্ক মৎস্য ও মাংসাদির শুদ্ধ যষ্ঠভাগ ; ক্ষৌম, দুকুলাদী স্বল্প বস্ত্র, লৌহময় ও ধাতুঙ্গ দ্রব্যাদি, চন্দনাদি, স্বরা, গজদন্তনিৰ্ম্মিত ও চৰ্ম্মনিৰ্ম্মিত দ্রব্যাদির শুদ্ধ দশভাগ বা পঞ্চভাগ ; এবং অন্যান্য বস্ত্র, চতুষ্পদ ও দ্বিপাদাদি জন্তু, সুত্র, কাপাস, গন্ধদ্রব্য, ভৈঘজ্য,কাষ্ঠ, মৃদ্ভাগুাদি, তৈলাদি স্নেহময় পদার্থ, ক্ষার, লবণ ও পুঙ্কান্নাদির শুল্ক বিংশতি ভাগ অথবা পঞ্চবিংশতি ভাগ বিধেয় ছিল । শঙ্খ, হীরক, মণিমুক্ত প্রবালাদির উপর কোন শুদ্ধর ভাগ রাঙ্গবিধি নির্দিষ্ট থাকিত না,—জহুরী বা তল্লক্ষণবিদগণ এইপ্রকার পণ্যের উপর যে শুল্ক ধাৰ্য্য করিয়া দিতেন-- তাহাই রাজার প্রাপ্য ছিল । নানারূপ অপরাধ প্রমাণিত হইলে রাজবিহিত ষে অর্থদণ্ড অপরাধীকে দিতে হইত তদ্বারাও রাজকোষের বেশ আয় হইত। শুষ্ক প্রসঙ্গে এইরূপ আয়ের একটু পরিচয় দিতেছি। লৌহ লবণাদি খনিজ বস্তুর তৎতৎ-খনিতে ক্রীত হইলে ক্রেতাকে ৬•• পণ অর্থাও দিতে হইত, পুষ্পবাট ও ফলবাট হইতে পুষ্প বা ফল গৃহীত হইলে ৫৪ পণ, শাকাদির ক্ষেত্র হইতে শাকাদি লইলে ৫২ পণ এবং অস্কান্ত শস্তও তৎতৎক্ষেত্রে বিক্রীত হইলে গ্রহীতাকে ৫৩ পর্ণ অর্থদও দিতে হইত। ধে-ত্রব্যের যে