পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩৬২ জীবনের প্রায় স্বীর্ঘ চল্লিশ বৎসর অতিক্ৰম করিয়া রদ্যা শিল্পশ্বষ্টির জগতে প্রথম প্রবেশাধিকার লাভ করিলেন। ইহার আগে তাহার প্রতিভা বিকাশের जबकांश ८कांशीख भाइ नाझे बद्रर् गरुण निरु श्उ নিদায়, বিরূপ সমালোচনায় তাহার স্ফুটনোমুখ প্রতিভা অকালে ঋরিং পড়িবার আশঙ্কায় বারংবার চঞ্চল হইয়। পড়িয়াছিল। রদ্যার প্রদীপ্ত প্রতিভা শত জনের সহজ দৃষ্টিকে ভাস্করের মত তীব্র জ্যোতিঃপাতে বিপৰ্যন্ত করিয়া দিয়াছিল। তাহার সাধনার প্রথম বিকাশকে কেহ উড়াইয়া দিয়াছে নকল বলিয়া, কেহ বা তুচ্ছ করিয়া এড়াইয়া গিয়াছে কুৎসিত যলিয়া, কেহ বা বলিয়াছে তক্ষণশিল্পের প্রাথমিক নিয়মগুলিই ইহার আয়ত্ত হয় নাই। রদ্যা প্রথম হইতেই অতি পুরাতন শিল্পধারাকে এমন নূতন করিয়া নিজের মধ্যে গ্রহণ করিয়াছিলেন এবং র্তাহার প্রতিভা তৎপ্রবর্তিত ধারাকে এমন একটা নবরূপ দিয়াছিল যাহাতে তাহায় শিল্পস্থষ্টি প্রথম হইতেই সহজ গতানুগতিক পন্থীকে পরিত্যাগ করিয়া একটা বিশিষ্ট পথে যাত্রা করিয়াছিল। তাহার নিজস্ব নবপ্রবর্তিত এই ধারা পশ্চিমের কথাসমালোচকদের অভিধাননিবন্ধ স্বত্রগুলিকে অতিক্রম করিয়া শিল্পজগতে এক নূতন বিপ্লবের স্বষ্টি করিল। সাঁইত্রিশ বৎসর বয়সে রদ্যা প্যারীর প্রদর্শনীতে প্রথম র্তাহার শিল্প-নিদর্শন প্রেরণ করিলেন । পুর্ণ স্বগঠিত দেহ, উলঙ্গ দণ্ডায়মান একটি মানব মূৰ্ত্তি, গ্ৰীক ধরণের গড়ন, প্রত্যেকটি শিরা উপশিরা যেন দেহের প্রতি গতিছন্দের সঙ্গে নাচিতেছে, পরিপূর্ণ স্বাস্থ্য যেন মাংস-বহুল ঢেউ খেলানো পেশীগুলির উপর দিয়া উপন্থাইয়া পড়িতেছে। রেখার সেই কোমল লতানে ভঙ্গিম নাই, শিল্পীর হাতুড়ির প্রত্যেকটি নিয়মিত আঘাত ইহার প্রতি অণুকে শরীরের প্রত্যেকটি বিভিন্ন অংশকে জীবস্তু করিয়াছে। কিন্তু জীবন ইহার মধ্যে পরিপূর্ণভাবে লীয়ায়িত হইয়া উঠে নাই। এযেন এই মাত্র ঘুম হইতে জাগিয়া উঠিয়া গা মোড়া দিয়াছে, এখনও তাহার নিমীলিত নয়নে ও মুখে স্বপ্নবেশ–এক হাতে চুলগুলিকে মুঠি করিয়া ধরিয়া, আর একহাত প্রবাসী-আষাঢ়, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড সজোরে সঙ্কুচিত করিয়া নিদ্রার জড়তা ভাঙ্গিবার চেষ্টা যেন সৰ্ব্বত্র স্বপরিস্ফুট হইয়া উঠিয়াছে। রর্দ্যা প্রথম ইহার zijn:rgd zrfghtfotosa “The man awakening to Nature—জাগরণোন্মুখ মানুষ—নামটিতে অতি স্বন্দর করিয়া তাহার মনোভাব প্রকাশ পাইয়াছিল। চারিদিকে এই যে জীবন নানান ছন্দে, নানান রূপে লীলায়িত ইহারই সাড়া পাইয়া এই আদিম মানব অভিনব ম্পন্দনে জাগিয়া উঠিয়াছে। রদ্যা নিজেও যে এই জীবন ও সৌন্দর্ঘ্যের নবানুভূতিতে জাগিয়া উঠিলেন, তাহারও প্রতীক হইয়া উঠিল এই মূর্তিটি। কিন্তু প্রদর্শনীতে যাহারা ছিলেন বিচারক তাহাদের প্রাণ কবিত্বপূর্ণ কল্পনায় সাড়া দিল না। রদ্যা নাম বদলাইলেন “তাম্রযুগের মানুষ"। কর্তৃপক্ষদের চোখে মূৰ্ত্তিটি ভাল লাগিল কিন্তু তাহার যে মতামত প্রকাশ করিলেন তাহাতে রদ্যার শিল্পীচিত্ত একেবারে ভাঙ্গিয়া পড়িল । রদ্যাকে তাহার'প্রতারক’ বলিয়া গালি দিলেন, জালিয়াত বলিয়া কলঙ্কটক পরাইয়া দিলেন। র্তাহার বলিলেন,"মুক্তিটি নকল, আসলের ছfচ মাত্র, নহিলে এমন সৰ্ব্বাঙ্গসুন্দর মূৰ্ত্তি হইতে পারেনা। ব্রসেল্স প্রদর্শনী হইতেও একই জবাব আসিয়াছিল কিছু দিন আগে । সকলের সন্দেহদৃষ্টির অন্তরালে পড়িয়া রদ্যার বিকাশোম্মুখ প্রতিভা এইভাবে মসীলিপ্ত হইল। দুই বৎসর পরে কর্তৃপক্ষদের চোখে তাহদের অন্যায় অবিচার ধরা পড়িল কিন্তু যে ভাবে তাহারা তাহীদের অন্যায়ের প্রায়শ্চিত্ত করিলেন, তাহাতে রদ্যার প্রতি সুবিচার করা হইল না। এই ব্যাপারের পর হইতে মৃত্যুর শেষদিনটি পৰ্য্যন্ত রদ্যার শিল্পস্থষ্টি লইয়া সমগ্র যুরোপীয় শিল্পজগতে তুমুল আন্দোলন চলিয়াছিল। একদিকে নিনায় শতমূখ সমালোচককুল, অন্যদিকে প্রশংসায় মুখর রসিক স্বজন— ংখ্যায় দুইই প্রবল। খ্যানলব্ধ বাণীদ্বারা অনুপ্রাণিত ও stata esitz wtsuta šteta St. John the Baptist ভাষ্কর শিল্পের প্রাথমিক নিয়মকে অতিক্রম করার অপরাধে নিন্দিত হইল। লণ্ডনে রয়্যাল য়্যাকাডেমিতে র্তাহার শিল্পস্থষ্টি কোন স্থান লাভ করিতে সমর্থ হইল না । ইংলওে যাহারা আর্টে স্বাস্থ্যরক্ষার কৰ্ত্ত তাহার। চীৎকার