পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৩৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] দুই বার রাজা ৩৭৩ —আমাকে দশটা টাকা দেবেন না হয় । দরকার হর ফু’ বেলা এসেই পড়াব দু’ঘণ্টা ক’রে । টুম্ন বল্পে—ই্যা বাবা, একেই— কৰ্ত্ত বল্পেন—বেশ আসবে কাল। আর শোন, এ ফোর্থ ক্লাশে পড়লে কি হবে, এদের ইংরিজিট বেশ একটু দাত-কামুড়ানো। বাড়ী থেকে একটু প'ড়ে আসবে রোজ , আর আমি কাল সকালবেলাই একটা রুটিন্‌ ক’রে রাখব,—কবে আর কখন কি পড়াতে হবে। বুঝলে ? একটু ঝিমিয়ো কম। রোজ শেষ রাত্রেই টানটা টেনে আসে। তাই নিয়েই অমর বেরিয়ে পড়ল তাড়াতাড়ি, পাছে আগের ঠিক করা মাষ্টার চেয়ার বেদখল ক’রে নেয়,-দশটাকা থেকে নটীকা বারে আনায় নেবে । কেওড়া-কাঠের একটা খুখরো তক্তপোষ,—ওপরে একটা চাটাই পৰ্য্যস্ত নেই। ফাকে ফঁকে ছারপোকাদের বৈঠকখানা বসেছে। কর্তা একটা জল-চৌকি - টেনে নিরে কাছে ব’সে বল্লেন—এই রুটিন্‌ ক’রে দিয়েছি, দেখে নাও। ঐ চারঘণ্টা ক’রেই রইল,—সকালে দুই, বিকালে ফুই । নইলে ত সেই মাষ্টারকেই রাখতাম,—দিব্যি চেহারা, দেখলেই মনে হয় ছেলে মানুষ করতে পারবে। এম এ পাশ । পরে বিড়বিড় ক'রে বল্পেন—এখুনিই এসে পড়বে হয়ত। একটা ভাওতা মেরে দিতে হযে। দরজা ঠেলে ভেতরে যে এল,— অমর তাকে দেখে একেবারে অবাক হ’য়ে গেল,—মহীন । বোধ হয় বেচারা অনেকদিন আউটরাম ঘাটে গিয়ে চ খেতে পারেনি, তাই বুঝি এ চাকুরিট বাগাতে চেয়েছিল। অমর প্রশ্ন করলে—তুই কবে এম-এ পাশ কর্লি মহীন ? भशैन् निरकद्र क्रमाण वा'ब्र क'tब्र घांtङ्गद्र घांभ भूझ বরে—তুই পাশ করিস্নি নিশ্চয়। পনেরো তা হ’লে আর জোটেনি। থাইসিস’ বানান পেরেছিলি ত ? ব’লেই বাইকে ক’রে ছুট দিলে। • কৰ্ত্ত বল্পেন—দেখলে কাওটা। ভাড়িয়ে জোচ্চ রি ক’রে ঠকাতে এসেছিল,—ভাগ্যিস রাখিনি। পরে চৌকিটা আরো একটু কাছে টেনে বল্লেন—পড়াও ত বাপু, শুনি । ছেলে বল্লে—তুমিও আমার সঙ্গে পড়বে নাকি বাবা ? কৰ্ত্ত বল্পেন—দেখি না কেমন পড়ায়,—মানেগুলো সব ঠিক বলতে পারে কি না। হ্য, আরম্ভ ক’রে ॉ8, অমর বল্লে—কি ভাবে আরম্ভ করব, তাও যদি ব’লে দেল । কৰ্ত্ত ঘাড় চুলকে বল্লে—ত হ’লে আর তোমাকে মাষ্টার রেখেছি কেন ? —কি হ’লে আপনার মনোমত হবে, তাও ত একাত্ত জানা দরকার দেখছি। নইলে—ছেলে রেগে বললে— আমি আজ কিছুতেই পড়ব না বাবা, তুমি এরকম করলে। তুমি যাও চলে। তৃতীয় পক্ষের ছেলে। বাপ জলচৌকিট নিয়ে চলে গেল । যাওয়া মাত্রই ছেলে উঠে দরজায় খিল্‌ এটে একট। বালি-কাগজের ছেড়া খাতা বার করে বল্লুে-একট। কবিতা লিখেছি মাষ্টার মশাই। শুনবেন ? একটা হাস দুই সাদা ডান মেলে জলে ভাস্ছিল,—কতগুলি পাজি ছেলে তাকে ধ’রে কেটেকুটে কাটলেট বানাচ্ছে— স্বকুমার ছেলে—দুটি কালো চোখে মুগভীর মৃদুর কৌতুহল, যেন দুটি মণির প্রদীপ জালিয়ে অন্ধকারে কি অমুসন্ধান করছে। {y* অমর শুধু বল্পে—এখন ওসব থাকু। এবার পড়ি «HÚHi | ছেলে অবাক হ’য়ে বল্পে-কেন বলুন ত,-বাবা কবিতার নাম শুনে দাত মুখ খিচিয়ে খড়ম লিম্বে তেড়ে আসেন, মা পড়ে পড়ে কাদেন,—আর আপনিও কবিত ভালোবাসেন না । তবে, আমাদের বইয়ে এত কবিতা লেখা কেন ? শুনেছি, আমাদের দেশে এক প্রকাও কবি আছেন, তিনি না কি ছেলেবেলায় আমার মতে ইস্কুল