পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—যুবকদের জন্য কাজ ও প্রাথমিক শিক্ষা 88S) তাহাঁদের পরিশ্রমে শ্বেতকায়ের ধনী হইলেও, তাহাদিগকে, “কাজের সময় কাজী কাজ ফুরোলেই পাজী,” নীতিঅনুসারে পরে নানা উপায়ে অৰ্দ্ধচন্দ্র দেওয়া হয়। চতুর্থ কারণ, ইংলণ্ডের কোন ও উপনিবেশে এবং আমেরিকায় ভারতবর্ষীয়েরা অবাধে গিয় বসবাস করিতে পারে না, বা নাগরিক ও রাষ্ট্রীয় অধিকার পায় না। ভারতীয়দের সংখ্যার যথেষ্ট বৃদ্ধি না হওয়ার কয়েকটি কারণ শিশুমৃত্যুর আধিক্য, নিবার্ঘ্য রোগ ও মহামারীর প্রাদুর্ভাব, অনেকের আজীবন অন্নকষ্ট, এবং ঘনঘন দুর্ভিক্ষ । mmm যুবকদের জন্য কাজ ও প্রাথমিক শিক্ষা সাধারণতঃ আমাদের দেশে বেকার-সমস্ত যে খুব একটা কঠিন সমস্যা, তাহা অনেকে অনেক বার বলিয়াছেন। অনেকে একথাও বলিয়াছেন এবং বলিতেছেন, যে, নেতাদের আহবানে যুবকের দেশের কাজ করিবার জন্য ঘরের বাহিরে আসিয়া দাড়াইয়াছিল ; কিন্তু নেতার নিজের নিজের কাজ হাসিল করিলেন বটে কিন্তু যুব কদিগকে কোন কাজ দিলেন না, যদিও তাহারা পেটভাতায় খাটিতে রাজী ছিল । আমরা একটা কাজের কথা বলিতে চাই, যাহা সকলেই সহজে বুঝিতে পারিবেন। যে-দেশের অধিকাংশ লোক নিরক্ষর ও অশিক্ষিত, এরূপ কোন দেশ কোন দিকেই বেশী উন্নতি করিতে পারে না। যে কোন দিকেই উন্নতি করিতে চান, শিক্ষার আবশ্যক। কোন দেশের সকল ছেলে-মেয়ে ও প্রাপ্তবয়স্ক নরনারী লিখনপঠনক্ষম ও শিক্ষিত হইলে, তাহ। নিরক্ষর ও অশিক্ষিতের দেশ অপেক্ষ উন্নত ও শক্তিশালী হইবেই। দেশকে শিক্ষিত করিতে হইলে সব বালকবালিকার শিক্ষার বন্দোবস্ত করিতে হইবে। তাহার গোড়াপত্তন হয়, প্রাথমিক শিক্ষায় । মোটামোটি ইহা ধরা যাইতে পারে, যে, পাচ হইতে দশ বৎসর বয়সের ছেলেমেয়ের প্রাথমিক শিক্ষা পায়। ব্রিটিশশাসিত ংলা দেশে এরূপ বালকবালিকাব অর্থাৎ ৫ হইতে ১০ বৎসর বয়স্ক শিশুর সংখ্যা ১৯২১ সালের সেন্সাস অনুসারে ৭৩,৪২,৫৫৮ । ১৯২৫-২৬ সালের সবুকারী শিক্ষা-রিপোর্টে দেখিতে পাই, ১৯২৬ সালের ৩১শে মার্চ বঙ্গের প্রাথমিক বিদ্যালয় সকলে ১৬,৫৯,৫৫৫টি বালকবালিকা পড়িতেছিল। অর্থাৎ যত ছেলেমেয়ের পড়া উচিত, তাহার দিকিরও কম পড়িতেছিল। যাহারা পড়িতেছিল তাহাজের জঙ্ক পাঠশালার সংখ্যা ছিল ৫০,৯২৩। cभाüi८भां*ि श्राब्रeि फूहे जय श्रांठेषांला झहेरण बांकौ ছেলেমেয়েদের পড়াশুনার বন্দোবস্ত হইতে পারে । এই দুই লক্ষ পাঠশালা যদি স্থাপিত হয়, তাহা হইলে তাহার প্রত্যেকটির জষ্ঠ অস্তত: একজন করিয়ু পণ্ডিত বা গুরুমহাশয় আবগুক ধরিলেওঁ দুইলক্ষ শিক্ষিত বেকার লোকের এখনই অন্নসংস্থান হয়, এবং প্রাথমিক শিক্ষবিস্তাররূপ দেশের মহা উপকার সাধিত হয় । ইহা সাক্ষাৎ ভাবে স্বরাজ, দেশমাতৃকার পূজা, দেশের জন্য আত্মবলিদান প্রভৃতি কোন উত্তেজক উন্মাদক ব্যাপার নহে ; সামান্ত পাঠশালার কথা । কিন্তু ইহা বড় বড় আর সব জিনিষের ভিত্তি। এইজন্য এই কাজটি করিতে হইলে কত টাকা লাগিবে, তাহারও একটি হিসাব দিতেছি। পূৰ্ব্বোক্ত সরকারী শিক্ষরিপোর্টে লিখিত হইয়াছে, বে, পাঠশালায় এক একটি ছাত্রছাত্রীকে শিক্ষা দিবার বাধিক ব্যয় ওu৫ । ১৯২১ সালে ৫ হইতে ১৯ বৎসর বয়সের ছেলেমেয়ে বঙ্গে ৭৩,৪২,৫৫৮ ছিল, এখন হয়ত ৭৫,• •, • • • হইয়াছে, এবং তাঁহাদের প্রত্যেকের শিক্ষার ব্যয় আরও কিছু বেশী ধরা যাক, যাহাতে উছা উংকৃষ্টতর হইতে পারে। ৩৭৫ এর জায়গায় মাথা পিছু ৪২ ধরিলে পচাত্তর লক্ষ ছেলেমেয়ের বাধিক প্রাথমিক শিক্ষার ব্যয় তিন কোটি টাকা হয়। অর্থাৎ বার্ষিক তিনকোটি টাকা ব্যয় করিলে ছাত্রছাত্রীদের নিকট হইতে একটি পয়সাও বেতন না লইয়া বাংলাদেশের সমুদয় ছেলেমেয়েকে প্রাথমিক শিক্ষা দেওয়া যায়, অধিকন্তু বৰ্ত্তমানে বেকার মুনিকল্পে দুই লক্ষ লোককে জনহিতকর কাজ দেওয়া যায়। দুই লক্ষ কম করিয়া ধরিয়াছি । তিন লক্ষ বেকার লোকের কাজ হইবে, বলিলে আরও ঠিক বলা হইত। কেবল এই দুই বা তিন লক্ষ লোকেরই যে কাজ হইবে, এমন নয়। পচাত্তর লক্ষ ছেলেমেয়ের শিক্ষার জন্য বিস্তর পুস্তক চাই, কালি কলম কাগজ চাই, প্লেট পেন্সিল চাই । সুতরাং প্রাথমিক শিক্ষার বিস্তারে আরও অনেক লোকের কাজ জুটিবে। গ্রন্থকার, ছাপাখানার লোক, পুস্তকবিক্রেতা, কাগজনিৰ্ম্মাতা ও বিক্রেতা, কালিকলম শ্লেটপেন্সিল নিৰ্ম্মাতা ও বিক্রেত প্রভৃতির কাজ ও আয় বাড়িবে। প্রাথমিক শিক্ষা যাহারা পাইবে, তাহীদের মধ্যে কতকগুলি ছেলেমেয়ে উচ্চ বিদ্যালয়ে, কতকগুলি কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পৰ্য্যস্ত যাইবে । স্বতরাং উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজের সংখ্যা বাড়িবে, শিক্ষক ও অধ্যাপক আরও নিযুক্ত করিতে হইবে, এবং পুস্তক কালি কলম কাগজ পেন্সিল আদির কাটতি বাড়ায় গ্রন্থকার মুদ্রাকর কাগজওয়ালা প্রভৃতির সংখ্যা ও আয় বাড়িবে। এখানে কথা উঠতে পারে, যে, কেবল কেতাবী