পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৪৯৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8ግ8 প্রবাসী –শ্রোবণ, ১৩৩৪ [ २१* छांग, ४भ थe পষ্ণু বলিল, “ও আগে কেন ছেলেদের সঙ্গে খেলতে ? ঘরে বসে পুতুল খেললেই পারে! ছিঃ র্কাছনী খুকি। কই বেল ত কাছে না ?” যুবতী একটু হাসিয়া মেয়েটিকে টান দিয়া জল হইতে উঠাইয়া লইয়া চলিল। বড় মেন্থেটি নিজেই উঠিয়া কাপড়চোপড় ঝড়িয় তাহাদের সঙ্গ লইল । যে যুবতীটি এতক্ষণ একলাই বালির উপর বসিয়াছিল সে জিজ্ঞাসা করিল, “চললি নাকি, কৃষ্ণ ? তাহলে আমিও छु ।” কৃষ্ণ বলিল, “তোর এত সাত তাড়াতাড়ি উঠবার কি দরকার ? আমি এগুলোকে বাড়ী পৌছে আবার আসছি। এই ত সবে সদ্ধে হ’ল, এর মধ্যে ঘরে ঢুকে কি কবি ? আর ত ক'ট দিন মাত্র ছুটীর বাকি আছে, একটু গল্প-স্বল্প ক’রে নেওয়া যাক, এরপর ত আবার ঘানিতে জুততে হবেই নিজেদের ” অন্য মেয়েটি উঠিয়া পড়িয়া বলিল, “ত। চল বরং তোদের বাড়ীর সাম্নেই ঘোরা যাবে। এখানে একল বসে থাকুতে, গাটা কেমন ছমছম করে । পাড়ার ছোড়গুলোও বড় বদ, সেদিন প্রভা ষলছিল সন্ধ্যার সময় কে একটা তার গায়ে ফুল না কি ছুড়ে মেরেছিল।” কৃষ্ণ বলিল, “প্রত্যেক মেয়ের উচিত বেড়াতে বেরবার সময় একটা চাবুক সঙ্গে রাখা, আর এরকম বারামি দেখলে আর কথাটি না বলে এইসব রসিক-চূড়ামণিদের . আগাগোড় চাব কে দেওয়া । তা হ’লে এদের রসাধিক্য একটু কমে বোধ হয়। আমার গায়ে অবশু কেউ কিছু ছেড়েনি, কিন্তু গুটি দুই তিন ছেলে ঠিক ক'রে নিয়েছে যে, আমার একটt guard of honour দরকার। যখন যেখানে যাই, দেখি অস্তুতঃ চারগজের মধ্যে তার কোথাও-না-কোথাও আছে।” কৃষ্ণার সঙ্গিনী লাবণ্য হাসিয়া বলিল, “অমন রাণীর nos CEEEicooto writto no Esguard of honour হ’ড়ে, ওর। ত পুরুষ মানুষ ! তোর নাম কে যে কৃষ্ণ রেখেছিল আমি তাই ভাবি। আমাদের দেশে কাণ৷ ছেলের নাম পালোচন ড়ের দেখা যায়, কিন্তু তোর বেলা

হয়েছে দেখছি পদ্মলোচনের নাম কাণ । তোর নাম কৃষ্ণ না হ’য়ে তপতী হ’লে ঠিক মানাত।” কৃষ্ণ বলিল, “আর ত বুড়ে বয়সে নাম বদলানো চলে না, তা না হ’লে তোর দেওয়া নামটাই বাহাল করতাম। ইউনিভার্সিটির কল্যাণে নামটা ছাপার অক্ষরেও উঠে গেছে অনেক বার, এখন বদলালে আমারই মুস্কিল । কৃষ্ণ রায় য’লে বি-এ পাশ ক’রে, তপতী রায় ব’লে চাকুরী নিতে গেলে কেউ ত চাকুরী দেবে না ?” লাবণ্য বলিল, তুই আর কদিন চাকুরী কর্বি ? দুদিন পরেই লাল বেণারসী পরে কার-না-কার ঘর আলো করতে চ’লে যাবি। নিতান্ত মা বাবা নেই তাই এতদিন ছাড়া আছিল, পিছন থেকে ঠেলা দেবার লোক থাকূলে এতদিনে তিন ছেলের মা হ’য়ে বসতিস্।” কৃষ্ণ, বলিল, “ভাগ্যে নেই! আমার বিয়ে করবার উৎসাহ খুব যে বেশী ত বলতে পারি না। বিয়ে ভ আমাদের দেশে সব মেয়েই করে, কিন্তু তাতে তাদের লাভটা যে কি ভাত দেখি না। দুর্ভিক্ষপীড়িত দেশে আরো ক'টি অনাহারে কাটাবার প্রাণী জুটিয়ে দিয়ে ধায় মাত্র । বিয়ে ক’রে শারীরিক, মানসিক, বা জাধ্যাত্মিক উন্নতি হয়েছে, এমন একটা মেয়ের নাম কর ত ?” লাবণ্য বলিল, “ষ, যা, পাকামি করতে হবে না। উন্নতির জন্যেই সবাই বিয়ে করে আর কি ? একদলের মা বাপে বর জুটিয়ে দেয়, মেয়ের খাওয়া-পরার একটা ব্যবস্থা হওয়া দরকার ভেবে, আর একদল নিজেই জোটায় প্রাণের দায়ে, না জুটিয়ে তাদের শাস্তি থাকে না ব’লে।” কৃষ্ণ বলিল, “আমি দুই দলেরই বাইরে পড়ব । ম! বাপও নেই যে ঘড়ি থেকে নামিয়ে নিশ্চিন্ত হবে, আর আমারও এখন এত ভূতে ধরেনি যে, একটি হাড় জালাবার লোক ন জুটলে শান্তিই পাব না। আমি ত ভাবছি সেই আমেরিক যাবার স্কলারশিপট জোগাড় করব, এর পরের বছর । চাকুরী ক’রেই যখন চালাতে হবে, তখন যাতে একটু ভদ্র গোছের মাইনে পাওয়া যায়, তার চেষ্টা কর} উচিত । এ কি জার একটা জীবন | কোন রকমে ৰেচে থাকা, ভক্তপোষের ছারপোকাগুলো ষেমল থাকে *