পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] পরভৃতিক 88సి সাধারণ গৃহস্থ ঘরের অপেক্ষা অনেকখানিই উচ্চদরের ছিল, এরং উহা সম্বন্ধে কৃষ্ণায় সচেতনতারও অভাব ছিল না। মেয়ে মহলে ইহা লইয়া সমালোচনা চলিত যথেষ্ট। কৃষ্ণ ষে খুবই স্বন্দরী কি না, সে-বিষয়ে মতভেদ অনেক সময় দেখা গেলেও, সে ধে অবস্থার অতিরিক্ত বিলাসিত করে, এ বিষয়ে কোনই মতভেদ দেখা যাইত না । কোথাকার কুড়নো মেয়ে তার ঠিক নাই, তাহার আবার অত বিবিয়ানা কেন বাপু । এ সব সমালোচনা কখনও যে কৃষ্ণার কাণে ন যাইত, তাহা নহে, কিন্তু নিজের সুন্দর সমুন্নত নাসিক অবজ্ঞায় কুঞ্চিত করিয়া সে ধেন আরো দ্বিগুণ উৎসাহে আপনার মতেই চলিতে থাকিত । নির্দিষ্ট গৃহে পৌছিয়া, কৃষ্ণ ছাতা মুড়িয়া বাড়ীর ভিতর ঢুকিয়া পড়িল। একটি ছোট ছেলে তাঁহাকে খবর দিল যে মা বাড়ী নাই, বাবা বসিয়া কাগজ পড়িতেছেন। অভাবপক্ষে তাহারই সহিত কথাবাৰ্ত্ত কহিয়া সব স্থির করিয়া লওয়ার অাশায় কৃষ্ণ ছেলেটির পিছন পিছন বসিবার ঘরে গিয়া উপস্থিত হইল । গৃহস্বামী তাহাকে অভ্যর্থনা করিয়া বসাইলেন। কৃষ্ণা বলিল, “আমি একজন সঙ্গী খুঁজছি। আপনার যাচ্ছেন শুনে, জানতে এলাম কবে যাবেন। আমি সঙ্গে এলে কি আপনাদের কোনো অসুবিধা হবে.?” ভদ্রলোক হাসিয়া বলিলেন, “অসুবিধা হবে কি রকম ? অসুবিধা হ’লে আপনারই হবে। আমার ছেলে-মেয়েগুলো কি রকম জানোয়ার দেখেছেন ত? আপনার হাড় জালিয়ে তুলবে এক ঘণ্টার মধ্যেই। পঞ্চ নাকি সেদিন বেলার চোখে বালি দিয়ে দিয়েছে ?” কৃষ্ণ বলিল, “কোথায় ? খেলতে খেলতে একটুখানি লেগে গিয়ে থাকৃষে। আমার হাড় খুব শক্ত, সহজেই জলে না। আপনারা কি পরশু যাবেন ?” পঞ্চুর বাধা বলিলেন, “গাড়ী রিসার্ভ করে যেতে হবে । আমাকে, তা না হ’লে বাচ্চ-কাচ্চ নিয়ে গিরির বড় অস্থবিধা হয়। পরশু না পাই, ত তার পরদিন যায ।” কৃষ্ণ বলিল, “আচ্ছা, আমি আসি তাহ’লে। আমার টিকিটটাও আপনি তাহ’লে ক’রে দেবেন। আমি বাড়ী গিয়ে টাকা পাঠিয়ে দিচ্ছি।” গৃহস্বামী বলিলেন, “টাকার জন্তে কিছু ভাড়াতাড়ি নেই। একটা 'একৃষ্ট্রা টিকিট আমার গাড়ী রিসার্ডের জন্তে নিতেই হয়েছে, আপনি যখন হয় টাকা দিলেই হবে ।” কৃষ্ণ আবার লীলাকে লইয়া পথে বাহির হইয়া পড়িল । পথ এখন তাতিয়া গরম হইয়া উঠিয়াছে। লীলার খালি পায়ে পাছে ফোস্কা পড়িয়া যায়, এই ভয়ে কৃষ্ণ তাeার হাত ধরিয়া খুব ইন্‌হন করিয়ু চলিতে আরম্ভ করিল। মনে মনে হিসাব করিতে করিতে চলিল, তাহার স্থাতে কত টাকা আছে, এবং তাহার খরচ কত পড়িবে। ধোপা এখনও তাহার কাপড় দিয়া যায় নাই, সেও এক মুস্কিন্সের কথা। বাড়ী গিয়াই চাব রটাকে তাহার সন্ধানে পঠাইতে হইবে। টাকার হয়ত এব টু টানাটানিই পড়িবে। টিকিটের দাম দিয়া, গাড়ীভাড়া, কুলিভাড়, প্রভৃতির জঙ্গ টাকা দশ হাতে রাখিলে, লীলা, বেলাদের কিছুই কিনি। দেওয়া চলিবে না। নিতাস্ত দুই চারি আনা দামের জিনিষ দিতে তাহার কিছুতেই মন ওঠে না। প্রতিবার ছুটীর সময়েই প্রায় তাহাকে ইহাদের বাড়ী আশ্রয় লইতে হয়। র্তাহারা বিছু কৃষ্ণার কাছে থাকিবার বা খাওয়ার খরচ লন না । তাই, পরের অল্প ধ্বংস করার লজ্জা কাটাইবার জন্তু কৃষ্ণা প্রতিবারেই ছেলেমেয়েদের ভ দ্য বেশ কিছু খরচ করিয়া উপহার কিনিয়া আনে, অথবা যাইবার সময় কিনিয়া দিয়া যায় । ইহারা তাহার পালিকা মাতার অনেক কালের বন্ধু । সেই হিসাবে কৃষ্ণাকে বাড়ীর মেয়ের মতই আদর যত্ন করেন, কিন্তু বিন প্রতিদানে কেবল উপকার গ্রহণ করিতে কৃষ্ণার দৃপ্ত মন বড়ই স্কুচিত হইয়৷ পড়ে। তাই সে এই উপায় বাহির করিয়াছে। কিন্তু এবার তাহার যে রকম টাকার টানাটানি, কি করিয়া ষে সে কি করিবে, বিছু বুবিয়া উঠিত্বে পারিতেছিল না। পিছন হইতে কে যেন ७शैि বলিল, “কি গো কুন্দরী, এত উৰ্দ্ধশ্বাসে কোথায় চলেছ ?” কৃষ্ণ পিছন ফিরিয়া লাবণ্যকে দেখিয় বলিল, “কোথাও চলছি না, বাড়ী ফিরছি। পঞ্চুদের বাড়ী গিয়েश्लिाम बांeब्रॉब्र ग्रैिक कद्रङ । छूहे ८कॉषाग्र बांऋिग এখন ? কবে যাওয়া ঠিক কলি ? আম্ব না।”