পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ঋষি টলষ্টয়ের একখানি চঠি রম্য রল। মহাত্মা টলষ্টয়কে আমি প্রথম চিঠি লিখি সে আজ চল্লিশ বছর আগেকার কথা; ১৮৮৭ সালের মে মাসে তাকে চিঠি লিখিবার একটা তাগিদ অাসে ; তরুণ যৌবনের সংশয়সন্দেহের মধ্যে হাবুডুবু খাইতে খাইতে একটা নির্ভরভূমি খুজিতেছিলাম। আমি আছি—কারণ আমি অনুভব করিতেছি—এই অপরোক্ষ অনুভূতির উপর ভূমায় আমার বিশ্বাসকে প্রতিষ্ঠিত করিতে চেষ্টা করিতেছিলাম—সেই g(5ëta èfè&f* wfwf Credo Zunia Verum শীর্ষক প্রবন্ধে সুচিত হইয়াছে । ( “আত্মদর্শন,” প্রবাসী, বৈশাখ ১৩৩২ দ্রষ্টব্য )। সে সময় টলষ্টয় শিল্প বস্তুটা কি ?’ (What is Art) লিথিয়াছেন । শিল্পীর কৰ্ত্তব্য সম্বন্ধে তিনি যাহা বলিয়াছিলেন তাহ পাঠ করিয়া মনের মধ্যে বিষম একটা খটকা লাগিল ; টলষ্টয়কে আমি বুঝিতে পারিলাম না। সেই সময় তাকে যে চিঠিখানি লিখি তার দুই চারিটি টুকরা মাত্র আমার ডায়েরীতে টোকা ছিল । তার সাহায্যে আমার মনের অবস্থাটার কিছু আভাস দিই :– আমার চিঠি মহাত্মন! আপনার প্রতি আমার গভীর শ্রদ্ধা ও ভক্তি আমায় আপনাকে চিঠি লিখিবার দুঃসাহস দিয়াছে। অপরিণতমতি এই দীন ভক্ত আপনাকে কতকগুলি নিরর্থক উচ্ছ্বাস শুনাইতে আজ আপনার সম্মুখে আসে নাই । সে ভাবে আপনার প্রতি অমৰ্য্যাদা দেখাইতে আমি পারি না, কারণ আমি আপনাকে নিবিড় ভাবে চিনি••• ••• ••• ••• - মৃত্যু আমার চারিদিকে যেন এক কুহকজাল বিস্তার করিয়াছে ; আপনার গ্রন্থ পাঠ করিতে করিতে অনুভব করিয়াছি যেন প্রতিভূত্রে মৃত্যুর ছায়াপাত—বিশেষত আপনার আইভান ঈলিচ, (Ivan Ilitch ) পাঠে 08-سم جوي আমার মন ধেন অস্থির হইয়াছে। ... ... আমি বেশ স্পষ্ট বুঝিয়াছি এই যে প্রতিদিনের কেজে जौवन ७फ़ै। आमाप्नब्र गङा छौदन नम्र “ “ | এক দিকে জীবে জীবে স্বার্থঘটিত সংঘর্ষ, অন্যদিকে এক অখণ্ড শাশ্বত জীবনের মধ্যে গভীর সমন্বয় ; সংঘর্ষ कभरेझ ७हे मप्रश्नमन्त्र टिक श्उद्दे अश्चमग्न श्हेश चौदन ততই সত্য হইয়া উঠিবে। আমাদের খগু সত্তাকে অখণ্ড অসীম প্রাণের সাগরে ডুবাইয়া বিলীন করিয়া দিতে হইবে—ইহাইত আপনার বাণী। এ বাণীকে আমার সমস্ত প্রাণ দিয়া গ্রহণ করিয়াছি—আমার সমস্ত ভাবনা ও চিন্তা আপনার পদাঙ্কাকুসরণ করিতেছে...। আমি বুঝিয়াছি আমাদের স্বাৰ্থ আমাদের অহংবোধকে দূর করিতে হইলে, সেই মহান ত্যাগটি সত্য করিতে হইলে একটি জিনিষ প্রয়োজন-সমস্ত সৌখিন কল্পনা ও ভাবাচ্ছাস দূর করিয়া বিশ্বমানবের কল্যাণরতে নিযুক্ত হওয়া। আপনি বলিয়াছেন—চিন্তার ক্ষমতা, হৃদয়ের প্রশাস্তি আনিতে হইলে, ক্ষুদ্র আমিত্বের অশুভ চেতনার জাল ছিন্ন করিতে হইলে আমাদের একমনে পরসেবায়, লোকহিতকর কার্য্যে—শারীরিক শ্রমসাধনে লাগিতে হইবে। সেই ত জীবনের পরম আশীৰ্ব্বাদ......স্কুদ্র আমিকে ভুলিয়া মাওয়া। মহাত্মন! আমি প্রাণপণে ভুলিতে চাই —আমি বিশ্বাস করি ক্ষুদ্র আমিকে ভুলিতে পারিব। কিন্তু একটি প্রশ্ন কিছুতেই মন হইতে তাড়াইতে পারিতেছি না; তুচ্ছ অহমিকার কবল হইতে মুক্তি কেবল হাতের কাজের ভিতর দিয়া হইবে একথা এতটা জোরের সঙ্গে আপনি কেন বলিতেছেন আমি বুঝিতে পারিতেছি না ; এই প্রশ্ন আমার সমস্ত হৃদয় মনকে ব্যাপ্ত করিয়া আছে। শিল্পের প্রতি আপনি নির্দয় হইয়াছেন কেন ? শিল্প কি আত্মোৎসর্গ-সাধনের একটি প্রকৃষ্ট-উপাদান নয় । আপনার নূতন প্রবন্ধ “কি করা