পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

éte२ প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ছেড়ে দিলে ? অামার ত ভাইদের খাইয়ে আসতেই বেলা একটা হ’য়ে গেল।” রাজীব একটু অপ্রস্তুত হইয়া বলিল, “গরীবের যোনের ভাইফোট, খাওয়াও যা, না খাওয়াও তা।” মেয়েটি রাজীবের মুখের দিকে তাকাইয়া মেয়েটি বলিল, “তবুত কষ্ট করে করা ” রাজীব কাষ্ঠ হাসি হাসিয়া বলিল, “কষ্টলাঘবের একট। মস্ত উপায় হচ্ছে, কিছু না থাকা ; আমার বোনের সেই উপায়টা আছে, কাজেই কষ্ট তাকে করতে হয় না।” রন্ধনশালার তদারক শেষ করিয়া স্বসজ্জিতা সালঙ্কার সরমা আসিয়া ঘরে ঢুকিল। তাহার হাতে একরাশ ফুলের মালা ও রূপার থালায় ধানদুৰ্ব্বা ও চন্দন। পিছন পিছন একটি ভৃত্য একটা পিতলের বড় থালার উপর একটা শাখ, তামার একটি ঘট ও নানা রকম খোলা ফুল লইয়া ঘরের মাঝখানের টেবিলের উপর রাখিল। ভক্তবৃন্দ সরমাকে দেখিয়া নম্রহাস্তে মুখ আলোকিত করিয়া উঠিয়৷ দাড়াইল। সরমা রূপার খালাটা নামাইয়া বাজুবন্ধ-পর তাহার শুভ্র স্বন্দর হাতখানি দোলাইয়া বলিল, “আজ আমি সকলের বড় ; আমি কাউকে প্রণাম কবৃতে-টবৃতে পারব না। আমায় যার প্রণাম করবে, তাদের অনেক আশীৰ্ব্বাদ করব।” চারিধারে ঘুরিয়া তাকাইয়া হালির প্রসাদে বন্ধুবৰ্গকে তৃপ্ত করিয়া সরমা বসিয়া পড়িল। নিমন্ত্রিতা আর তিনটি মেয়েকে কাছে ডাকিয়া সরমা একজনের হাতে চন্দনের বাটি, একজনকে ধানদুৰ্ব্বা ও একজনকে চূর্ণ ফুলগুলি দিল। সরমা উঠিয়া দাড়াইয়া সকলের গলায় এক এক ছড়া ফুলের মালা পরাইয়া দিল । নীরদ হাসিয়া বলিল, “বোঁদি, ভাইফোটার এটাও কি একটা অঙ্গ ? দাদা কিন্তু রাগ করতে পারেন।” সরমা সুন্দর তর্জনীটি রঞ্জিত ওষ্ঠাধরের উপর রাখিয়া বলিল, “খবরদার । একটিও কথা বলবে না। আজ তোমরা সবাই আমার ছোট ভাই।” রাজীব ও তাহার बक्कन কুতাৰ্থ হইয়া গেল। প্রভঞ্জনের মত শিংভাঙ্গার দল একটু মুখ ফিরাইয়া মুচকি হাসিল। শঙ্খধ্বনি ও গুপাঞ্জলি বর্ষণের মধ্যে অল্পবয়স্ক সেই মেয়েটি সকলকে এক একট। চন্দনের ফোট পরাইয়া দিল। মেয়েরা সকলে সরমার দুইধারে একটা বৃত্তের মত ঘিরিয়া বসিল। ছেলেরা একে একে তাহাঁদের পুষ্পগুচ্ছের অর্ঘ্য হাতে নমস্কারের ভঙ্গীতে আসিয়া যুক্ত করে অর্ঘ্য নিবেদন করিতে লাগিল। প্রথমজনের পদক্ষেপের সঙ্গে-সঙ্গেই মেয়েদের ঘিরিয়া ছোট ছোট বিজলীর বাতি বৃত্তাকারে পায়ের তলায় জলিয়া উঠিল। বাহির হইতে একবার রাজীব শঙ্খধ্বনি করিয়া উঠিল। তারপর আহারের পালা। মেয়েদের পরিবেশনে আকণ্ঠ আহার করিয়া সকলে যখন উঠিল তখন চারটা বাজিয়া গিয়াছে। প্রভঞ্জন বলিল, “আজকার ব্যাপারটা ত খুব ‘সকৃশেশফুল” হ’ল, সরমাদি। এর পরেরটা ত এমন সরস জিনিষ নয়। কিন্তু তোমাকে সেটা সরস করে তুলতে হবে।” সরমা বলিল, “কি এবার সাহিত্যসভা, সঙ্গীতসভা, শ্রমিকসভা, আনন্দসভা, দেশহিতসভা না কোনটা ?” প্রভঞ্জন বলিল, “ন, এবারকার মত ও সভাগুলো ত হ’য়ে গিয়েছে ; এবার আমাদের দরিদ্রবন্ধু সভার ওপনিং মিটিং’। দুর্ভিক্ষ, দারিদ্র্য ইত্যাদি সম্বন্ধে বেশ গরম গরম লেখা চাই ।” নীরদ বলিল, “রাজীব খুব একটা করুণ রকম গান লিখে দিতে পার না ?” সরমা বলিল, “প্রবন্ধটা আমি লিখব। কিন্তু দুর্ভিক্ষ সম্বন্ধে ফ্যাক্টস আমার বেশী জানা নেই।” প্রভঞ্জন বলিল, “তাতে কি ? এবছর ত সবই আমাদের প্রায় ওপনিং সেরিমনির উপর দিয়েই গেল । তাতে বেশী খুটিনাটির দরকার হয় না। উৎসাহ জার উত্তেজনা জাগাতে পারলেই হ’ল।” অল্পবয়স্ক মেয়েটি টিল্পনি কাটিয়া বলিল, “আপনাদের যেরকম সভার বহর দেখছি, তাতে এক বছর ত সব কটার উদ্বোধন কবৃতেই লেগে যাবে। তারপর এবছরের ছুর্ভিক্ষ-পীড়িতরা আসছে বছর পর্য্যস্ত আপনাদের সাহায্যের আশায় বসে থাকৃবে ?” রাজীব বলিল, “তা কেন ? আমাদের সভাগুলি ত । जांभञ्चिक कीर्षjउँकां८ब्रव्र छछ नग्न । जांभाळल्लङ्ग cश**