পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

むa 8 প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড করতে হলে, জীবনে দুঃখ দারিদ্র্য বেদনার স্বাদ পাওয়া দরকার। এই দুঃখই আমার সম্পদ ; এর জন্তে কেঁদে লাভ নেই। সকালে উঠিয়া রাজীব পূর্ণিমাকে বলিল, “পূর্ণি, তোর সেই খাবারগুলো আন, আমি খাব।” পূর্ণিমা একটা কথাতেই গলিয়া গেল। খালা দুই খানা দাদার পাতের কাছে সাজাইল । রাজীব যত পারিল খাইয়া পূর্ণিমাকে বলিল, “শোনূরে, একটা বড় মুস্কিলে পড়েছি ; আমাকে চারটে টাকা দিতে পারিস্ ?” পূর্ণিমার রাগ পড়িয়া গিয়াছিল। সে বলিল, “সেই হার-বাধার আর পাচটা টাকা প’ড়ে আছে। শীত আসছে, মনে করেছিলাম একটা গরম গায়ের কাপড় কিনৃব।” ५ রাজীব বলিল, “আচ্ছ, তুই এখন দে, আমি পরে তোকে দেব ।” মনে মনে বলিল, “যদি না পারি, তাতেই বা দুঃখ কি ? ছোট দুঃখের কান্নায় কালে বড় দুঃখ মোচন করতে পারব না কোনোদিন। আমাদের দুর্ভিক্ষের স্থায়ী ফণ্ডে এ টাকা জমা থাকৃবে, সে পূর্ণিরও পরম ভাগ্য।” দরিদ্রবন্ধুসভায় রাজীব চারটাকা দিয়া সভায় হৈ হৈ বাধাইয়া দিল। প্রভঞ্জন বলিল, “রাজীব, তোমার প্রাণটা এত বড় জানৃতাম না।” সরমা বলিল, “রাজীব-বাৰু, আপনি যে কেবল গানই সুন্দর লিখেছেন তা নর, দানও করেছেন স্বন্দর। যেদুঃখ হৃদয়কে টলায় না তাতে সাহিত্যের রস জমে না। আপনি সত্যিই দরিত্রের বন্ধু।” রাজীব একটু স্নান হাসি হাসিল । তাহার মার অনাহারক্লিষ্ট মুখ দেখিয়া সে দেশজননীর প্রতি আজকার এই গানটি লিখিয়াছিল । ফিরিবার পথে সেই ছোট মেয়েটি ভ্রভঙ্গি করিয়া বলিল, “রাজীব-বাবু, আপনার ভারী অস্কায় ! আমি ঠাট্টা কবুলুম বলেই অমনি চারটে টাকা আপনি জলে দিলেন। আপনার মা হয়ত কত অস্ববিধায় পড়বেন ।” রাজীব মুখখানা নীচু করিয়া পকেট হইতে সেই ফুলটা বাহির করিয়া একবার বুকের কাছে চাপিয়া ধরিল । 鬱 議 議 骼 鷺 議 সে শীতে পূর্ণিমার গরম কাপড় হয় নাই । ‘গ্রাম্য গীতি-কবিতায় বারাষে’ শ্ৰী হিরন্ময় মুন্সী BBBB BD BBSBBB BBBBBBBBB BBB BBB BBB BBB BBBB BB C S শ্বেত শতদল, ভাব-জগতের বহুমূল্য সম্পদ। বাঙ্গালী ও বাংলার বিশেষত্ব যাহা কিছু তাহার অনেকখানিই এই গ্রাম্য গীতি-কবিতা বা ছড়া পাচাঙ্গীতেই নিহিত। যদিও বর্তমান বঙ্গভাষা বা কাব্যসাহিত্য দ্রুত উন্নতির দিকে ধাৰিত হইতেছে, তথাপি পুরাতনকে ছাড়িয়া দিলে তাহা সৰ্ব্বাঙ্গস্বন্দর হয় নাই বলিতে হুইবে । ইহাকে সৰ্ব্বাঙ্গস্বন্দর করিতে হইলে, বিশ্ববাণীর পাদপীঠতলে, ইহার আসন বড় করিতে হইলে, বাংলার সাহিত্যিকদের একটা বিরাট কর্তব্য সম্মুথে রহিয়াছে। বাংলার গ্রাম্য গীতি-কবিতা, গাথা প্রভৃতি সংগ্ৰহ করিয়া তাহার সেই কৰ্ত্তব্য সম্পাদন করুন ও দীন, কাঙ্গালিনী বঙ্গবাণীকে নব নব ভাবীতে জগংপূজ্য। রাজরাজেশ্বরী মূৰ্ত্তিতে সাজাইয়া তুলুন। মৈমনসিংহের পল্লীগাথা সংগ্ৰহ করিয়া ডাঃ দীনেশচন্দ্র সেন মহাশয় লেই কৰ্ত্তব্যের কতকটা সম্পাদন করিয়াছেন । সম্প্রতি আমিও এই কার্ষ্যে ব্ৰতী হইয়াছি।