পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] "গ্রাম্য গীতি-কবিতায় বারাষে’ むaQ পল্লীপ্রধান বাংলার ছায়াশীতল পল্লীতে নিরক্ষর কৃষাণ সম্প্রদায়ের মুখে মুখে এইসব পল্লীগাথা গীতিকবিতা প্রভৃতি শোনা যায় । অসংখ্য প্রকারের গ্রাম্য গীতি-কবিতা আছে, তন্মধ্যে একটির কথা প্রবাসীর পাঠক বর্গের নিকট উপস্থিত করিতেছি । এই গ্রাম্য গীতি-কবিতাকে ‘বারাষে’ কহে । যশোহর জেলার মাগুরা মহকুমার সর্বত্রই এই গীতিকবিতা বিশেষ ভাবে প্রচলিত। বৈশাখ জ্যৈষ্ঠের বৈকালে যখন খররৌদ্রের তাপ অস্তগামী স্বর্ষ্যের সহিত ক্ষীণ ও মলিন হইয় আসে, তখন মাঠে মাঠে ‘সবুজের ছড়াছড়ির মাঝখান হইতে এই গানের স্বরের রেশ গাজুড়ান’ বাতাসে ভাসিয়া আসিয়া কেমন যেন পাগল করিয়া তোলে। মাঠে নিড়ানী বা টাঙ্গি দিতে দিতে সারিবন্দীভাবে দাড়াইয়া দাড়াইয়া অথবা বসিয়া বসিয়া মাখাল মাথায় সমবেত চাষী পরিয়াত' গণ মিলিতকণ্ঠে এই গান গাহিতে থাকে। তবে রাশের আড়বাশীতেই এই গান শোনায় ভাল । বারাষে প্রায় রকমের আছে । তন্মধ্যে কতকগুলি কাব্যাংশে অতি উচ্চস্তরের । এই গানেরও বিভিন্ন পদ বা পালা আছে। পদবিশেষের মুরবিন্যাসও বিভিন্ন। সাধারণতঃ—ইহা ভাটীয়াল স্বরেই গাওয়া হয় । নিম্নে একটি ‘বারাষে’ দিলাম। বাংাষেটি পৌরাণিক রাধাকৃষ্ণের প্রেম লইয়া বর্ণিত । বসন্তু বৈশাখে রাধ। ভাবিত সদায় কৃষ্ণের বিরহ প্রাণে সহন না যায়। বলিয়া গেলেরে কৃষ্ণ আসিব ত্বরিত’ বিলম্ব দেখিয়া নিরীক্ষণ কল্পি পথ । জ্যৈষ্ঠের যন্ত্রণা যত সহন না যায়, খিয়ের * অনঙ্গ ওঠে জ্বলিয়া সদায় । আষাঢ়ে নবীন মেঘ ডাকে গরজিয়ে, এত দুঃখ দিলি বিধি মোর মাথা খেয়ে । শ্রাবণে অশেষ দুঃখ হেন নাহি মোর মনে, dी शंब्र छौदम अभि ब्रांषि कि कांद्रt१ ! ভাদরে ভরিল ওলে যমুনায় কুল, তাহাতে উঠিল ফুটি কমলের ফুগ । ভ্রমর ভ্ৰমী যেমন মধু করে পান, এইমত ছাড়িয়া গেছেন শ্ৰীকৃষ্ণ জামায় । জাম্বিনে অধিক পূজা প্রতি ঘরে ঘর, আনন্দের অৰধি মাই গোকুল নগর। কাৰ্ত্তিকে করিলেন প্ৰভু বৃন্দাবনে রাস, কৌতুকে বসেছেন কৃষ্ণ গোপী চারিপাশ। জগ্রহায়ণে অশেষ দুঃখ হেন নাই মোর মনে, অমৃক্ষণ পড়ে মনে নক্ষমত ধমে ।

  • थिएब्रद्र-मांप्न बूक्षिणाभ न], cवांष श्ब्र श्ब्रिांद्र ह३ष ।

ه 18 هنا w8-3 পৌষমাসের পীড় ওঠে বিপরীত, প্রভুর বিরহণীতে তনু হয় কম্পিত । মাখমাসে মোর মরণ হ’ত সেও ছিল মোর ভাল, শ্ৰীকৃষ্ণ ছাড়িয়া যবে মথুরাতে গেল । ফাঙ্কনে ফুটিল যত নানাবিধ ফুল, ভ্রমর ভ্ৰমী ডাকে একে সমতুল । চৈত্রেতে চিস্তিত রাধা চিত্ত নাহি রে স্থির, অসুস্থর রামধন•••পিরীত ॥৫ অকুর হরিয়া নিল রথে নারায়ণ, ফিরিয়া ন দিলে কৃষ্ণ অামার দরশন । শ্ৰীকৃষ্ণ পেয়েছিলাম অতিবড় সাধে, ছাড়িয়া গেলরে কৃষ্ণ কোন অপরাধে। এই বারাষেকে “রাধার বারাষে” বলে । ইহা শ্ৰীমতী রাধার বিচ্ছেদপদের একাংশ । বিচ্ছেদপদ সম্বন্ধে প্রবন্ধাস্তরে আলোচিত হইবে । সুমিষ্ট স্বর সংযোগে সমবেত কণ্ঠে সবুজ মাঠের মাঝে কুবকগণ যখন এই বারাযে ধরে, তখন প্রকৃতই যেন রাধার বিরহ-বেদন ঘনীভূত মূৰ্ত্তিতে প্রকট হইয়। বিরহিনী রাধার প্রতি সমবেদনায়, ব্যথtয় শ্রোতার প্রাণ বিবশ করিয়া তুলে । এখানে একটি কথা বলিয়া রাখি, ‘মেঘদূতের কবির কাব্য নিরক্ষর চাষার বোঝে না। স্বতরাং তাহার প্রকৃত রস বা সৌন্দৰ্য্য কতিপয় শিক্ষিত পণ্ডিত সমাজেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু বাংলার শ্রেষ্ঠ সম্পদ গ্রাম্য গীতি-কবিতা প্রভৃতির প্রকৃত রস কোন সমাজ বিশেষের মাঝে আবদ্ধ নয়। পাড়ার স্থলে বাগদী হইতে তর্করত্ব, বিদ্যাবাচস্পতি মহাশয় সকলেই এ রস পানে সমান অধিকারী। ইহাই প্রকৃত গণসাহিত্য । রাধার বারাষেতে আমরা পাই, রাধার বিরহ-বিধুর হৃদয়ের অাষেগময় ভাবোচ্ছাস। নায়ক শ্ৰীকৃষ্ণ ব্রজ পরিত্যাগ করিয়া মথুরায় চলিয়া গিয়াছেন। শ্ৰীমতী রাধা একেবারে উন্মাদিনী হইয়াছেন । মাসের পর মাস কাটিতেছে, রাধিকার হৃদয় শ্যামবধুর বিরহানলে তিল তিল করিয়া দগ্ধ হইতেছে । এই গ্রাম্য গীতি-কবিতায় সেই ভাবটি কেমন ফুটিয়াছে ! এখন এইসব গীতি-কৰিতার মূল্য কতটুকু ৰাংলার কবিসমাজ তাহার বিচার করুন । পূৰ্ব্বে যে ৩-৪•টি বারাধের কথা বলিলাম একে এৰে সবগুলি প্রকাশ করিবার ইচ্ছা আছে, দুঃখের বিষয় আমি অনেক চেষ্টা করিয়াও এইসব গাথার রচয়িতার নাম জানিতে পারি নাই। তবে মনে হয়, এইসব নাম অশিক্ষিত, জর্জশিক্ষিত কৃষক সম্প্রদায়েরই রচিত।

  • সম্পূর্ণ পটের মৰ্ম্মোজার করিতে পানি মাই।

ఢాEహి * *