পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫২৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রবাসী—শ্রোবণ, ১৩e৪ مReb) [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড “পাগল হ’য়ে বাতাস এল, ছিন্ন মেঘে এলেমেলে। হচ্চে বরিষণ : জানি না দিগ-দিগন্তুরে আকাশ ছেয়ে কিসের তরে চলছে আয়োজন; পথিক গেছে ঘরে ফিরে, श्रीशैबैंभव tनंtझ नैंौंप्ल, তরুণী সব বাধা ঘাটের কোলে, আজি পথের দুই কিনারে জাগিছে গ্রাম রুদ্ধ স্বারে, দিবস আজি নয়ন নাহি খোলে।” -ब्ररीटकानांशं মেঘের যে মূৰ্ত্তি কবির কল্পনা করেছেন তা অপূৰ্ব্ব । আধুনিক যুগে রবীন্দ্রনাথ ও সত্যেন্দ্রনাথ মেঘ সম্বন্ধে অনেক কবিতা লিখেছেন। রবীন্দ্রনাথের বর্ষ-বিষয়ক কবিতা পৃথিবীতে অতুলনীয়। ইংরেজ কবি শেলীর মেঘ সম্বন্ধে একটি কবিতা আছে। এই কবিতার কাব্য ও বিজ্ঞান উভয়ই চমৎকার । আমরা নীচে সেই কবিতাটির প্রায় যথাযথ অনুবাদ দিলাম।— মেঘ তুষা-দগ্ধ পুষ্প লাগি আমি আনি নব জলধারা— বারিধি তটিনী হ’তে, বক্ষে বহি’ সলিল-সভার ; নিদাঘের রৌত্রে যবে বৃক্ষপত্র স্বপ্নে মাতোয়ারা, জামি তাহাজের লাগি স্নিগ্ধ ছায়া করি ষে বিস্তার। পক্ষ-বিধূমনে মোর ঝরি’ পড়ে শিশিরের কণা, ম্পর্শে তার বিকশিয়া উঠে যত কোরক কোমল— বৃক্ষ জননীর বক্ষে দোল খেয়ে যবে শাস্তমনা সস্তান ঘুমায়, মাত!—রৌদ্রালোকে নৰ্ত্তন-চঞ্চল । শিলা-শেলরাশি কভু উল্লসিয়া ঢালি ধরণীতে, শুামল প্রান্তর-ভূমি পরিধান করে শ্বেতবাদ বিগলিত বৃষ্টিধারে ঝরি কভু আপন খুলীতে— বঞ্জের গর্জনে কভু খল খল হাসি অট্টহাস । নিয়ে গিরিচুড়া পরে থরে থরে বিছাই তুষার, স্ববিশাল দেবদারু গুমরিয়া উঠে বেদনায়; শুভ্ৰ গিরি-উপাধানে ন্যস্ত করি? ক্লাস্ত শিরভার ঘুমাই সুদীর্ঘ রাত্রি আলিঙ্গিয়া রুদ্র ঝটিকায়। অভ্ৰভেদী মোর সেই আবাস-মন্দির-চুড়া পরে, বিদ্যুৎ সারথি মম, বসি’ রহে স্তব্ধ অচপল ; নিম্নে গুহাগৰ্ভে কোন শৃঙ্খলিত অশনি গুমরে— মুক্তি লাগি রহিরহি পও প্রমে গর্জন-বিহবল ৷ মুত্তিক, সলিল উৰ্দ্ধে মৃদুমন্দ সমীর দোলায়— মোর কর্ণধার মোরে নিয়ে যায় গগনে গগনে— স্বনীল বারিধি গর্ভে অশরীরী প্রিয়া ডাকে তায়— প্রেমের আহবান, আহা, উপেক্ষিবে প্রেমিক কেমনে ! কত নদী নিঝরিণী, পাহাড় পৰ্ব্বত-চুড়া কত, মনোহর সরোবর, তৃণ শু্যাম শতেক প্রাস্তর— গিরি-শিরে, নদী-বুকে স্বপ্ন শুধু দেখে অবিরত, প্রেয়সী সৰ্ব্বত্র তার—তবু নিত্য রহে অগোচর। আমি যবে নীলাম্বরে নীল হাসি কুড়াই সতত— বিগলিত হ’য়ে সে যে ধরণীতে ঝরে ঝর ঝর । রক্তরাঙা সূর্য্যোদয়—উল্কা-চক্ষু মেলিয়া গগনে বাপ দেয় প্রজলন্ত পক্ষের পালক বিস্তারিয়া মোর পৃষ্ঠদেশে যবে ভাসি আমি মন্থর পবনে, মৃতকল্প শুকতারা পাণ্ডুহালি উঠে যে হাসিয়া। ভয় গিরি চূড়ে, যথা মুহূর্বের তরে রয় ব’লে স্বধৃত ঈগল পাখী স্বর্ণ ডানা করিয়া বিস্তার— গিরি-চুড়া কম্পমান, ভূমিকম্প সঘনে নির্ঘোষে ভগ্ন মেঘ-চুড়ে তথা নবারুণ শোভে চমৎকার।