পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

(Uy প্রতিবার তাহার সঙ্গে তাহার জন্য আসিত নুতন কাপড় लोभ cषजना शर्इ कङ कि ! কিন্তু একট। আঘাতেই সেই অতদিনের সম্পর্ক সেই রক্তের বন্ধনও অনায়াসে ছিন্ন হইয়া গেল । এই কি পিতার প্রাণ ? কই সঞ্জয়কে আজ এমুনি করিয়া ছাড়িয়া যান দেখি তিনি ! চঞ্চল কি অপরাধ করিয়াছিল ? মিনি সত্য অপরাধী তাহারই অপরাধের বোঝা দিন দিন যেন আরও ভারী না হয়, এক মিথ্যাকে ঢাকিতে শত মিথ্যার স্বষ্টি যেন না করিতে হয়, এইজন্ত সে মিথ্যার বন্ধন কাটিয়া ফেলিতে চাহিয়াছিল মাত্র। সেই অপমানে ক্রুদ্ধ হইয় নিরাশ্রয়া বালিকা কন্যাকে তিনি অনায়াসে ত্যাগ করিতে পারিলেন । কিন্তু সঞ্জয় যদি আজ সত্যই তাহাকে অপমানও করে, মহা অপরাধেও তাহার ও বিশ্বের কাছে অপরাধী হয় তবু কি তিনি তাহাকে ত্যাগ করিতে পারিকেন ? হীনতম পক্ষে পড়িলেও এই সস্তানকে কোলে তুলিয়া লইবার জন্য তাহার সমস্ত দেহ মন ব্যাকুল হইয়া ছুটিয়া আসিবে । মাকুৰ বাৎসল্যের কত গান গাহিয়াছে, কত বন্দনা করিয়াছে, সে বাৎসল্য কি প্রাণ হইতে উৎসারিত রসধারা ন সুবিধাবাদীর অবসর বিনোদন ? রক্তের বন্ধনে না হইলে এমন হিসাব আসে কোথা হইতে ? এই যে বৈষ্ণব সাহিত্যে পরের সস্তানকে অপেন করিয়া বাৎসল্যের স্বরধনী বহাইয়া দিয়াছে, সে কি সমস্তই ভূয়া কথা ও ধ্বনির মালা দিয়া তৈয়ারী ? এ মিথ্যার সঙ্গীত কি করিয়া এত দীর্ঘকাল টিকিয়৷ রহিল ? স্বার্থে মানে এতটুকু ঘা লাগিলে যেখানে আপনার সস্তানকে মাচুর্য অনায়াসে ছাটিয়া ফেলে সেখানে পরের সস্তানকে লইয়। একি বাৎসল্য না সখের খেলা ? s কত অল্প আঘাতে কাচের শৃঙ্খলের মত তাহার চারি"ধারের এই বাংসল্যের বন্ধন ভাঙিয়া খসিয়া পড়িয়াছিল তাহাই মনে করিয়া আজ চঞ্চলার ঠোটে ক্রর বিদ্রুপের হাস্ত খেলিয়া যাইতেছিল। মামুষের ভালবাসার চেয়ে পশুর ' ভালবাসা সত্য বেশী অটল বেশী। অসহায় সস্তানকে সে जात्र कब बू करेउ शज कबद९गत्र चाण४श्मबडी তাহার এক বন্ধুকে হাসপাতালে’পীড়ত অবস্থায় দেখিতে যাইবার জন্য চঞ্চল নিস্তারিণী প্রভৃতি দুই তিন জনকে সঙ্গে করিয়াই বাহির হইয়াছিলেন । হাসপাতালে একটা স্বন্দর স্বতন্ত্র ঘরে একলা গুইয়া সুন্দরী একটি মহিলা অসহিষ্ণু ভাবে কাহার জন্য যেন প্রতীক্ষা করিতেছিলেন। হৈমবর্তী গিয়া পাশের চেয়ারে বসিলেন। চঞ্চল ঘরের শেষপ্রাস্তে জানালার কাছে গিয়া দাড়াইল । সুন্দরী ক্ষীণ স্বরে তাহাকে তাকিয়া বলিলেন, “এদিকে এস না, মা ! দেখি তোমার কেমন চেহারা !" রোগীর অদ্ভুত খেয়ালে একটু হাসিয়া চঞ্চল কাছে আসিল । তাহার আজও মনে আছে কি করুণ চোখে রোগিণী তাহার দিকে চাহিয়াছিলেন । হঠাৎ চঞ্চলার হাতখানা চাপিয়া ধরিতেই চোখের জলে তাহার বুক ভাসিয়া গেল। হৈমবতী শুধু বলিলেন, “ছি, অমন কান্নাকাটি করে না।” রোগিণী অশ্র মুছিয়া বলিলেন, “কেঁদে আর কি হবে ? তাকে ত আর পাব না।” চঞ্চলার হাতখানা তিনি যেন ঠেলিয়া সরাইয়া দিলেন। তারপর তাহার। আর বেশীক্ষণ সেখানে দাড়ায় নাই । হৈমবতী চঞ্চলাকে বাড়ী আনিয়া নিজের ঘরে লইয়া গিয়া বলিলেন, 'চঞ্চল, মেয়েটির কান্না দেখে মনটা বড় খারাপ হ’য়ে গেল, না ?” চঞ্চল বলিল, “ই মাসিম, বেচারীর বুঝি মেয়ে ম’রে গেছে ?” হৈমবতী বলিলেন, “মরেনি, পর হয়ে গেছে ?” চঞ্চল বিম্মিত হইয়া তাকাইয়া রহিল। হৈমবর্তী বলিলেন, "চঞ্চল, তোমারই ম আজ তোমার জন্তে কাদছিলেন।” চঞ্চল চীৎকার করিয়া উঠিয়াছিল, "ন, না, না, কাকা-বাবু বলেছেন, আমি যখন এখানে আসি তারপরই আমার মা মারা গেছেন।” কিছুতেই চঞ্চলা এ কথা বিশ্বাস করিতে চায় নাই। ছেলেবেলাকার দেখা সেই মা’র জন্ত তাহার নিঃসঙ্গ মন বারবার কাদিয়াছে, তাহাকে পাইবার জন্য কত অসম্ভব কল্পনা করিয়াছে, মৃত্যু অকস্মাৎ ऋश्रव्र भ७ शिक्षा श्हेग्न ८णष्ण कि जामक झ्म्न छवि মাতৃস্নেহবঞ্চিত শিশু মনকে আপনি জুলাইয়াছে, কত