পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৬৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] o: জীবনদোলা 6:80 গৌরী বলিল, “স্ত্রীপুত্র ম’রে বাওয়ার চেয়েও বড় দুঃখ भाश्यङ्ग बiग्छ् ।। ५धन छ्:१७ षांश् भ्रङ्काशांकरें একমাত্র ষে দুঃখকে.শেষ ক’রে দিতে পারে।” চঞ্চলার মুখখানাই গৌরীর বারবার মনে পড়িতেছিল। সঞ্চয়কে যদি সে কোনো বন্ধনে বঁাধিয়া থাকে তবে তাহার ফলে বেদন ছাড়া আর কি মিলিবে দুজনের ভাগ্যে ? মুদি সে-বন্ধন সত্য বন্ধন হয় তবে মৃত্যু ছাড়া আর কিছু কি সে বন্ধন-ব্যথা ঘুচাইতে পারিবে ? সঞ্জয় একবার গৌরীর মুখের দিকে তাকাইল । দেখিল শঙ্করের মত পরিহাসের হাসির লেশমাত্র তাহাতে নাই, পরের বেদনায় লোকদেখানে সহানুভূতির নকল গাম্ভীর্ধ্যও নাই ; সে মুখে যাহ ফুটিয়াছে তাহা প্রকৃতই দরদীর ব্যথা । উচ্ছসিত অশ্রধারার তাড়নায় সঞ্জয়ের মুখ চোখ সমস্ত লাল হইয়া উঠিল। সে নিতান্ত পুরুষমাহুষ, তাহাতে রোগীর ঘরের ডাক্তার তাই কোনো প্রকারে আপনাকে সামূলাইয়া লইল । গৌরী দেখিল আলোচনাটা ঠিক পথে যাইতেছে না ; সঞ্জয়ের বেদনায় সহানুভূতি প্রকাশ করাই ত কেবল গ্রয়োজন নয় ; তাহার মনটাকে অন্যদিকে ঘুরাইয়া দিতে इझेप्य । বাহিরে পড়া ছেলেরা আসিয়াছিল, ছোট অনিমার ব্যাণ্ডেজও বাধা হইয়া গিয়াছিল। গৌরী বলিল, “দেখুন, কাল যে আপনি আমার নূতন ছাত্রটিকে দেখবেন বলেছিলেন, চলুন আজ তাকে দেখাই। আপনি তাকে দেখলেত চিনতে পারবেনই না, এমন কি তার ত্রাণকৰ্ত্তা অপূৰ্ব্ব-বাবুও তাকে চিনৃতে পারবেন না।” বাহিরে টিনের চালের তলায় বারাওয়ে ছোট ছেলেমেয়ের পরস্পরের বই খাতা চুল ধরিয়া টানাটানি করিয়া বিরাট একটা গোলমাল বাধাইয়। তুলিয়াছিল। গৌরীদের বাহিরে আসিতে দেখিয়া তাহারা অনেকটা ঠাও হইয়৷ গেল। কেবল একটা মিহি গলা শোনা গেল, “গুরুম, ভেংচা কেন আমার শেলেটে নিকে দিলে ?” গৌরী সেদিকে কৰ্ণপাত না করিয়া ডাকিল, "তারাটা ।” बांब्रां७ीब्र भूछिब्र श्रांप्लांटल नूरब्र चककोरब्र ८नग्नांzलब्र ఎ:ఙ:డా গায়ে ঠেস দিয়া একটি ছোট ছেলে দাড়াইয়াছিল, গৌরীর ডাকে সে অগ্রসর হইয়া আসিল । দিব্য সাদা ধপধপে ধুতি কোর্ভা পর, নূতন বই খাতা গেট হাতে, সৰ্ব্বাঙ্গ সাবান দিয়া মাজ ঘল চকৃচকে। ছেলেদের মাঝখানে অপূৰ্ব্ব দাড়াইয়াছিল ; সে লাফ দিয়া সাম্নে আসিয়া বলিল, “কিরে তারা, তোকে এমন বাবুসাহেব সাজিয়ে দিলে কে ? নেংটি-পরা মূৰ্ত্তি থেকে একেবারে এত বড় প্রোমোশান ?” তারাচাদ সব ক’টা দাত বাহির করিয়া বলিল, “এঞ্জে, গুরুমা কাপড়, সাবং, তেল মত দিয়েছেন ।” সঞ্জয় হাসিয়া বলিল, “কে বলবে মেথরের ছেলে ? একেবারে যে বামুনঠাকুরটি বানিয়ে তুলেছেন।” গৌরী বলিল, “তারাচাদের একটা ছোট বোন আছে, কাল থেকে সেটাকেও আনতে বলেছি। একবার ত আমার জাত গেলই, দুবার ক’রে যখন যেতে পারবে না, তখন নিৰ্ভয়ে যত খুগ্ৰী অনাচার করতে পারব। মরার বাড়া ত গাল নেই ; জাত যখন মরেইছে তখন তার আর বেশী ক্ষতি কি হবে ?” শঙ্কর বলিল,“রাতারাতি তুই এতবড় রিফর্গার হয়ে উঠলি, তোর হ’ল কি ?” গৌরী বলিল, "রাতারাতি ভূমিকম্প হ’লে দেবালয় আর চামারের ঘর এক হয়ে যায়, আমার জাত ত নেহাৎ ছোট কথা ।” - ছেলেরা সার ৰাধিয়া দুলিয়া দুলিয়া নামৃত পড়িতে আরম্ভ করিল ; সঞ্জয় বলিল, “জাজ আমি যাই, এরাই আপনার সাহায্য করবে এখন।” গৌরী যেন নিতান্ত অকস্মাৎ বলিয়া উঠিল, “একটু দাড়ান, চঞ্চলার কাল থেকে শরীরটা খারাপ | তাকে একটু দেখে একটা ওষুধ দিয়ে যেতে হবে।” সঞ্জয় একটু যেন ভীতভাবে বলিল, “শঙ্করকে বলুন Fil ?” গৌরী বলিল, “না, না, ছোড়দার ডাক্তারীতে আমার একফোটাও বিশ্বাস নেই; আপনি আস্থন। তা ছাড়া মাসিম ছোড়দাকে মেয়েদের ভাক্তারী করার অনুমতি ত " میمیر