পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্য। ] আছে । যথা—

  • শীর্ষক (মধ্যে একটি বৃহৎ দুই পার্থে সমান মুক্তা সম্বলিত ), উপশীর্ষক ( মধ্যে পাঁচটি বৃহৎ দুই পাশ্বে সমান মুক্ত সম্বলিত ), প্রকাওক (মধ্যে একটি বৃহৎ দুই পার্থে ক্রমে ক্ষুদ্রায়তন মুক্ত যুক্ত ), অবঘাটক (সকল মুক্ত সমান ), ও তরল গ্রন্থিবদ্ধ ( মধ্যে বর্তিত হীরা দুই পার্শ্বে মুক্ত ), এই কয় প্রকার মুক্তার যষ্টি (মালা ) হইয়া থাকে ।

অজন্ট। জাদিমযুগ (খৃঃ পূঃ দ্বিতীয় শতাব্দী) বিপুল কঙ্কন ও বাজু। বৃহৎ ধাতুহার । উপরে বৃহৎ হারের জtধুনিক নিদর্শন (দাৰ্জিলিং ভুটিয় স্ত্রীলোক ) “একহাজার ও আট যষ্টি (ছড়া) মুক্তার মালায় ইন্দ্রচ্ছম্ব হার নিৰ্ম্মিত হয়। তার অৰ্দ্ধসংখ্যায় বিজয়চ্ছদ । চৌষটি ঘটিতে অর্ধহার । চুয়ার ষষ্টিতে রশ্নিকলাপ । বত্রিশ যষ্টিতে গুচ্ছ। সাতাইশ ঘটিতে নক্ষত্রমালা। চব্বিশ ঘষ্টিতে মানবক, তদৰ্দ্ধে অৰ্দ্ধমানবক। গহনা অর্থশাস্ত্রে কয়েকটি মুক্তাহারজাতীয় গহনার বর্ণনা ® ®ፃ “ঐ হার সকলের কেন্দ্রে একটি মণিযুক্ত হইলে ঐ সকল নামের সহিত মানবক শব্দ যোগ করিতে হয়, যথা ইন্দ্রচ্ছন্দ মানবক । “যদি হারের সকল মুক্তার ছড়া শীর্ষক প্রকৃতির হয়, তবে সেই হারকে ‘শুদ্ধহার’ বলা হয়, বা হারের সকল ছড়া যদি একই প্রকৃতির হয় ( অর্থাৎ কেবল শীর্ষক অথবা কেবল উপশীর্ষক ইত্যাদি ; একটি শীর্ষক, অন্যটি উপশীর্ষক, আরেকটি অবঘাটক, এইরূপ নহে ) তবে তাহাকেও শুদ্ধহার বলা হয়। কেন্দ্রে মণিযুক্ত হারকে অৰ্দ্ধমানবকও বলা হয় । “কেন্দ্রে তিনটি বা পাঁচটি ফলকাকৃতি মণিযুক্ত হারকে ফলক হার বলা হয়। এক ছড়া মুক্তার মালার নাম শুদ্ধ একাযলী। তাহার মধ্যস্থলে একটি মণি যুক্ত হইলে তাহার নাম যষ্টি । তাহা স্বর্ণমণি ( সোনার মটর দান ) মিশ্রিত হইলে তাহার নাম রত্নাবলী । একটি মুক্ত একটি স্বর্ণমণি ( সোণার মটর দানা ) পরপর স্থাপিত হইলে তাহার নাম অপবৰ্ত্তক । “হারের মুক্তার যটির মধ্যে স্বর্ণস্বত্র ( এক ছড়া মুক্ত, একটি সোণার তার, আবার এক ছড়া মুক্তা ) থাকিলে সেই হারের নাম সোপানক । ঐ প্রকার হারের কেন্দ্রে মণিমাণিক্য থাকিলে তাহার নাম মণিসোপানক । “উপরোক্ত বিবরণে শির, হস্ত, পাদ, কটি ইত্যাদি স্থলের গহনা গঠনের উপায় দত্ত হইল।” ইহ ভিন্ন অন্য কোন প্রকার গহনার বর্ণনা অর্থশাস্ত্রে নাই, যদিও মণি-সংযোজন ( জড়োয় ) কাৰ্য্য ইত্যাদির যে প্রকার বর্ণনা আছে, তাহীতে মনে হয়, যে, স্বর্ণকার ও মণিকারের শিল্প তখনই অনেক খানি অগ্রসর হইয়াছিল । স্বর্ণকারের বিবিধ প্রকার কার্ষ্যের এইরূপ বর্ণনা `ब्रitछ् ५५! 3-- “ঘন (নিরেট ), ঘন স্বযির (নিরেট শূন্তগর্ত, যথা বাটি গেলাস ) সংযুজ্য (ঝাল দেওয়া Soldering), অবলেপ ("প্রলেপ দেওয়া ), সভযাত্য ( বেষ্টন কাৰ্য্য, যথা কটিবদ্ধ), বাসিতকং (গিলটি করা ), এই কয় প্রকার কারুকৰ্ম্ম ” ইহা ভিন্ন স্বর্ণালঙ্কারের প্রকৃতি অনুসারে নাম