পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৫৮২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৪র্থ সংখ্যা ] করাই শিল্পীর আদর্শ হইয় পড়ে, যাহার ফলে শিল্পীর কল্পনায় জড়ত আসে । অঞ্জণ্টা গুহাচিত্রাবলীতে এদেশীয় গহন-শিল্পের নয় শত বৎসরের ইতিহাস (খৃঃ পূঃ দ্বিতীয় শতাব্দী হইতে খৃঃ সপ্তম শতাব্দী পৰ্য্যন্ত ) অঙ্কিত আছে। ঐ চিত্রাবলীর গহনা যে কেবলমাত্র দক্ষিণ ভারতের শিল্পের নিদর্শন নহে, তাহার প্রমাণ এই, যে, উহার মধ্যে যাহা সৰ্ব্বাপেক্ষ প্রাচীন ( ৯ম ও ১০ম গুহা), তাহার সহিত সমসাময়িক আর্য্যাবৰ্ত্তের ( সাচি ও ভারুট ) ভাস্কর্য শিল্পে অঙ্কিত গহনার সাদৃশ্ব অতি সুস্পষ্ট । প্রথম যুগেই যখন এত সাদৃত, তখন পরবর্তী কালের গহনাও একই প্রকার হওয়া স্বাভাবিক। কেননা কালের প্রবাহের সহিত উত্তর ও দক্ষিণ ভারতের সম্বন্ধ ও আদান-প্রদান ঘনিষ্ঠতর হইয়াছিল। প্রথম যুগের (খৃ: পূ: দ্বিতীয় হইতে খৃঃ প্রথম ) গহন অতি স্থল, ও সূক্ষ্ম কারুকার্য অপেক্ষ গঠনবৈচিত্র্য বিষয়েই অপূৰ্ব্ব । অতি বৃহৎ আকার ও গঠন দেখিয়া মনে হয়, যে, ঐ সকল গহনা ফাপ তাম্র পিত্তল কাংস বা স্বর্ণপাতের নিৰ্ম্মিত ছিল। নিরেট হইলে সাধারণ ধাতু হিসাবেই উহ। ভারী স্বর্ণ হইলে ত অসম্ভব গুরুভার ; কর্ণাভরণ নিরেট হইলে কান ছিড়িয়া যাইত । ষ্টকার পরের যুগের গহনা অনেক অধিক কারুকার্য্যযুক্ত হয়। বিশেষে গ্রথিত গহন—মুক্ত বা নল, বৰ্ত্তল বা অন্য কোন আকৃতির ছিদ্রযুক্ত ধাতুখণ্ড-ক্ষতিশয় প্রচলিত হয় । এষ্টরূপ গ্রথিত ( মালা গাথা ) গহন। সৰ্ব্বাঙ্গে ব্যবহৃত হইত। ক্রমে ঐ ধাতুর্থগু মণিমুক্তসম্বলিত হইতে থাকে । মণিমুক্তার ব্যবহার অবশু পুৰ্ব্বকালেও ছিল ( শতপথ ব্রাহ্মণে অশ্বমেধ যজ্ঞের বর্ণনা দ্রষ্টয্য )। কিন্তু এই সময় ( খৃঃ প্রথম শতাব্দী) ঐ সকলের আকার ও আয়তন অনুসারে বিদ্যাসের কার্য্য অতি নিপুণতার সহিত সম্পন্ন হইতে থাকে। মণিসকলের কৰ্ত্তনে কোণশূন্ত আকারই আদর্শ ছিল ( cutting en cabochon ) I - ইহার পর বিশেষ আকারযুক্ত দৃঢ়সংবদ্ধ (গাঁধী নহে ) বা এক খণ্ডে প্রস্তুত গহনা-যথা বলয়, কবচ, গহনা Qむ。 কুণ্ডল ইত্যাদি-ব্যবহৃত হইতে থাকে, ও ঐ সকলের আকৃতিবৈশিষ্ট্যও আরম্ভ হয়। ইহার সঙ্গে সঙ্গে ধাতু * (wire), “cost ots", orgas (twisted wire) ও সঙ্গে সঙ্গে মণিসংযোজিত ধাতুর (জড়োয়) গহনার ব্যবহারও দেখা যায়। ক্রমে গহনার আকৃতি, নিৰ্ম্মাণপদ্ধতি (যথা অতি সূক্ষ্ম স্বর্ণ বা রৌপ্যের “কটকি কাজ” (filigree ) মণিমুক্ত দ্বারা বর্ণ-বিন্যাস, মণিকৰ্ত্তনপদ্ধতি ( মিনার ব্যবহারও বোধ হয় এই সময়ের ) ইত্যাদিতে বিশেষ লালিত্য, বৈচিত্রা ও নিপুণ পরিকল্পনার পরিচয় পাওয়া যায়। অজণ্টার শেষের যুগের ( খৃঃ পঞ্চম হইতে সপ্তম শতাব্দী) গহনার সৌন্দর্ঘ্য অতুলনীয়। নৃপতিদিগের মুকুট,স্ত্রীলোকদিগের শিরোভূষণ, উচ্চপদস্থ পুরুষদিগের কাঞ্চী বা মেখলা (অনেকের মতে সম্ভবতঃ ইহা যজ্ঞোপবীতের আবরণ,কেননা ইহার ব্যবহারও ঐরূপ; ইহা পদস্থ যোদ্ধাদিগের তুণীর-বন্ধন ছিল*), কিন্তু বোধ হয় গলদেশের হার, পুরুষ ও স্ত্রীলোকের কটি-বন্ধ-সম্মুখে বন্ধনী(brooch) যুক্ত-স্ত্রীলোকদিগের মেখলা, চন্দ্রহার, ইত্যাদিতে অতিশয় মার্জিত রুচি, নিপুণ শিল্পীর কারুকৌশল, জ্ঞানী কলাবিদের তীক্ষ দৃষ্টি ও রূপরসজ্ঞের পরিকল্পনা একাধারে সকলই পাওয়া যায়। গহনায় স্থল ও স্থক্ষ্মের বিচার, আয়তনের সংমিতি ( proportion ), সুক্ষ্ম কারুকার্য্য এবং মণি সংযোগে অাকার আয়তন ও বর্ণচ্ছায়ার বিচার ও বিস্কাপ, এই সকল উচ্চ অঙ্গের শিল্পজ্ঞান, ঐ সুদূর প্রাচীন কালের ভারতে কিরূপ প্রখর ছিল, তাহার সাক্ষ্য অজণ্টার চিত্রাবলী আজও দিতেছে। আশ্চৰ্য্য এই যে, সমগ্র অঞ্জণ্টার চিত্রাবলীতে কোথাও নাসিকার ( নথ, ফুল, নোলক, নাকছবি ইত্যাদি ), পদাঙ্গুলির গহনা (চুটকি, নূপুর বা আংটি ) দেখিতে পাওয়া যায় না, যদিও কর্ণের “মাকড়ি স্কুল’, মণিবন্ধের বলয় ব্রেসলেট, ও বাজু তাবিজ অঙ্গুরীয়ক ( আংটি ) ইত্যাদি গহনার বিভিন্নপ্রকার নিদর্শন পাওয়া যায় । কোণযুক্ত মণিকৰ্ত্তন পদ্ধতিরও কোনও বিশেষ পরিচয় অজণ্টায় পাওয়া যায় না ।

  • अबके बिारजीcउ cबांक ५ऋषब चtजब डूनैश् वकन झर्हेद्] । -