পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬০৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Qb"8 o আমল পৰ্য্যন্ত রাষ্ট্রীয় প্রতিদ্বন্দ্বিতীয় ভারতবর্ষ বারবার কিরকম পরাস্ত অপমানিত হ’য়ে এসেছে এই কাহিনীই দিনক্ষণ তারিখ ও নামমালা সমেত প্রত্যহ কণ্ঠস্থ করেছি। এই জগৌরবের ইতিহাস-মরুতে রাজপুতদের বীরত্ব কাহিনীর ওয়েসিস্ থেকে যেটুকু ফসল সংগ্রহ করা সম্ভব তাই নিয়ে স্বজাতির মঃত্ব পরিচয়ের দারুণ ক্ষুধা মেটাবার চেষ্টা করা হ’ত। সকলেই জানেন সে সময়কার বাংলা কাব্য নাটক উপন্যাস কি রকম দুঃসহ ব্যগ্রতায় টডের রাজস্থান দোহন করতে বসেছিল। এর থেকে স্পষ্ট বোঝা যায় দেশের মধ্যে আমাদের পরিচয়-কামনা কি রকম উপবাসী হ’য়ে ছিল । দেশ বলতে কেবল তো মাটির দেশ নয়, সে ষে মানবচরিত্রের দেশ। দেশের বাহ প্রকৃতি আমাদের দেহটাকে গড়ে বটে, কিন্তু আমাদের মানবচরিত্রের দেশ থেকেই প্রেরণা পেয়ে আমাদের চরিত্র গ’ড়ে ওঠে। সেই দেশটাকে যদি আমরা দীন ষ’লে জানি তাহ’লে বিদেশী বীরজাতির ইতিহাস প’ড়ে আমাদের দীনতাকে তাড়াবার শক্তি অস্তরের মধ্যে পাইনে । ঘরের কোণে আবদ্ধ থেকে ভারতের দৃপ্তরূপটাকে বড়ো করে দেখবার পিপাসা যেমন মনের মধ্যে প্রবল হয়েছিল, তেমনি তখনকার পাঠ্য ভারত-ইতিহাসের অগেীরব-অধ্যায়ের অন্ধকার কোণের মধ্যে বসে ব’সে ভারতেয় চারিত্রিক মহিমার বৃহৎ পরিচয় পাবার জন্ত মনের মধ্যে একটা ক্ষুধার পীড়ন ছিল । বস্তুত এই অসহ ক্ষুধাই আমাদের মনকে তখন নানা হান্তকর অত্যুক্তি ও অবাস্তবতা নিয়ে তৃপ্তির স্বপ্নমূলক উপকরণ রচনায় প্রবৃত্ত করেছিল। আজও সেদিন যে একেবারে চ'লে গেছে তা বলতে পারিনে। যে তারার আলো নিষে গেছে, নিজের মধ্যেই সে সঙ্কুচিত। নিজের মধ্যে একান্ত বন্ধ থাকৃবার বাধ্যতাকেই বলে দৈন্ত । এই দৈন্তের গণ্ডীর মধ্যেও তার প্রতি মুহূৰ্ত্তগত কাজ হয় তো কিছু আছে, কিন্তু উদার নক্ষত্রমণ্ডলীর সভায় তার সম্মানের স্থান নেই। সে অজ্ঞাত, অখ্যাত, পরিচালুন। এই অপরিচয়ের অবমাননাই কারাবাসের মতো । এর থেকে উদ্ধার পাওয়া যায় আলোকের দ্বারা । অর্থাৎ এমন কোনো প্রকাশের দ্বারা যাতে ক’রে বিশ্বের প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৪ [२१५ छां★, »य ५७ সঙ্গে তাকে যোগযুক্ত কৰে,এমন সত্যের দ্বারা ষা নিখিলের আদরণীয়। আমাদের শাস্ত্রে বারবার বলেছে, যিনি নিজের মধ্যে সৰ্ব্বভূতকে এবং সৰ্ব্বভূতের মধ্যে নিজেকে জানেন তিনিই সত্যকে জানেন । অর্থাৎ অহং-সীমার মধ্যে আত্মার নিরুদ্ধ অবস্থ আত্মার সত্য অবস্থা নয়। ব্যক্তিগত মানুষের জীবনের সাধনায় এ যেমন একটা বড় কথা, নেশুনের ঐতিহাসিক সাধনাতেও সেইরকম। কোনো মহাজাতি কি ক’রে আপনাকে বিশ্বের কাছে পরিচিত করতে পারে এই তপস্যাই তার তপস্যা। যে পারলে না বিধাতা তাকে বর্জন করলেন । মানব-সভ্যতার স্থষ্টি-কার্ধ্যে তার স্থান হ’ল না। রামচন্দ্র যখন সেতুবন্ধন করেছিলেন তখন কাঠবেড়ালীরও স্থান হয়েছিল সেই কাজে। সে তখন শুধু গাছের কোটবে নিজের থাদ্যাম্বেষণে না থেকে আপনার ক্ষুদ্র শক্তি নিয়েই দুই তটভূমির বিচ্ছেদ-সমুদ্রের মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজে যোগ দিয়েছিল। সীতাকে রাবণের হাত থেকে উদ্ধার করাই পৃথিবীতে সকল মহৎ সাধনার রূপক । সেই সীতাই ধৰ্ম্ম, সেই সীতা জ্ঞান, স্বাস্থ্য, সমৃদ্ধি ; সেই সীতা সুন্দরী, সেই সীতা সৰ্ব্বমানবের কল্যাণী । নিজের কোটরের মধ্যে প্রভূত খাদ্য-সঞ্চয়ের ঐশ্বধ্য নিয়ে এই কাঠবেড়ালীর সার্থকতা ছিল না, কিন্তু সীতা-উদ্ধারের মহৎ কাজে সে ষে নিঞ্জেকে নিবেদন করেছিল এইজন্যেই মানবদেবত। তার পিঠে অtশীৰ্ব্বাদরেখা চিহ্নিত করেছিলেন। প্রত্যেক মহাজাতির পিঠে আমরা সেই চিহ্ন দেখতে চাই, সেই চিহ্নের দ্বারাই সে আপন কোটর-কোণের অতীত নিত্যলোকে স্থান লাভ दः ८द्र । ভারতবর্ষের যে বাণী আমরা পাই সে বাণী যে শুধু । উপনিষদের শ্লোকের মধ্যে নিবন্ধ তা নয় । ভারতষধ বিশ্বের নিকট যে মহত্তম বাণী প্রচার করেছে, তা ত্যাগের बांब्रां, फूःcथद्र पॉब्रां, &भन्बौद्र चां★t, श्रांपञ्चांद्र यांब्र! :-8नछ দিয়ে, অস্ত্র দিয়ে, পীড়ন লুণ্ঠন দিয়ে নয় । গৌরবের সঙ্গে দস্থ্যুবৃত্তির কাহিনীকে বড় বড় অক্ষরে আপন ইতিহাসের পৃষ্ঠায় অঙ্কিত করেনি । আমাদের দেশেও দিগ্বিজন্মের পতাকা হাতে পর