পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৪১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ט\נט\ প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩e৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড অজ্ঞাত মহে । বিশ্বভারতী'তে এই লক্ষ টাকা দান যে, মুসলমান ধৰ্ম্ম প্রচারেরই একটি অঙ্গ নহে, তাহ কে বলিবে ? বিশ্বভারতীর প্রতিষ্ঠাত{ ब्रेरीौटानां९ 4यt ऊांहाँग्न श्रृंद्रिकांशक११ १३ ममस कथ| छिl कब्रिग्न দেখিবেন কি ? নিজামের ইসলাম ধৰ্ম্ম প্রচারের উৎসাহ আছে, ইহা সত্য; কিন্তু তিনি ধৰ্ম্ম প্রচার উদ্দেশ্যেই বিশ্ব ভারতীতে এক লক্ষ টাকা দান করিয়াছেন, এরূপ সন্দেহ করিবার ষথেষ্ট কারণ দেখিতেছি না। তিনি কি সৰ্ত্তে টাকা দান করিয়াছেন, তাহা আমরা এখনও জানি না । যখন জানিতে পারিব, তখন প্রয়োজন হইলে আলোচনা করিব । এখন পর্ষ্যস্ত যাহা জানি তাহা এই ৷ ইউ২োপের অনেক লোক সংস্কৃত ও পালি শিখিয়া ভারতীয় ধৰ্ম্ম গ্রন্থ ও অন্যাঙ্গ সাহিত্যের চর্চ করেন, কিন্তু তাহারা হিন্দু জৈন বা বৌদ্ধ হইয়া যান না । ইউরোপীয়দের মধ্যে র্যাহার। আরবী ও ফারসী শিখিয়া ইসলামিক সাহিত্য দর্শন ইতিহাস ও ধৰ্ম্মগ্রন্থের আলোচনা করেন, র্তাহারা মুসলমান হইয় যান না। বিশ্বভারতীতে ইসলমিক সাহিত্য ইতিহাস প্রভৃতির চর্চার জন্ত নিজাম টাকা দিয়াছেন । এইরূপ চর্চা কলিকাতা ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েও হয়। সরকারী টাকায় হয়। আমাদের মনে হয়, ভারতবর্ষের সব ধৰ্ম্মসম্প্রদায় পরম্পরের ভাল ঘাহা আছে তাহা জানিতে পারিলে পরম্পরকে ঠিক্‌ বুঝিবার ও শ্রদ্ধা করিবার সুবিধা হইবে। এই কারণে, কেহ যদি আলীগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে ও হায়দরাবাদের ওস্মানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে হিন্দু সভ্যতার চর্চার ব্যবস্থা করাইতে পারেন, তাহা হইলে ভাল হয়। বিশ্বভারতীতে বিদেশী ও দেশী খৃষ্টিণ্ডন অধ্যাপক আগে ছিলেন এবং এখনও আছেন, কিন্তু কেহ খৃষ্ট্রিয়ান হন নাই । মৌলানা জিয়াউদ্দীন নামক একজন নি অধ্যাপক ও আগে ছিলেন । এখন বোধ হয় নাহ। মুসলমান ছাত্রও বরাবরই দু-এক জন ছিল, এখনও হয়;ত আছে। বিশ্বভারতীতে মিশরের রাজার দান মিশরের রাজ ফুয়াদ বিশ্বভারতীতে অনেকগুলি ভাল ভাল আরবী বহি দিয়াছেন। ইহার সদ্ব্যবহার হইলে স্কুখের বিষয় হইবে । রামমোহন রায় বেশ ভাল আরবী জানিতেন, কিন্তু তিনি মুসলমান হইয়া যান নাই। হিন্দুসমাজভূক্ত অল্প অনেক বাঙালীও বেশ আরবী জানেন। উচ্চ বর্ণের হল-চালন বাংলা দেশে ব্রাহ্মণাদি কোন কোন জাতির লোকদের স্বহস্তে লাঙ্গল দেওয়ার রীতি নাই। র্ত্যহাদের পক্ষে হল-চালন কেন নিষিদ্ধ হইয়াছে, জানি না। কিন্তু ব্রাহ্মণের বেতনভোগী পাচকের কাজ, আদালতে পিয়াণ৷ চাপরাশীর কাজ, প্রভৃতি করিয়া থাকেন। তাহাতে তাহাদের কোন সামাজিক লাঞ্ছনা হয় না, হওয়া উচিতও নয়। অতএব নিজে লাঙ্গল দিলেও সামাঞ্জিক অমৰ্য্যাদা না হওয়াই উচিত। বঙ্গের অঙ্গচ্ছেদের পর স্বদেশী আন্দোলনের সময় শিক্ষিত বাঙালী যুবকেরা সব রকম ভাল কাজেই প্রবৃত্ত হইয়াছিলেন। হল-চালনা তাহার মধ্যে একটি । এখন যে কোথাও কোথাও আবার সেইরূপ চেষ্ট হইতেছে, ইহা শুভ লক্ষণ । গ্ৰীক পুরাণে একটি গল্প আছে, যে, ম্যাটিংস নামক এক দৈত্য দীর্ঘকাল অজেয় ছিল ; কেন না, যতবার সে তাহার মাত পৃথিবীকে স্পর্শ করিত, ততবারই তাহার দেহে নূতন শক্তির সঞ্চার হইত। অবশেষে গ্রীক বীর হার্কিউলিস্ তাছাকে মাটি হইতে তুলিয়া ধরিয়া তাহার গলা টিপিয়া মারিয়া ফেলেন। সব দেশের পৌরাণিক গল্পের মধ্যে কখন কথন গুঢ় অর্থ নিহিত থাকে। এই গ্রীক গল্পটিতেও আমরা এইরূপ অর্থ অকুমান করিতে পারি। মাটির সহিত ধে দেশের লোক, বা যে শ্রণীর লোক যত কম সম্পর্ক রাখে, তাহারা তত শক্তিহীন হইয়া পড়ে। এই কারণে, বিলাতের লোকের কল-কারখানার সাহায্যে পণ্যদ্রব্য উৎপাদন করিয়া তাহা বিক্রয় দ্বার প্রভূত ধনশালী হওয়া সত্ত্বেও চাষে উৎসাহ দিবার জন্য নানা উপায় অবলম্বন করতেছে। বিলাতের লোকদের টাকা বেশী আছে। বিস্তু ফ্রান্সের লোকেরা, জামেনীর লোকেরা, ডেন্মার্কের লোকেরা, নিজেদের খাদ্য নিজেই উৎপাদন করিতে পারে বলিয়া, তাহার বিলাতের লোকদের চেয়ে সকল অবস্থায় অধিক স্বাবলম্বী ও নিশ্চিস্ত থাকিতে পারে। অন্য সব কাজ ছাড়িয়া দিয়া সবাই লাঙ্গল ধরুন, এ পরামর্শ আমরা দিতেছি না ; দিলেও কেহ শুনিবে না। মাষ্টারী, ওকালতী, কেরানীগিরি প্রভৃতির চেয়ে চাষবাস আরামের কাজ, তাহাও বলিতেছি না। আমাদের বর্তমান বক্তব্য কেবল এইটুকু, যে, চাষের কোন কাজই অন্ত কোন কাজের চেয়ে অসম্মানজনক নহে, এবং আমরা ভ্রাস্তিত্বশতঃ চাষাদিগকে ধন্তই কেন অবজ্ঞা করি না, তাহারাই আমাদিগকে পালন করে, তাহারাই আমাদের অন্নদাতা । বাঙালীর যে পরিমাণে কেবল কাগজকলমক্ষেতাৰঞ্জী বাক্য ও লিপিনিপুণ বাবুর জাতি হইতেছে, সেই পরিমাণে তাহার প্রকৃত প্রস্তাবে পরাধীন ও গোলাম হইতেছে।