পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ꮤ←Ꮂ> বোম্বাইয়ের বি-এ ও বি-টি। তিনিও শিক্ষকের কাজ করেন , বয়স মালিনীবাঈ অপেক্ষ বছর দশ বেশী । বিবাহ গোপনে হয় নাই, হঠাৎ হয় নাই , ১৮৭২ সালের তিন আইন অনুসারে প্রকাগু নোটিস দিয়া রেজিষ্টরী করিয়া হইয়াছে। মালিনীবাঈ মুসলমান হইতে দৃঢ়তার সহিত অস্বীকার করেন। তাহাকে ও গুলাব খানকে, তিন আইন অনুসারে, মুদ্রিত এই উক্তিতে স্বাক্ষর করিতে হইয়াছে, যে র্তাহার হিন্দু, মুসলমান, জৈন, খৃষ্টিয়ান, বৌদ্ধ ইত্যাদি ধর্মেবিশ্বাসী নহেন। অন্ত কোন ধৰ্ম্মাহুষ্ঠান দ্বারাও ইহঁদের বিবাহ হয় নাই। কেবল রেজিষ্ট্রীর দ্বারা হইয়াছে। স্বতরাং ইহাকে হিন্দুমুসলমান বিবাহ বলা যায় না। গত মার্চ মাসে দিল্লীতে বোম্বাই হিন্দুসভার ঐযুক্ত জয়াকর প্রকাগু বকৃতায় বলিয়াছিলেন, ধে, হিন্দু মুসলমান সম্প্রদায় দ্বয়ের মধ্যে কাৰ্য্যকর একতার জন্য পরস্পরের মধ্যে বিবাহ হওয়া দরকার। ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মাবলম্বীর মধ্যে বিবাহ সম্বন্ধে আমাদের মত এই, যে, বাহাদের ধৰ্ম্মমত বাস্তবিক আলাদা, যাহাঁদের সামাজিক ও পারিবারিক ব্যবস্থা রীতিনীতি চালচলন শিক্ষা দীক্ষা আলাদা তাহদের মধ্যে বিবাহ বাঞ্ছনীয় নহে। তাহার কারণ, এরূপ বিবাহে দৈনন্দিন খিটিমিটিতে অসম্ভাব ঘটিবার খুব সম্ভাবনা থাকে, এবং সস্তানদের শিক্ষা দীক্ষা চালচলন চরিত্র গঠন কিরূপ হইবে তাহা একটা সমস্ত হইয়া দাড়ায়। কিন্তু কোনও প্রাপ্তবয়স্ক শিক্ষাপ্রাপ্ত নারী ও পুরুষ যদি ভিন্ন ভিন্ন ধৰ্ম্মসম্প্রদায়জাত হইয়াও বিবাহ করিতে চান, তাহা হইলে তাহা আইন-সিদ্ধ করিয়া নিৰ্ব্বাহিত হইলে তাহার বিরুদ্ধে আন্দোলন করা আমরা যুক্তিযুক্ত মনে করি না। ধৰ্ম্মবিষয়ক নিন্দকুৎসা পঞ্জাবের মুসলমানরা যে ভাবে জজ দলীপ সিংহের বিরুদ্ধে আন্দোলন চালাইয়াছেন, তাহ আমরা অস্কায় ও অনাবশ্বক মনে করি। জজ স্বয়ং খৃষ্টয়ান ; হিন্দু বা শিখ নহেন। তিনি "রঙ্গীলা রম্বল” বহি খান ( যাহাতে আহুস্বদের কুৎসা ছিল ) খুব খারাপই বলিয়াছিলেন। তিনি কেবল এই কারণে উহার লেখককে আপলে খালাস g স্থান খোৱা স্থূলতা নাল इड्रेञ्चारइ,

  • mannprimentom

প্রবাসী—শ্রাবণ, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড তাহা তাহার প্রতি খাটে না। অতএব, মুসলমানরা তাহার পদচ্যুতি প্রভৃতির জন্ত আন্দোলন না করিয়া কেৰল এইরূপ ভাবে আইন পরিবর্তনের দাবী করিতে পারিতেন, যেন রঙ্গীলা রন্থলের মত বহি লেখা দণ্ডনীয় হয়। কোন ধৰ্ম্মপ্ৰবৰ্ত্তক কেন, কোন ব্যক্তিরই কুৎসা করিয়া কিছু লিথিয়া ছাপান উচিত নহে। কিন্তু মৃত ধৰ্ম্মোপদেষ্টাদের কুৎসা নিবারণ জন্ত আইন করিতে হইলে খুব সতর্কত অবলম্বন করিতে হইবে, যাহাতে সংস্কৃত ও গম্ভীর ভাবে ধৰ্ম্মমতের, ধৰ্ম্মশান্ত্রের ও ধর্শ্বপ্ৰবৰ্ত্তক প্রভৃতির চরিত্রের আলোচনা চলিতে পারে। ইহা মানবজাতির ক্রমোন্নতির জন্য আবশ্যক। পঞ্চাবে আন্দোলনের মুখে মুসলমানরা যে স্মরণ করিতেছেন ও করাইতেছেন, যে, তাহাদের শাস্ত্র অনুসারে মহম্মদের নিন্দাকারীর প্রাণবধ করা উচিত, ইহাতে বিপদ আছে। শুধু বিপদ নয়, এই ব্যবস্থা আমরা যুক্তিসঙ্গত ও আধুনিক জগতের উপযুক্ত মনে করি না। ঈশ্বর সকল ধৰ্ম্মপ্রবর্তকের চেয়ে বড়। কাহারও নিম্নাকারীর প্রাণদণ্ড বিধেয় হইলে, ঈশ্বরনিন্দুকের প্রাণদণ্ডের ব্যবস্থা আগেই ঈশ্বর স্বাভাবিক নিয়মানুসারে করিতেন। কিন্তু অতীত কাল হইতে এপর্ধ্যস্ত যত নাস্তিকের জন্ম হইয়াছে, কেহই নাস্তিক্য প্রকাশ বা প্রচার করিবামাত্র মৃত্যুমুখে পতিত হয় নাই। কথিত আছে, এলাহাবাদে স্বৰ্গীয় শ্ৰীশচন্দ্র বস্বর মাতা খৃষ্টিয়ান মিশন স্কুলের হিন্দু বালিকাদিগকে, “তোদের কৃষ্ণ চোর কৃষ্ণ ননী চুরী করে, মোদের খৃষ্ট যিশুখৃষ্ট ভবের ত্রাণ তরে।” এই কবিতা স্বর করিয়া আবৃত্তি করিতে শুনি পুত্রকে হিন্দু বালিকাদের জন্ত বিদ্যালর স্থাপন করিতে বলিয়াছিলেন। হিন্দুশাস্ত্রে দেবনিম্বকদের এাণ দণ্ডের ব্যবস্থা থাকিলে ও তদনুসারে কাজ হইলে বহু খৃষ্টীয় মিশনারীর প্রাণ যাইত। সুখের বিষয়, যে, ওরূপ কোন ব্যবস্থা নাই। তাহা না থাকায় হিন্দুদের উন্নতি ভিন্ন অবনতি হয় নাই। “তোমরা যে গোরুর পূজা কর, জামরা তাহাকে ভোজন করি, পাদরী বিশেষের এরূপ বক্তৃতা শুনিয়া হিমুর হাসিয়াছে, তাহার প্রাণ বধ করিবার চেষ্টা করে नॉई ।