পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ులిg প্রবাসী—ভাদে, ১ee৪ [ २१* छौभं, आम थe হৃদয়াবেগ না, সেটা কাব্য। সেই কাব্যটা সৰ্ব্বজনীন। ষে-নারী নৃত্য কর চে সে আপন দেহ দিয়েই নাচ চে । এই দেহটা তার ব্যক্তিগত, এখানে তার লজ্জা আছে। কিন্তু স্থ হ্যটা সৰ্ব্বজনীন, সুতরাং নৃত্যের বাহনরূপে দেহট যখনি উপলক্ষ্য হয় তখনি দেহ প’ড়ে যায় অন্তরালে, সে হয় গৌণ।...এইখানে প্রসঙ্গক্রমে একটা কথা আমি বলতে চাই-সেটাকে বর্তমান সভায় উপস্থিত কোনো কোনো যুবক যদি অত্যন্ত বেশি ব্যক্তিগত য’লে গ্রহণ করেন তাতেও আমি পিছপাও হ’ব না । হৃদয় ব’লে, রসবোধ ব’লে, প্রেমের আকাঙ্ক্ষা ব'লে আমাদের একটা বালাই আছে। আমরা অবজ্ঞার ভাণ ক’রে সেটাকে ছাড়তে চাইলে কম্লি ছাড়ে না, এমন কি আরো বেশি ক’রেই জাপটে ধরে। ঐ বিধিদত্ত জিনিষটাকে সম্পূর্ণ অস্বীকার করে শুকিয়ে ফেললে তবেই কি তোমাদের দেশের সম্বন্ধে কৰ্ত্তব্য-সাধন নিরাপদ ও স্বসম্পূর্ণ হবে মনে করুচ ? জীবনের অসম্পূর্ণতাতেই কি সাধনার সম্পূর্ণত ? তুমিও কি এখনকার সেই সমস্ত দেশাত্মবুদ্ধদলের মধ্যে যারা বলেন সংসারে হৃদয়কে উপবাসী না রাখলেই দেশের কাজে জোর পাওয়া যায় না "**** আমি একটু বিত্রত স্বরেই বললাম, “না তা নয়, আপনি ভারি অপ্রস্তুত করেন। তবে কি জানেন ? আপনিইত একবার লিখেছিলেন যে বিবাহ সম্বন্ধে যত কুণ্ঠ-ভয় সে কেবল অবিবাহিত তরুণের ; যাদের একবার বিবাহ হয়েছে তাদের বুকের পাট বেড়ে গেছে। সত্তর আশি বছর বয়স পৰ্য্যস্ত দ্বিতীয় তৃতীয় ও চতুর্থ সংসার করাটা তাদের কাছে সন্দেশ গেলার মতো সহজ হয়েচে— তাতে না আছে খোলা না আছে অঁাটি ।” কবি বললেন,"ব্যস্ত হয়েনি,আমি তোমাকে ব্যাপটাইজ করতে আসিনি। বিবাহ সম্বন্ধে তুমি চাঁদেন থাকে,পেগান থাকে, তা নিয়ে অকুযোগ করা আমার ব্যবসা নয়, আমার কেবল কৌতুহল মাত্র। কোনখানে তোমাদের বাধচে ? দ্বিধাটা কি নিয়ে ?” আমি বললাম, "দেখুন আমার মনে হয় যে আজকাল যুগধর্শের গুণেই বা অন্য যে কোন কারণেই হোক আমরা বিবাহে যা খুজি আমাদের পূর্ববর্তীগণ ঠিক সে জিনিষটি খুঁজতেন না। জামাদের আশা আকাঙ্ক্ষা, কামনা বাসন, আদর্শ প্রচেষ্টা এককথায় চরিত্রের সমগ্রতাটুকু সম্বন্ধে স্ত্রীর কাছে একটা অন্তর্দৃষ্টি আশা করি। আগেকার যুগে হয়ত মানুষ স্ত্রীর কাছে এতটা দাবী কবুত না ও কাজেকাজেই সে-সমরে বিবাহ করাটা ঢের সহজ ছিল। কিন্তু এখনকার দিনে আমাদের দাবীদাওয়ার উপদ্রব বেশী হয়ে পড়েছে ব’লে সেট। পূরণ করবার মানুষ মেলাও একটু ভার হয়ে উঠেছে এই আমার বলবার কথা। জানি না কথাট। আপনাকে ঠিক বোঝাতে পারলাম কিনা ?” কবি বললেন, “আমি বুঝেছি তুমি কি বলতে চাইছ। কিন্তু শোনে বলি—তুমি স্ত্রীর কাছে যে-জিনিষটি পাওয়াকে এতবড় ক’রে দেখ ছ সে-বস্তুটি আসলে তত বড় নয়।” আমি বললাম, "বড় নয়!” "—ন, শোনো। তুমি বলতে চাও এই যে, আমাদের চরিত্রের মধ্যে যতরকমের বিচিত্ৰতা আছে তার সমস্তটাই স্ত্রী যদি সম্পূর্ণ বুঝতে পারেন তবেই তার ভালবাসাও মূল্যবান হ’য়ে ওঠে r-ভেবে দেখ,মাহব নীহারিকা-মণ্ডলের মতো। তার অনেকট আছে যা তার নিজের কাছেও ঝাপসা, যা সে কাজে খাটাতে পারে না"; যা স্বপ্নের বাম্পে এলিয়ে আছে, যাকে চোখ বুজে সে মনে করে সত্য, দায়ে ঠেকৃলেই দেখে ব্যবহারে তার নাগাল মেলে না। আর এক অংশ আছে যেখানে আমার জীবন দান বেঁধে গেছে —সেটা প্রাত্যহিক ব্যবহারের পক্ষে সত্য, কিন্তু আকস্মিক বিপ্লবে হঠাৎ দেখি সেটা হয়তো সত্য নয়। একটা পূরে। মাহব তো এইরকম ভাবেতে বস্তুতে, কল্পনায় ও সত্যে মিশোনে,এই মাহুবকে নির্শ্বোহ নিৰ্ভল ভাবে যদি কোনো স্ত্রী ধারণা করতে পারে, তবে মাছুযটি সত্যই খুসি হয় মনে কর । আসলে তোমার কথাটা হচ্ছে তুমি নিজেকে যে মানুষ ব’লে বিশ্বাস কর, কোন মেয়ে যদি তোমার সেই স্বকপোলকল্পিত সত্যকে চোখ বুজে মেনে নেয় তাহ’লেই তুমি তাকেবিবাহ করবে। এ যে তুর্কির স্থূলতানের চেয়েও বেশী সুলতানী । কিন্তু এতো গেল এক পক্ষের কথা । পুরুষরাই কি মেয়েদের বিয়ে করে ? মেয়েরা কি পুরুষদের বিয়ে করে না ? কিন্তু মেয়ের ধে সৰ সময়ে আদর্শ বিচার ক’রে পুরুষদের ভালোবাসে আমি তা বিশ্বাস করিনে।