পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৬৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] রবীন্দ্রনাথের সহিত কথোপকথন \ు&సి কবিবর...“ঐ ঠিক করেছেন•••আপনার ‘বইটে পড়ে দেখব । বিপিনবাবু (বাবু বিপিনচন্দ্র পাল ) তার জীবন-কথা লিখছেন। আপনাকে জানাই ত শক্ত কথা । বাহ্য-ব্যবহার দেখে অপর মানুষকে কতটা জানা যায় ?” আমি-"সেই 'আমি কে খুঁজে খুঁজে...এটা আমি নয়, ওটা আমি নয়...দেখে এ সেই চিন্তা-পথেই আমাদের ঋষির সেই ভূমীয় ও মহান সত্যে উপস্থিত হয়েছিলেন * - আমি তখন কথাটা অদ্য দিকে ফিরাইয়া দিয়া বলিলাম—“কিছু দিন হয় —αςII*{* *t*t$*fta?, “Philosophy of the lípanishads” পড়ছিলুম এবং তার forewordট যা আপনি লিখে দিয়েছেন সেটাও পড়েছি, বইট। বেশ হয়েছে। পাঠ্যtযস্থায় গাফ সাহেবের বই পড়ে সেটার উপর কি ঘোর বিতৃষ্ণাই জন্মেছিল।” কবিবর—“জানেন কি ? ওঁর আমাদের মধ্যে কোন মৌলিকতা দেখতে পান না এবং স্বীকার করেন ন! এমন-কি আমাদের সতত৷ ও শাস্ত্রের প্রাচীনত্বটুকু পৰ্যন্ত স্বীকার করতে প্রস্তুত নন। এটা গ্রীকৃদের থেকে নেওয়া, ওট যেধিলোন থেকে ধার-কার’ ইত্যাদি বাক্যে আমাদের যা কিছু তার প্রতিই অবজ্ঞ—কারণ আমরা যে Subjectpeople, British subjects1 Y^fl E RTER RA CARtLA 1" আমি—“প্রাচীন তারতের যা কিছু জ্ঞান-সম্পদ তার খোজ নেয় যুরোপের অস্তান্ত সভ্য জাতির, যতদূর বর্ণন থেকে দেখায়-তাতে at-laid Hotto Continental countries Ho seiðir ও ইংলণ্ডের অভ্যর্থনায় কত আকাশ-পাতাল পার্থক্য লক্ষ্য করেছিলাম।” কবিবরের ঈষৎ হাস্ত । DtSLLLLLg BBB BB K KDD BBB BB BB অভার্থিত হয়নি। যুক্ত-রাজ্যে ( United States ) ও দক্ষিণ আমেরিকারও ত আপনাকে কত সম্মানে অভ্যর্থনা করেছে। যুত লৰ্ড নর্থক্লিফের জগৎ-ভ্রমণ বৃত্তান্ত পড়তে পড়তে বেশ বুঝেছিলাম যে, ইংরেজদের কত বড় অহঙ্কার ও স্ব-প্রাধান্তের ভাব অন্তত: আমাদের সম্বন্ধে।” কবি—“লৰ্ড নর্থক্লফের আত্মাভিমান ও আঞ্জস্তরিতার কথা আর তুলবেন না-সেট বড়ই পড়া-দায়ক।” আমি—( কথাটা অস্ত দিকে প্রধাবিত করতে বিশ্ব-ভারতীয় কথা তুলে ) “আপনার বিশ্ব-তারতীর স্থায়িত্ব, ভবিষাৎ ও ক্রম-বিকাশ সম্বন্ধে আপনার কি ধারণা ? যথন বেঙ্গল কাউন্সিলের মেম্বর ছিলাম তখন ভবানীপুরে মাঝে মাঝে স্তার আশুতোষ মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতুম্। আমি উার বাড়ীর অতি নিকটে রসারোডের অপর পারে থাকতুম্। একদিন বোলপুর হতে ‘বিশ্ব-ভারতীর করেকটি যুবক—পালি কি তিব্বতীয় অথবা চৈনিক তাষার লিখিত একখান হস্ত-লিখিত পুথির খোজে তাহার গৃহে উপস্থিত হয়েছিলেন। আশুবাবু বললেন যে, সেইটে অতি যত্নে কোন ’লাম’ কর্তৃক সংগৃহীত হয়েছে—সেটাকে অন্যত্র স্থানান্তর করা সম্ভবপর নয়। র্তারা তাদের গবেষণার জন্ত কলিকাতায় এসে তার ব্যবহার করতে পারেন । তার পরেই বলেন, দেখুন, রবিবাবু আর কতকাল বিম্ব-ভারতীর জঙ্ক দেশে দেশে ঘুরে ভিক্ষ করে বেড়াবেন ? তাতে কি আর বিশ্ব-ভারতীকে স্থায়িত্ব দিতে পারবেন ? সেটা সম্ভব নয় ব'লেই আমি কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে লেগে *'tफू यांझि ?” কবিবর (একটু মুচকি হেসে)—“জগতে ত কিছুই স্থায়ী নয়, বিশ্বভারতী ত কোন চার । ভগবান বুদ্ধদেব উীর যে "আদান ও শিক্ষা ভারতে দিয়েছিলেন এবং যে-শিক্ষা ও উপদেশ অশোকের স্থায় রাজচক্ৰবৰ্ত্তীর উৎসাহে ভারতে ও জগতে প্রচার হয়েছিল, সেটা কি "ভারতেই স্থায়ী হয়েছিল ? তার নামটি পর্যন্ত ভারতবাসী ভুলে গিয়েছিল। আর ‘বিশ্বভারতী’ স্থায়ী হবে ? 'শিক্ষা সম্বন্ধে আমার যে-ধারণ সেটাকে একটা ‘আকার’ দেওয়া ও মূৰ্ত্ত করে তোলাই আমার উদ্বেগু এবং সেইজন্তই চেষ্ট। স্থায়ী হবে কি অস্থায়ী হবে--ফলে কি দাড়ীৰে, সেট ত আমার হাতে নয়, আমার সেটাই কৰ্ম্ম ; ফলে আমার ‘অধিকার নেই। অশুৰাবু ত গবৰ্ণমেন্টের স্ব?--তৎকর্তৃক পুষ্ট ও পৃষ্ঠপোষিত বিশ্ববিদ্যালয়কে আপনার মতে গড়ে তুলতে প্রয়াসী ছিলেন, কিন্তু তিনি যেতে না যেতেই তার কত পরিবর্তন । পরিবর্তন সয সময়েই হ’চ্ছে ও হবে ।” আমি—“সবই ত ‘নামরূপের খেলা ।” কবিবর-“ই।—তার মধ্যে যেটুকু ‘চিরস্তুর তার অন্বেষণই আমাদের কাজ । ধরুন-গ্রাম-সংস্কাবের কথাটা, সে-সম্বন্ধে আমার যে-মনোভাব— তাঁর কিছুকে ‘আকার দেওয়া কি মুক্ত করে তোলাই ত ‘শ্ৰীনিকেতনে চলেছে।” আমি—“গ্রাম-সংস্কার ও গঠনট ত আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের বক্ততাই বিষয়’-কাজে ত কিছু দেখছি না। গবর্ণমেন্টকে গালু দিলেই কি গ্রাম-সংস্কার হবে ?” কবিবর-“বুঝছেন ন—ঐ গালের ভেতরেই গবর্ণমেণ্টের ক্ষমতায় আমাদের শ্রদ্ধ কতটা পঃিস্ফুট হচ্ছে। তাবটা এই—আমরা ত কিছুই করতে পারি না এবং করছিও না । গবর্ণমেণ্টের ক্ষমতা অসীম—সবই করতে পারে এবং করছে না-স্বতরাং গবর্ণমেণ্টকে গালু দিই। আমরা কি গবর্ণমেন্ট-নিরপেক্ষ হ’য়ে এভট৷ গৱর্ণমেণ্ট দাড় করিয়ে—আমাদের মতে স্বাস্থ্য-বিধান ম্যালেরিয়া কলের প্রভৃতি দূর করার চেষ্টা করে –শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সম্বন্ধে কিছু ক'রে উঠতে পারি না ? তবে করছি কি ? মোহট কাটানো ফি দহগু ব্যাপার ?” বৰ্ত্তমান রাজনৈতিক’ কথা-প্রসঙ্গে কবিবর বলেছিলেন--“আমরা অনেকেই মনে করি যে শাসন-প্রণালী সম্বন্ধে "জন-মতের শাসন’ বা "Democracy’ই যেন চূড়ান্ত কথ, সেট নাও হতে পারে।” झुठोग्न नि-ssइँ छाप्ने বাঙ্গলার আইনসভার বিগত নিৰ্ব্বাচনের কথা উঠিগ-তখন তিনি বলিলেন – “দেখুন না ঐ ব্যাপারে কত টাকারই না অপব্যয় ও শ্রাদ্ধ হচ্ছে। ঐ "ছেলেমানষির জন্তে ! যার স্বভাব-কৃপণ—কোন একটা সৎকার্য্যে দুটো পয়সা বার করেন ন-উরাই এই কাজে অজস্র টাকা-হাজারে হাজারে, ব্যয় করেছেন । আমি জানি কোন জেলায় কোন রাজা’ ( জমাদার ) যার নিকটে কোন সৎকার্যো হাত পেতে দুটো পয়সা বের কর; যারনি, তিনিই শুনেছি ইলেক্সান-ব্যাপারে ( সে ছাই আবার কাউন্সিলেরও নয়-ডিষ্ট্রক্টবোর্ডের ইলেক্সানে !) নাকি প্রচুর অর্থব্যর করেছেন । যেটা দেশের আসল কাজ—যাকে গঠনবুলক কাৰ্য্য বলা হয়ে থাকে—সেজন্য টাকা নেই ! রাজনৈতিক কথা চাপিয়া আমি ‘গভীরতর বিষয়ে কবিবরের বাণী শুনিবার জন্ত জিজ্ঞাসা করিলাম—“দেখুন যতই বয়স বেড়ে যাচ্ছে-তঙই মৃত্যু-চিন্তাটা এত প্রবল হয়ে উঠছে কেন ? cयोक्ष्ब कि सौन्तानब्र মধ্যাহ্নে-ও চিন্তাটা একটিবারও মনে ওঠেনি।”— কবিবর-"জানেন, ওটা ত একটা সোজা পাটীগণিতের কথা ! আয়ুষ্কাল ত আমাদের পূর্ণ হয়েছে ; গড়পড়তা (average life) যা-ত৷ ঢ়ের ছড়িয়েই । ( বলা বাহুল্য-কবিবর ও আমি প্রায় সমবয়স্ক--তিনি বছর দুয়ের ‘বড়' ই’তে পারেন ) এখন আমরা ত extension এর উপরে আছি। স্বতরাং যে সমস্ত কাজ আরম্ভ করেছি, সেগুলোই পূর্ণ ও শেষ করতে পার্য কি ন সন্দেহ । তাতে অাধার, ষে কাজ সম্পন্ন