পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭২৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ভাগ্যচক্র ువన “কাদের ছেলে মশায় ?” অতুলের খুড়া এই প্রশ্নটি করিবার লোভ ছাড়িতে পারিলেন না । ক’নের বাবা বলিলেন, “আরে এই যে আমাদের ও পাড়ার স্থবোধ, বুড়ে অধর মিত্তিরের ছেলে । ছেলে পড়াশুনায় বেশ ভাল শুনেছি।” গিরীশ মনে মনে নিজের বুদ্ধির তারিফ না করিয়া পারিল না । সে স্ববোধের মতলব ঠিকই ধরিয়াছিল। বাড়ী ফিরিবামাত্র অতুল ছুটিয়া আসিয়া গিরীশকে হিড়হিড় করিয়া নিজেদের ঘরে টানিয়া লইয়া গেল । জিজ্ঞাসা করিল, “কি রে, অত মুখ হাড়ি ক’রে রয়েছিল কেন ? মেয়ে ভয়ানক কুৎসিৎ নাকি ? তা তোকে ত আর জোর ক’রে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে না কেউ স্ববোধকে আমি রাজী ক’রে দিতে পায়ি, সে টাকা পেলে আর কিছু চায় না।” গিরীশ মহাব্যস্ত হইয়। বলিল, “ন, না, তোমায় কিছু করতে হবে না। মেয়েকে বিয়ে করতে আমি যথেষ্টই রাজী আছি ।* অতুল সন্মিগ্ধভাবে বলিল, “এ মহা ব্যস্ত যে দেখি । আচ্ছ, সত্যি কথা বলত ? মেয়ে কেমন দেখতে ?” গিরীশ একটু বিপদে পড়িল। যদি বলে মুন্দর, তাহা হইলে ত অতুলের মত বদলাইয়া যাইতে পারে। কিন্তু প্ৰাণ ধরিয়া ললিতাকে কুৎসিৎই বা সে বলে কি করিয়৷ * ভাবিয়া চিন্তিয়া বলিল, "কুৎসিৎ যাকে বলে তা নয়।” অতুল গাফাইয়। উঠিয়া বলিল, “তবে স্ববোধ লক্ষ্মীছাড়া আমার কাছে মিথ্যে কথা বলল কেন ?” গিরীশ বলিল, “তিনি স্বয়ং মেয়েটির পাণিপ্রার্থী কি না তাই।” অতুল রাগে লাল হইয়। বলিল, “ত হ’লে, তার বাপ আবার বিয়ে করবে, মেয়ে টাকা পাবে না, এসবও তার বানান কথা ?” গিরীশ ভয় পাইয় গেল। অতুল যদি মেয়ে দেখিতে চায়, তাহা হইলেই হইয়াছে। সে বলিল, “না, না, ওগুলো বানান নয়, আজ ধ। শুনলাম তাতে আমারও ঐ ब्रक्वाःहे भन्न श्ण।” অতুল প্রাণ খুলিয়া স্থবোধকে গাল দিতে আরম্ভ করিল। গিরীশ বলিল, “তুমি বাপু, যখন অন্য জায়গায় হৃদয়দান ক’রে বসে আছ, তখন এত চট্‌বার কি আছে ? তোমার কি ইচ্ছে যে জগতের সব মেয়ের তুমি একমাত্র পাত্ৰ হ’য়ে থাক ?” অতুল অপ্রতিভ হইয়া বলিল, “মোটেই তা নয়, তবে পাঞ্জাট। আমার কাছে মিথ্যা কথা বলল কেন ? সে বিয়ে করতে চায় একথা খোলাখুলি বললেই পাবৃত ? আমি ত বলেইছিলাম যে আমি ও মেয়েকে বিয়ে করব না। দাড়াও, বাছার গুড়ে আমি বালি দিচ্ছি। বাবাকে জানালেই হবে যে, তুমি বিয়ে করতে রাঙ্গী, আর বিয়েট। শীগগিরই যাতে হয়, তাই চাও । পাচদিমের ভিতর বউ নিয়ে দেশে ফিরতে পারব হে ।” গিরীশ বলিল, “আমার বিন্দুমাত্রও আপত্তি নেই।” অতুল জিজ্ঞাসা করিল, “কিন্তু তোমার বাবা মাকে খবর দেবে না ?” গিরীশ বলিল, “তা দিলে হয়। টাকা-কড়ির গদ্ধ যখন আছে, তখন বাংলা দেশের কোন বুড়া-বুড়ী আপত্তি করবে ? ছেলে চায় রূপ, ছেলের বাপ চায় রূপে " " বিয়ের দিন দেখিতে দেখিতে আসিয়া পড়িল । । গিরীশের বাবা এই বিবাহে আপত্তিজনক বিশেষ কিছু দেখেন নাই কাজেই তিনিও আসিয়াছেন। শুক্লপক্ষেই । দিন পড়িয়াছিল, কাজেই রাত্রিটি জ্যোৎস্নাপ্লাবিত। বর তখনও বাড়া করে নাই, বাড়ীতে উৎসবের কোলাহল পূর্ণমাত্রায় চলিয়াছে। অতুন্সের মা বাবা ছেলের বন্ধুর বিবাহ দিয়াই যেন ছেলের বিবাহের সাধ মিটাইতে বসিয়াছেন। রস্কনচেীকী শুদ্ধ বাদ যায় নাই। গিরীশ ঘরে বসিয়া কল্পনাকে একেবারে লাগাম ছাড়িয়া দিয়াছিল। তাহার বন্ধুর দল তখনও আসিয়৷ জোটে নাই । হঠাৎ অতুল ছুটয় ঘরে ঢুকিল। ইপিাইতে ইপিাইতে বলিল, “কি হয়েছে জানিস্ ?” গিরীশ ব্যস্ত হইয়। বলিল, “কি রে?” অতুল বলিল, “সে এখানে এলেছে । একটু আগ্নে স্থখন তোয় খণ্ডস্থ