পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৮৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] ማ¢¢ ছাত্রদের বলিবার পড়িবার জায়গ। আরও বড় হওয়৷ দরকার। খেলিবার বিস্তীর্ণ মাঠ আছে । কলেজটিতে বি-এসসি পড়াইবার বন্দোবস্ত হওয়া একান্ত আবশ্ব্যক । বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগার ও অধ্যাপনার গৃহ এবং বৈজ্ঞানিক যন্ত্র কিছু বাড়াইলেই ইহা করা যায় । তাহার জন্য এক লক্ষ টাকাও লাগিবে না। ময়মনসিংহ বড় বড় জমিদারের জন্ত প্রসিদ্ধ। এই টাকা তাহারা অনায়াসে দিতে পারেন । যাহারা পাটের কারবারে ধনী হইয়াছেন, তঁrহাদের হাতে নগদ টাকা আরও বেশী থাকিবার কথা । উকীলেরাও কেহ কেহ ধনী । নূতন বিজ্ঞানাধ্যাপক ও সহকারী যাহা নিযুক্ত করিতে হইবে, তাহাদের বেতন বৈজ্ঞানিকছাত্রদত্ত বেতন হইতে উঠিতে পারে । কলিকাতায় ছাত্রদের ভীড় বাড়া অপেক্ষা মফঃস্বলে সকল রকম বিদ্যা শিথিবীর ছাত্র বাড়া ভাল। এই জন্য মফঃস্বলের সর্বত্র বিজ্ঞান-শিক্ষার ব্যবস্থা হওয়া দরকার । ময়মনসিংহে কোন একজন উৎসাহী লোক একাগ্রতার সহিত এই কাজটিতে হাত দিলে সফলকাম হইবেন । ইহার সঙ্গে সঙ্গে বৈজ্ঞানিক জ্ঞানসাধ্য পণ্যশিল্প শিখাইবার একটি প্রতিষ্ঠান হইলে আরও ভাল হয় । এখন যে শিল্পবিদ্যালয়টি আছে, তাহারই বিস্তৃতি ও উন্নতি দ্বারা ইহা হইতে পারে । আনন্দমোহন কলেজে উদ্ভিদবিস্তু শিখান হয় । সুতরাং তৎসম্পর্কে কৃষিবিদ্যা শিখাইবার শ্রেণী খুলিলে অপেক্ষাকৃত অল্প ব্যয়ে উহ। শিখান যায় । ময়মনসিংহ সহরে বালকদের বিদ্যালয় যে কয়টি আছে, তাহার সবগুলির নিজের প্রশস্ত বাড়ী ও খেলিবার জায়গা নাই। প্রত্যেকটির প্রশস্ত খেলিবার জায়গা, ব্যায়ামাগার, এবং ব্যায়াম ও ক্রীড়ার শিক্ষক থাকা আবশ্যক । বালিকাবিদ্যালয় তিনটি দেখিলাম । তাহার মধ্যে বিদ্যাময়ী বালিকাবিদ্যালয়ের বাড়ী ভাল, এবং খেলিবার জায়গাও কিছু আছে। জন্য দুটির খেলিবার জায়গা নাই। মেয়েদের ইস্কুলে খেলিবার জায়গার বিশেষ দরকার। তাহারা বাড়ীতে সংকীর্ণ জায়গায় থাকে, ছেলেদের মত স্বচ্ছদে বেড়াইয়। অঙ্গচালনা করিতে পারে না ; স্বতরাং তাহাদের স্বাস্থ্যও খুব ভাল হয় না। এই কারণে বিবিধ প্রসঙ্গ—লালা স্যার গঙ্গারামের দানশীলতা তাহাদের খেলিবার জায়গ! ও ব্যায়ামাগার ছেলেদের চেয়েও প্রশস্ত ও উৎকৃষ্ট হওয়া উচিত । বড়োদা রাজ্যে ভারতবর্ষীয়া বালিকাদের উপযোগী অনেক নূতন খেলা ও ব্যায়াম প্রবর্তিত হইয়াছে । বাংলা দেশের সমুদয় বালিকা বিদ্যালয়ের কর্তৃপক্ষের বড়োদা হইতে এইসব খেলা ও ব্যায়ামের বৃত্তাস্ত ও ছবি আনান উচিত। বাংলাদেশের মত স্ত্রীশিক্ষায় অনগ্রসর প্রদেশে ময়মনসিংহের মত ছোট সহরে তিনটি বালিকাবিদ্যালয় থাক। প্রশংসনীয় । কলেজের শিক্ষা পাইবার জন্য অনেক বালিকাকে কলিকাতা আসিতে হয়। কিন্তু সকলের স্থান হয় না ; ছাত্রীনিবাসে যাহাদের স্থান হর, তাহার কোন কোন ছাত্রীনিবাসে ভাল করিয়৷ থাইতেও পায় না। অধিকন্তু বেথুন কলেজের ইংরেজ মহিলা-প্রিন্সিপ্যালের প্রকৃতি ঐ পদ অপেক্ষা নায়ুপুলিস বিভাগের অধিকতর উপযোগী । এই সকল সরণে মফঃস্বলেও যেখানে যেখানে মেয়েদের উচ্চশিক্ষার বম্বোবস্ত হইতে পারে, সেখানে তাহা কর। একান্ত কৰ্ত্তব্য। ময়মনসিংহে ছাত্রীর সংখ্যা যেরূপ, তাহাতে সেখানে আই-এ ক্লাস খুলিলে বড় ভাল হয়। ছাত্রীর অভাব মোটেই হইবে না। এবিষয়েও কাহারও একাগ্রতার সহিত মন দেওয়া দরকার। যেখানে তিনটি বালিকা বিদ্যালয় চলিতেছে, সেখানে স্ত্রীশিক্ষায় উৎসাহী লোক আছেন, সহজেই বুঝা যায়। লালা স্যার গঙ্গারামের দানশীলতা শ্রাবণের প্রবাসীতে লাল স্তার গঙ্গারামের বিষয় কিছু লিখিয়াছিলাম। তখন র্তাহার ছবি হস্তগত না হওয়ায় ছবি দিতে পারি নাই। এবার এই কৰ্ম্মবীর ও দানবীরের ছবি দিলাম। ১৮৫১ সালে তাহার জন্ম ও ১৯২৭ সালে মৃত্যু হয় । মৃত্যুকালে তাহার বয়স ৭৭ হইয়াছিল। তখনও তিনি কম্মিঠ ছিলেন। রাজকীয় কৃষি কমিশনের সভ্যরূপে বিলাতে গিয়া সেখানে তিনি মৃত্যুমুখে পতিত হন। প্তাহার পিতা কোর্ট ইনস্পেক্টর ছিলেন। সংলোক বলিয়৷ তাহার খ্যাতি ছিল । লাল গঙ্গারাম যে লক্ষ লক্ষ টাক!