পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম সংখ্যা ] বিবিধ প্রসঙ্গ—বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বারা নির্বাচন

  • @》

ছিলাম। তা ছাড়া মডার্ণ রিভিউতেও ছাপিয়াছিলাম। আমরা যতদূর অবগত আছি, বঙ্গের কয়েকটি ইংরেজী দৈনিকে বক্তৃতার মর্শ্ব বাহির হইয়াছিল, তদপেক্ষা কম কাগজে সম্পাদকগণ ইহার উপর মন্তব্য প্রকাশ করিয়াছিলেন । একখানি ইংরেজী দৈনিক বক্ত তাটি ছাপেন নাই, কোন মন্তব্যও করেন নাই, কিন্তু নিজেদের দলের একজন লোকের ঐ প্রকারের একটি প্রবন্ধ কয়েকদিন পরে ছাপিয়াছিলেন। বঙ্গের নেতারা কোন উচ্চবাচ্য করেন নাই । বঙ্গের বাহিরে বক্ততার যে অতিক্ষুদ্র চুম্বক দৈনিক কাগজগুলিতে ছাপা হইয়াছিল,তাহাতে আমাদের প্রায় সব প্রধান প্রধান কথাই বাদ পড়িয়াছিল। বোম্বাইয়ের একটি কাগজে আসল কথাগুলি বাদ দিয়া বক্ততার সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট বাহির হইয়াছিল । কেবলমাত্র মাস্ত্রীজের একটি দৈনিকে বক্ততার পূর্ণ তাৎপর্য বাহির হইয়াছে বলিয়া আমরা দেখিয়াছি । কিন্তু বঙ্গের বাহিরের কোন কাগজে বক্ত তার বিষয়টি সম্বন্ধে একপংক্তি সম্পাদকীয় মন্তব্যও আমাদের চোখে পড়ে নাই । এসব কথা ব্যক্তিগত অভিযোগ বা দুঃখ প্রকাশ কেহ যেন মনে না করেন। সকল দিক্ দিয়৷ বঙ্গের প্রতি অবিচার হইয়া আসিতেছে, বঙ্গকে পঙ্গু করিয়া রাখা হইতেছে— অথচ এবিষয়ে বঙ্গের নেতাদের সমুচিত দৃষ্টি নাই, এবং বঙ্গের বাহিরে কোন নেতা বা সম্পাদক এই অবিচারে বঙ্গের প্রতি সামান্ত সহানুভূতিও দেখাইলেন না, বা বঙ্গের দাবীর অংশমাত্রেরও সমর্থন করিলেন না, তাহার কারণ কি এবং তাহ হইতে আমরা কি শিখিতে পারি, তাহ। পাঠকদিগকে চিস্ত করিয়া স্থির করিতে অনুরোধ করা আমাদের উদ্দেশু। বিষয়টি যে তুচ্ছ নহে, তাহার প্রমাণ, আমাদের উহা আলোচনা করিবার পর, মহাজন সভ, বেঙ্গল স্কাশন্তাল চেম্বার অব কমাস্, ব্রিটিশ ইণ্ডিয়ান সভা, বঙ্গের গর্বর্ণর ও এংলোইণ্ডিয়ান কাগজ ষ্টেট্স্ম্যান একটি অবিচার সম্বন্ধে আলোচনা ও মত প্রকাশ করিয়াছেন। কাহারও সহাহভূতি ও সমর্থন না পাইলেও বাঙালীকেই নিজেদের প্রতি অবিচারের প্রতিকারে সচেষ্ট ও দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হইতে হইবে। বাঙালী নেতাদের ও অন্ত সকল বাঙালীর বুঝা উচিত, যে, বাঙালীদের প্রতি এখন সব দিক্ দিয়া যে অবিচার হইতেছে, ভারতীয় ব্যবস্থাপক সভায় তাহাদিগকে যে অত্যস্ত কম প্রতিনিধি দেওয়া হইতেছে, এখন বাঙালীরা তাহার প্রতিবাদ ও প্রতিকার না করিলে, ভবিষ্যতে, স্বরাজ্যলাভের পরওঁ, বৰ্ত্তমান অবস্থার নজীরে অবিচার স্থায়ী হইবার সম্ভাবনা আছে । অতএৰ এখনই খুব উদ্যোগী হওয়া দরকার । বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের দ্বারা নির্বাচন বিশ্ববিদ্যালয়ের এমএ ও এম.এসসি পরীক্ষার অধ্যাপকদিগকে পোষ্ট-গ্রাজুয়েট শিক্ষক বলা হয়। সাহিত্য ইতিহালাদি বিভাগকে আর্টস বিভাগ এবং রসায়ন পদার্থবিদ্যা প্রভৃতি বিভাগকে বিজ্ঞান বিভাগ বলা হয়। পোষ্ট-গ্রাজুয়েট আর্টস্ শিক্ষা বিভাগের ও বিজ্ঞান শিক্ষা বিভাগের এক একটি কোন্সিল আছে। প্রতিবৎসর এই কৌন্সিল তাহার সভাপতি নিৰ্ব্বাচন করিয়া থাকেন । এবৎসর আটর্স কৌন্সিল অধ্যাপক রাধাকৃষ্ণনকে এবং বিজ্ঞান কেন্সিল ডাক্তার স্তার নীলরতন সরকারকে সভাপতি নিৰ্ব্বাচন করিয়াছেন। অধ্যাপক রাধাকৃষ্ণণ এবং স্যার নীলরতন সরকার যোগ্য ব্যক্তি। তাহাজের নির্বাচন সম্বন্ধে খবরের কাগজে কোন বাদামুবাদ হয় नाझे । অধ্যাপক রাধাকৃষ্ণন সৰ্ব্বসম্মতিক্রমে নিৰ্ব্বাচিত হওয়ায় তাহার বক্তৃতায় এইমত প্রকাশ করেন, যে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি নাই । তাহার নির্বাচনে দলাদলি হয় নাই, ইহা ঠিক্‌ কথা। কিন্তু যেদিন শিক্ষকরা র্তাহাকে নির্বাচন করেন, সেই দিনই তাহার, অধ্যাপক যদুনাথ সরকারের নাম চারিটি উচ্চতর বিদ্যামুণীগন বোর্ডের অন্ততম সভ্যরূপে প্রস্তাবিত হওয়ায়, একটিরও উপযুক্ত বলিয়া তাহাকে মনে করেন নাই । তিনি একটিতেও নিৰ্ব্বাচিত হন নাই, অন্য কেহ কেহ নিৰ্ব্বাচিত হইয়াছেন । তাহার মত পণ্ডিত লোক একটিতেও নিৰ্ব্বাচিত না হওয়ার কারণ দলাদলি বঙ্গিয়া আমাদের ধারণ । অতএব, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে দলাদলি নাই, অধ্যাপক রাধাকৃষ্ণনের এই উক্তি দ্রাস্ত মনে করি । বিশ্ববিদ্যালয়ের রেগুলেশুন্সের মধ্যে উচ্চতর বিদ্যাকুশীলন বোর্ডগুলির নিম্নলিখিত কৰ্ত্তব্য নির্দিষ্ট আছে – The Board of Higher Studies in each subject shall, for purposes of Post-graduate teaching and ಕ್ಲಿಣ್ಣರಣ examination, make proposald re༥༑༑༑༑ of study : (b) text-books or recommended books : (c) standards and conduot of examinations : (d) teaching requirements from year to year and ಇಳ್ದ of the time table: distribution of work among the members the staff in that department;