পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৭৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৬৬ প্রবাসী—ভাদ্র, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড নিরঙ্কুশ । আমাদের বিবেচনায় এরূপ ব্যবস্থা প্রকৃত বা ইংরেজদের মনঃকল্পিত রুশিয়ার পক্ষে স্ববিধাজনক হুইবে । আমাদের পক্ষেও মঙ্গলজনক এই হিসাবে হইবে, যে, আমাদিগকে চিরপরাধীন রাখিবার নিমিত্ত ইংরেজরা বত রকম বুদ্ধি আঁটিতে পারে, তাহা শীঘ্র শীঘ্র প্রকাশিত ও কার্ধ্যে পরিণত হওয়া মন্দ নয় । ষ্ট্যাটু্যটরী কমিশনটা শীঘ্ৰ নিযুক্ত হইয়। শীঘ্র তাহার সাক্ষ্যগ্ৰহণাদি অভিনর সমাপনানস্তর রিপোট প্রকাশ ও তদনুযায়ী বা তদ্বিরোধী কাজ শীঘ্র শীঘ্র হইয়া গেলে ভাল হয়। তখন হিন্দুমুসলমানের ঝগড়া গালাগালি দাঙ্গ, বানার্ড শ ও ক্যাথেরিন ময়ে প্রমুখ নিরপেক্ষ মন্তব্যদের দ্বারা ভারতবর্ষের মুখে মসীলেপন, এক সম্প্রদায়ের স্বারা অন্ত সম্প্রদায়ের নারীহরণ ও নারীধর্ষণ, ইত্যাদি শোচনীয় ব্যাপার ক্রমে ক্রমে কমিতে পারে । তাহার পূৰ্ব্বে কমিবে ত নাই, বাড়িয়াই চলিতেছে । ক্যাথেরিন মেয়োর “ভারত মাত।” ক্যাথেরিন মেয়ে নামক এক মার্কিন স্ত্রীলোক ফিলিপাইন দ্বীপপুঞ্জ সম্বন্ধে “ভীতিজনক দ্বীপপুঞ্জ” (“The Isles of Fear’) নাম দিয়া একখানা, বহি লিখিয়াছিল । তাহাতে ফিলিপিনোদের সম্বন্ধে এরূপ সব কখ। লেখা আছে, যাহাতে মনে হইতে পারে, যে, তাহারা, এখন কেন, কোন কালেই জাতীয় আত্মকর্তৃত্ব বা স্বাধীনতা-লাভের উপযুক্ত হইবে না। এখন আবার ঐ লেখিক৷ “ভারতTS“ (“Mother India") AfN fä tz gosta বহি লিখিয়াছে। তাহাতেও ভারতীয়দের—বিশেষভঃ হিলুদের—যে চিত্র আঁকা হইয়াছে, তাহা হইতে পাঠকদের এই ধারণ জন্মিবে, যে, তাহারা আত্মশাসন ও আত্মরক্ষার সম্পূর্ণ অযোগ্য, অতিশয় নোংরা, ও অসভ্য লোকদের চেয়েও অধম মাহুষ। স্বাধীনতাপ্রয়াসী জাতিদের কুৎসা করা লেখিকার পেশা মনে হইতেছে, যদিও তাহার আত্মপরিচয় এই, যে, তাহার আর্থিক অষস্থ স্বাধীন ও সচ্ছল। এই আত্মপরিচয়টাই সন্দেহজনক। আমরা এই বহি দেখি নাই । বে যে দেশী কাগজে ইহার উল্লেখ দেখিলাম, তাহার সম্পাদকের। ইহ। সমালোচনার জন্ত পান নাই। অথচ ইহার সমালোচন} ও খুব প্রশংসা বিলাতের ও ভারতের ইংরেজদের কোন কোন কাগজে দেখিলাম। লেখিকা ও তাহার প্রকাশক ধূৰ্ত্ত লোক। যাহারা বহিখানার ভ্রম দেখাইয়া দিতে পারেন, তাহাদের কাছে ইহা প্রেরিত হর নাই। কিন্তু যাহাদের মধ্যে ইহার প্রচার দ্বারা ভারতবর্ষের সম্বন্ধে মন্দ ধারণ জন্মান দরকার, তাহদের মধ্যে প্রচারের স্ববন্দোবস্ত হইয়াছে। ইহার সমালোচনা হইতে যাহা বুঝিলাম, তাহাতে এধারণ হয় না, যে, ইহার সব কথাই মিথ্যা । সত্য কথা আছে । কিন্তু ধাহী কথন কখন ঘটে, কোথাও কোথাও ঘটে, তাহাকেই ভারতবর্ষের সব জায়গার নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার বলিয়। বুঝাইবার চেষ্টা করা হইয়াছে। দৃষ্টান্ত স্বরূপ, বাল্যবিবাহের কুফলস্বরূপ বালিকাদের উপর অত্যাচারের ভীষণ ফোটোগ্রাফবং বর্ণন। দেওয়া হইয়াছে। বাল্যবিবাহের সব কুফল আমরা অবগত আছি, তাহার বিরুদ্ধে বহু বহু সংস্কারক লিখিয়াছেন, বলিয়াছেন, আইন কল্লাহবার চেষ্টা করিয়াছেন ও করিতেছেন। কিন্তু ইংরেজ গষন্মেণ্ট এইরূপ চেষ্টার সহায় ন হইয়া বিরুদ্ধাচরণ করিয়াছেন, হরবিলাস সর্দার বাল্যবিবাহ-নিষেধক আইনের প্রতিকুলাচরণ করিবেন বলিয়। ভারত গবন্মেন্টের স্বরাষ্ট্রপচিব শাসাইয়। রাখিয়াছেন, সম্মতি আইনে মেয়েদের বয়স বাড়াইবার চেষ্টায় গবন্মেণ্টঃ বাধা দিয়াছেন, এ সব কথা ত ক্যাথেরিন মেয়োর বহিতে নাই । তাহাতে আছে, ইংরেজ-শাসনের স্তুতি ও খোসামোদ এবং ভারতীয়দের কুৎস। বাল্যবিবাহের ভীবণতম, সৰ্ব্বাপেক্ষ লজ্জাকর ও শোচনীয় কুফস কথন কখন ফলিয়াছে, ইহা স্বীকার করিলেও, সৰ্ব্বঞ্জ বা অধিকাংশস্থলে ঐন্ধপ কুফল ফলিয়াছে, ইহা সত্য নহে। শিক্ষিত ধাত্রীর অভাবে প্রস্থতির অশিক্ষিভ} ধাত্রীদের হাতে কিরূপ নরকযন্ত্রণ। ভোগ করে, তাহার ফোটোগ্রাফিক বর্ণনা "ভারতমাতা” বহিতে আছে, উহার সমালোচনায় দেখিলাম। কিন্তু, কারণে অকারণে ইংরেজগবন্মের্ণ যুদ্ধে কোটি-কোটি টাকা ঢালে, শ্বে ভ সামরিক