পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮১৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৭৮২ ASA SSASAS SSAS SSAS SSAS A SAS SSAS শব্দ-ভাযায় কি ইহার তুল্য আর একটি কথা আছে ? এমন নরাধম কে আছে ম৷ বলিতে যাহার কণ্ঠ অন্তর্বাষ্পজড়িত না হয় ? যেমন মুকুরে প্রতিবিম্ব পড়ে তেমনি এই একটি কথায়, এই মা নামে মানুষের ইহজীবনের লীলা প্রতিবিম্বিত হয়। যে অতীতের স্মৃতি মনের মধ্যে সৰ্ব্বদা ছায়ার মত ঘুরিয়া বেড়ায় তাহাকে জিজ্ঞাসা কর কাহার মুখখানি প্রথমে মনে পড়ে, কাহার কণ্ঠস্বর স্মৃতির বীণাতন্ত্রীতে প্রথম শোনা যায় ? জীবন-প্রভাতের প্রথম আলোকে মায়ের করুণাময়ী মূৰ্ত্তি, বাল্যকালের সকল অবস্থায় মা, সংসারের প্রবেশ-স্বারে সেই মমতাময়ী মা পথ দেখাইয়া দেন। রোগের যন্ত্রণার সময় শুষ্ক, তপ্ত, ক্লিষ্ট কণ্ঠে কাহার নাম মুথে আসে ? প্রভাতকালে গাছের ডাল নাড় দিলে যেমন শিশির-বিন্দু পড়ে মনের মধ্যে মায়ের স্মৃতি আন্দোলিত হইলে সেইরূপ চক্ষে অশ্রু ঝরে । যিনি জননীর জননী, আদি জননী সেই বিশ্বজননীকে মাতৃভক্তি, মাতৃপূজা অৰ্পণ করিলে কিরূপ আনন্দ হয়! ইংরেজী ভাষার একটি বিশেষ প্রসাদগুণ এই যে, ঈশ্বরকে “তুই” বলিয়া সম্বোধন করিলে কোন দোষ হয় ন। তাহাকে এইরূপ সম্বোধন করাই প্রথা। যীশু 7:33 (25fPRE 2ffffff; NITE,—Hallowed be thy বাংলায় যদি ইহার অনুবাদ করা যায়—তোর নাম পূত হউক, তোর রাজ্য স্থাপিত হউক, তাহা হইলে শুনিতে কেমন অসঙ্গত হয়। ইংরেজিতে তুই শব্দ ঈশ্বর সম্বন্ধে প্রযুক্ত হইলে উহার কেমন একটি স্বাতন্ত্র গাম্ভীৰ্য্য লক্ষিত হয়। ইংরেজিতে ঈশ্বরকে you তুমি ) বলিলেই শুনিতে অসঙ্গত হয়। অপর পক্ষে বাংলায় ব্রহ্মকে তুই বলিলে অসম্মানসূচক হয়। তুই শব্দের তাচ্ছিল্য বা কটুতা বাদ দিলে ঐ শব্দ স্নেহব্যঞ্জক, বড় ছোটকে তুই বলিয়া সম্ভাষণ করে। ছোট বড়কে তুই বলিতে পারে না। জীব কোন সাহসে ব্রহ্মকে তুষ্ট বলিবে ? যতক্ষণ ব্রহ্মকে পুরুষ অথবা পিতৃভাষে অনুধ্যান করা যায় ততক্ষণ ভাষার সংযম লঙ্ঘন করা যায় না । কিন্তু একবার মাতৃভাবে তাহার ধারণা করিতে পারিলেই সব বাধন ভাঙ্গিয়া ভাসিয়া যায়। মাতৃবক্ষে সন্তান বাপাইয়৷ name. Thy kingdom come ! প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ SS SSAAAASA SSASAS SJJMA SAAMMAJAMAJJJAAA SAAAAA AAAASJJJJJAAASAASAASAASAAASJJJSJAMSASAASAAAS [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড পড়ে, দূর হইতে র্তাহাকে প্রণাম করিয়া ক্ষান্ত হয় না। যাহার উপর আষ দারের সীমা নাই তাহাকে কতক্ষণ সমিত৷ করিবে ? প্রাণের সমস্ত আকুলতা-ব্যাকুলত, হৃদয়-ভর অভিমান তাহার চরণপ্রান্তে আছাড়িয় পড়ে। শোকতাপ পাপের ভরা ভারি হইলে তাহার পাদপদ্মে নামাইয়া ভার মুক্ত হই। রামপ্রসাদ যখন গাহিয়া উঠিলেন, ম। আমার ঘুরাবি কঙ কলুর চোকঢাকা বলদের মত ? তখন কানে প্রাণে বড় মধুর লাগিল। ভক্ত জগন্মাতাকে তুই বলিয়াসম্বোধন করিতেছেন ইহাতে অসমঞ্জস কিছুই ঠেকে না। এই যে কাতর প্রাণের অনুযোগ, নিয়ত নিরবচ্ছিন্ন ঘুর্ণ্যমান কৰ্ম্মচক্র হইতে নিস্কৃতির প্রার্থনা, সংশয় হইতে বিশ্বাসে নীয়মান হইবার আবেদন, ইহাও সেই বহুযুগবাহিনী উপনিষদের প্রার্থনার প্রতিধ্বনি। ঘুরিয়া ফিরিয়া, রুদ্রের পরিবর্তে রুদ্রাণীকে লক্ষ্য করিয়া, মৈত্রেয়ীর সেই চিরন্তনী বাণী, রুদ্রাণি, যত্তে দক্ষিণং মুখং তেন মাং পাহি নিত্যম্। ব্ৰহ্মবাদিনীর যে-কথা কালিভক্তেরও সেই কথা। আবৃতচক্ষু বলদের মত অন্ধকারে ঘুরিতেছি, তমসে মা জ্যোতির্গময় ! যাহাকে এই নিবেদন তিনি ভীমা ভয়ঙ্করী নন, তিনি প্রসন্নময়ী, মঙ্গলময়ী। আগম নিগম ধেয়াওত নহি পাওয়ত মহিম-সমূহ–আগম নিগম তাহার ধ্যান করে, কিন্তু তাহার সম্পূর্ণ মহিমা পায় না। দেবতাকে মাতৃজ্ঞানে ভক্তি করা সাম্প্রদায়িকতা নয়। ব্ৰহ্মবাদী ব্ৰহ্মানন্দ কেশবচন্দ্র সেন রোগের শেষ অবস্থায়, মৃত্যুর কিছু পূৰ্ব্বে যন্ত্রণায় ক্ষীণ কণ্ঠে বলিয়াছিলেন, “ম, কোথায় তুমি ?” জননী পাশে বসিয়াছিলেন, গায় হাত বুলাইয় কহিলেন, “এই যে, বাব, আমি তোমার পাশে বসে আছি।” কেশবচন্দ্র মায়ের পায়ের ধুলি লইয়া মাথায় দিলেন, তাহার পর কহিলেন, “এ মা নয়!” অতঃপর মৌনাবলম্বন করিলেন। তখন মায়ার সকল বন্ধন শিথিল হইয়া আসিতেছে, অন্তরাত্মা জীর্ণ, ক্লিষ্ট দেহ হইতে মুক্ত হইবার উদ্যোগ করিতেছে। মহাপ্রাণ মহাপুরুষ ইহলোক হইতে চিত্তকে আকর্ষণ করিয়া লোকান্তরে অপর্ণ করিতেছেন। ইহসংসারে যাহারা আপনার বলিবার ছিল তাহারা ইহসংসারে রহিল। মহাপ্রস্থানের সময় কে কার