পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৮১২ প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড ব্রাহ্মধৰ্ম্ম কি প্রকার শিক্ষা হইতেছে তাহা আমি কিছুই তোমাকে সকল প্রকার বিপদ ੋਣ নিয়ত করিয়া শুনি নাই । তোমার পাথেয় ব্যয়ের আদেশ এই পত্র মধ্যে পাঠাইতেছি গ্রহণ করিবে এবং তোমার শারীরিক কুশল সম্বাদ লিপিয়৷ আমাকে সন্তোষ রাখিবে । মঙ্গলদাতা তোমার হৃদয়ে শান্তি ও আনন্দ প্রেরণ করিতে থাকুন। শ্ৰীদেবেন্দ্রনাথ শৰ্ম্মণঃ హిజాబ్గా যবদ্বীপে ভারতীয় উপনিবেশ শ্ৰী বিজ্ঞনরাজ চট্টোপাধ্যায়, পি, এইচ-ডি ( লণ্ডন ) ও শ্রী নীহাররঞ্জন রায়, এম-এ ভারতবর্ষের ইতিহাস ধীরে ধীরে তাহার অখ্যাত অধ্যায়ের অবগুণ্ঠন উন্মোচন করিতেছে । সুদীর্ঘ কৃষ্ণাবরণ টানিয়া যে আপনাকে সকলের দৃষ্টির অন্তরালে ঢাকিয়। রাখিয়ছিল, সেই বহুদিন-বিস্মৃত রাজলক্ষ্মী আজ তাঙ্গর গোপন-রহস্তের মধ্যে ধীরে ধীরে সকলকে আমন্ত্রণ জানাইতেছে। ভারতবর্ষের ইতিহাস লেখকেরা প্রথম হইতে এই কথাটাই প্রচার করিয়া আসিতেছেন, যে, ঐতিহাসিক যুগের প্রথম হইতেই ভারতবর্ষ অপূৰ্ব্ব অদ্ভুত কুৰ্ম্মবৃত্তি অবলম্বন করিয়া যুগের পর যুগ অতিক্রম করিয়া আসিয়াছে ; বহির্জগতের সঙ্গে ভারতের ধৰ্ম্ম, সমাজ, এক অজ্ঞাত রাষ্ট্র ও জ্ঞান-বিজ্ঞানের কোনো সম্বন্ধই ছিল না, নিজের . মধ্যে নিজেকে গুটাইয়া লইয়া, সকল ছোয়া বঁাচাইয়। ভারতবর্ষ জীবনের সকল ক্ষেত্রে তাহার পবিত্রত রক্ষা করিয়া চলিয়াছে। কিন্তু ভারত-ইতিহাসের এই সৰ্ব্বাপেক্ষ বড় মিথ্যা ও দুরপনেয় কলঙ্ক আজ ইতিহাসের সত্য দৃষ্টির সম্মুখে লজ্জায় মাথ। হেঁট করিয়াছে। ইতিহাস এ কথা প্রমাণ করিয়াছে, ইতিহাসের প্রথম প্রভাত হইতেই ভারতবর্ষ দিকে দিকে তাহার সাধন ও সভ্যতার বাণী প্রেরণ করিয়া তাহার ঐশ্বৰ্য্য ও সম্পদের বিস্তীর্ণ লীলাক্ষেত্রে সকলকে আহবান করিয়াছে ; তাহার শিল্পী ও ধৰ্ম্মপ্রচারককে পাঠাইয়াছে উত্তর এশিয়ার মরভূমিতে, প্রাচীন সভ্যতার লীলাভূমি চীনে জাপানে, প্রশান্ত মহাসমুদ্রের দ্বীপপুঞ্জে, আর চিররহস্তাবৃত চম্প কম্বোজ খাম ব্রহ্মে। শুধু কি সে তাহার শিল্পী ও পণ্ডিত, প্রচারক ও পুরোহিতকে পাঠাইয়াই ক্ষান্ত ছিল, নিজের অতি প্রিয় সস্তান কত রাজরাজেশ্বরকেও রাজবংশের সমস্ত স্নেহবন্ধন ছিন্ন করিয়৷ পাঠাইয়া দিয়াছে দেশে বিদেশে প্রতিদিন ভারতের নব নব উপনিবেশ স্থাপনায়। ভারত-ইতিহাসের এ তথা এক অপূৰ্ব্ব বিস্তৃত অধ্যায় । সে অতীত ইতিহাসের যতই অনুশীলন হইতেছে ততই নব নব তথ্য উদঘাটিত হইতেছে এবং সকলকে বিস্ময়ে পুকে স্তব্ধ করিয়া দিতেছে। এই বৃহত্তর ভারতের অপূৰ্ব্ব আভাস আমরা ক্রমে ক্রমে জানিতে পারিতেছি । ভারতমহাসাগরের দক্ষিণ-পূৰ্ব্বকোণে ঘবদ্বীপের ইতিহাস এই বৃহত্তর ভারতের স্বমহান ইতিহাসেরই এক অধ্যায়। প্রাচীন কাল হইতেই যবদ্বীপে ভারতবর্ষের এক উপনিবেশ স্থাপিত হইয়াছিল এবং খৃষ্টীয় ষোড়শ শতাব্দী পর্য্যস্ত ভারতের ধৰ্ম্ম ও আচার-ব্যবহার, শিল্প ও সাহিত্য, রাষ্ট্রনীতি ও রাজবংশ আপনার অপ্রতিতত প্রভাব বিস্তার করিয়৷ এই ক্ষুদ্র দ্বীপটিতে যেন একটি ক্ষুদ্র ভারতবর্ষ রচনা করিয়াছিল। কত শতাব্দী পরে দেখি আজও সৰ্ব্বত্র তাহার নিদর্শন ছড়াইয়া পড়িয়া আছে। বহির্ভারতে ভারতীয় সভ্যতার এই অপূৰ্ব্ব নিদর্শনের প্রতি আমাদের দেশের বিবুধজনের সম্প্রতি দৃষ্টি পড়িয়াছে। কয়েক বৎসর যাবৎ বাঙালী অমুসন্ধিৎসু পণ্ডিতরা জাভায় বালীতে চম্পায় কম্বোজে গিয়া ফরাসী ও ডচ পণ্ডিতদের সহযোগে এই বিষয়ে গবেষণা আরম্ভ করিয়াছেন এবং আমাদের দেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করিতে চেষ্টা করিতেছেন। সম্প্রতি রবীন্দ্রনাথও এই