পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ছিল না । হস্তাঙ্কিত চিত্রের সস্ত অনুকরণ-স্বরূপ এগুলি বাজারে প্রচলিত ছিল । যাহার অর্থাভাবে দামী ছবি কিনিতে অক্ষম ছিল অথচ কুমারী মেরী প্রভৃতির ছবি ঘরে রাগিতে যাহাঁদের সখ হইত তাহারাই তখন এইসকল কাঠখোদাই-শিল্পীর (জাৰ্ম্মানীর ) পৃষ্ঠপোষক ছিল। তাহদের সকল কাজই সাদা জমির উপর কালে রেখার সমাবেশে প্রস্তুত ; ইহাতে বুঝা যায় যে, পেন্সিল ড্রইংয়ের অমুকরণে এগুলি খোদিত হইত। যোড়শ শতাব্দীতে সৰ্ব্বপ্রথম ভূর্যের ও হোলবাইন এই দুই জন প্রথম শ্রেণীর শিল্পী কাঠখোদাই করিতে আরম্ভ করেন। তবে ইহার স্বহস্তে পোদাই করিতেন, কিম্বা অাদর্শ চিত্র আঁকিয়া দিয়া অন্তের দ্বারা খোদাই করিয়া লইতেন তাহা এখনও সঠিক জানা যায় নাই। র্তাহাদের ছাপের আঙ্গিক বা টেকনিক লক্ষ্য করিলে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, সেগুলি হুবহু রেখা-খোদাই ছাপের অনুরূপ। তবে ইহার উভয়েই যে, তাহদের নামে প্রচলিত কাঠখোদাই ছাপগুলিতে শিল্পশ্বষ্টির স্বাতন্ত্র্য স্বজায় রাথিয়াছিলেন তাহাতে সন্দেহ নাই। ইহাদের পর ইম্প্রেশনিষ্ট দলের কয়েকজন শিল্পী উনবিংশ শতাব্দীর পিরিবালার জীবন-পঞ্জী ৮২৯ JSM MSMJSJASAeJJJ AAAA AAAASAAASSS S SLS لاوہ مہ بہ.م. ہمہ یہ ,... یہ ہی۔s.م"* শেষভাগে কাঠখোদাই-শিল্পের পুনরুদ্ধার করেন। জাৰ্ম্মানীতে মুম্বক্ ও ফ্রান্সে গোগ্য প্রথমে এই শিল্পের যথার্থ মূল্য বুঝিতে পারেন ইহা যে উচ্চশ্রেণীর স্বক্ষশিল্প-পর্য্যায়ের অন্তভুক্ত ইহারা তাহাই প্রচার করিতে থাকেন। একখণ্ড কাঠফলকের উপর আপন সুবিধা ও কল্পনা অনুযায়ী কোনে স্বক্ষভাব ফুটাইয়া তুলিবার অধিকার ষে শিল্পীর আছে তাহার। তাহ প্রমাণ করিয়াছেন ৷ ” সেইদিন হইতে কাঠণেদাই-শিল্প যে যন্ত্রশিল্প বা অন্য ধরণের চিত্রের হীন অমুকরণ নহে তাহ স্থির হইয়। গিয়াছে। যথার্থ শিল্পীর ও সাধকের হাতে এই কাঠখোদাই-শিল্প কি চমৎকার হইয়া উঠিতে পারে তাহা র্তাহীদের হাতের কাজ দেখিলেই উপলব্ধি হইবে । এখানে আমরা কয়েকটিমাত্র নমুনার প্রতিকৃতি দিলাম। এই নুতন শিল্পের আসন ইয়োরোপে সুপ্রতিষ্ঠিত হইয়াছে। এই ক্ষুদ্র প্রবন্ধ পাঠে বাঙালী শিল্পীর দৃষ্টি যদি এই দিকে আকর্ষিত হয় তাহ হইলে লেখকের উদ্দেশু সিদ্ধ হইবে। বাঙালী শিল্পীরা এই শিল্পকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা করিয়াছেন, একথা অবশ্য আজকাল বল চলে ল । গিরিবালার জীবন-পঞ্জী ঐ রবীন্দ্রনাথ মৈত্র

গিরিবালাকে জানিতাম। গ্রামের নদীটির বাকের মুখে বেত-ঝোপের ছায়ার অন্ধকার আশ্রয় করিয়৷ ছুটির সময় যখন সন্ধ্যাকালে বোয়াল মাছের সন্ধানে ছিপ ফেলিয়া বদিতাম তখন সে স্বাটে প্রদীপ ভাসাইতে আসিত । একধানি গোল মুখটকল নাক, তাহাতে একটি ছোট নোলক— নিতাই জেলের আট বছরের মেয়ের নাম গিরিবাল ; প্রতি সন্ধ্যায় সে নদীর শ্রোতে ভাগ্যের প্রদীপ ভাসাইয়া মাটির ছোট কলসীতে জল ভরিয়, মুম্বশ্বরে বলে মাতা স্বরধনী' b&r=y গাহিতে গাহিতে ঘরে ফিরিয়া যায় ;—গিরিবালার বাল্য জীবনের এই বৈচিত্র্যবিহীন ইতিহাসটুকুই আমার জানা ছিল । ইহার পর যাহা শুনিয়াছি তাহাই লিখিতেছি। দশ বৎসর যখন বয়স তখন গিরিবালার বিবাহ হইল এবং সেই বৎসরেই পিতা নিতাই ও স্বামী সদানন্দ পল্পায় মাছ ধরিতে গিয়া আর ফিরিল না। মায়ের সঙ্গে গিরিবালাও কঁাদিল । তাহার পর নিতাই মাঝির জাল শুকাইবার চালাখানিতে টেকি পাতিয়া মাতা ও পুত্রী পাড়ার লোকের ধাম ভানিতে আরম্ভ করিয়া দিল ।