পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৬৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] হেসে স্বাগত করে ফরাসীতে বললে—“নমস্কার, আপনারা তে তিনজন এই দুই ক্যাবিনে থাকবেন ? আমি হচ্ছি আপনাদের ক্যাবিনের চাকর আর গানসামা। যখনি কিছু দরকার হবে ক্যাবিন ঘরের কোণের বিজুলীর ঘন্টার বোতাম টিপ বেন, আওয়াজ পেলেই আমি হাজির হবে।” আমি বললুম, “বেশ, বেশ ; তোমার নাম কি ? আর তোমার বাড়ীই বা কোথায়?” তার বাড়ীর খোজ বোধ হয় ইতিপূৰ্ব্বে কেউ নেয়নি ; সে এই জিজ্ঞাসাতে তার প্রতি দরদের আভাস পেয়ে বেশ খুশিষ্ট হ’ল। বললে, তার নাম ( Marcel ) মাসেল, বাড়ী মাদাগাস্কারে। আলাদীনের প্রদীপ ঘষ লোই দৈত্যভূত্যের আবির্ভাব হ’ত অন্যথা নয় ; আমাদের মাসেলেরও সেই অবস্থা ; ঘণ্টা টিপে না ডাক্‌লে সে আসে না, এবং সময়ে সময়ে সে না এসে অন্য কেউ আসে। কিন্তু তা ব’লে কাজ আটকায় না। attīstīH RHUFI NE ci slave of the bell ( qŝia দাসটি, কবি বলছেন “ঘণ্টাকর্ণ”—যে ঘণ্টাকে আকর্ণ করে ) ক বার দর্শন দিয়েছেন সেটি একটি দাস নয়, দাদী। প্রথম দিলেই মাসেলকে স্মরণ ক’রে ঘণ্টার বোতাম টেপ গেল—তার পরেই ক্যাবিনের দরজায় টোকামার শব্দ শুনলাম। (Entrey) “আঁত্রে” অর্থাৎ “ভিতরে এসো” বলতেই বাইরে দাড়িয়ে ঘরের ভিতরে একেবারে আমাদের একটি আহলাদী পুতুলের মুখ দুকূল। মুখখানির সঙ্গে আল্লার্দী পুতুলের মুখের যে অবিকল নিকটতম সাদৃশ্ব আছে সেট ধরে ফেলেছিল সুরেনবাবুর মতন সুপটু পটুয়ার রসজ্ঞ চোখ। একটি ক্রৌঢ় খুব মোটাসোটা ঠান্দিদিগোছ চেহারার স্ত্রীলোক, সাদা পোষাক পর, চোখে উজ্জল স্নেহমাথা দৃষ্টি, মুখখানা ভালমানীতে ভরা, ফরাসীতে জিজ্ঞাসা ক’লে আমাদের কি চাই—আর নিজের পরিচয় দিলে যে, সে জাহাজের বী, ডাকৃলে পর মাসেল অন্য কাজে থাকূলে সেই আসবে, তার নাম (Louise) লুইজ। এই বীটি একটি খাটি ফরাসী মানুষ—পারিসে এর জাতের সঙ্গে পরিচয় ইয়েছিল,—পরের বাছাকে আরতি করবার জন্তেই যেন تہ ...- یہ ہے ۔--

  • গত সংখ্যার প্রবাসীন্তে বীপর পাৰ প্ৰবন্ধে এই ছবিটি वभयप्य इी* इएक्काइ ॥

যবদ্বীপের পথে bパ)む AAMSMS এদের স্বষ্টি। আমাদের পারিসের বাড়ীর কত্ৰীটি চেহারায় ভাবেভঙ্গীতে বোধ হয় এরই বোন ছিল—সে আমাদের কী যত্নই না করত। এখানে জাহাজে অবগু তার যত্ন-আকৃতি করার সুযোগ নেই, কিন্তু একে দেখলে বোধ হয় যে, এ ছোট ছোট নাতিপুতিদের আদর-দিয়ে তাদের মাথা-বিগৃড়েদেওয়া একটি আসল দিদিম । ইনি আবার হালফ্যাশানে ইউরোপীয় মেয়েদের মতন করে চুল ছেঁটেছেন, তাতে মুথখান এর কৌতুকময় হাসির সঙ্গে মিলে অদ্ভুত দেখায়। বডড মোট ব'লে যখন হাসে তখন গুরখা বা চীনের মুখের মত চোখ দুটির জায়গায় খালি ফুটি সরল রেখা মাত্র দেখা যায়। জাহাজে প্রথম শ্রেণীর দু-তিনটি ছোট ছোট ছেলে যাচ্ছে। লুইজকে দেখি বেশীরভাগ সময় তাদের নিয়েই ব্যস্ত –তাদের খাওয়ানোর ভার এর উপর। যখন দেখা যায় দুরন্ত ছেলেদের তাদের মায়েদের কাছ থেকে হাত ধ’রে এ পরমস্নেহের সঙ্গে থাওয়ার ঘরে নিয়ে যাচ্ছে, তখন লুইজ যে একজন পয়লা নম্বরের দিদিমা সে-বিষয়ে সনেহে থাকে না । কবিকে দেখে এর ভারি ভক্তি হ’য়েছে—বলে,“কি চমৎকার চেহারা, ঠিক যেন হিব্রু ঋষি মুদা। কি মহদ্ভাবব্যঞ্জক কপাল, চোখ, মুখ !” আহলাদীর সঙ্গে দিনে ৪/৫ বার ক'রে দেখা হয়। প্রখম দেখা হ’লেই একগাল হেসে (bon jour monsieur) “† 3, Nfis” q#Ti cvi আছেই। জবাবে আমিও বলি, “ব ঝুর, লুইজ”—তার পর চোখাচোখি হ’লেই ঘাড় নেড়ে হাস আছে। জাহাজের অন্য খানসামারা সকলেই কবির একটুখানি কাজ ক’তে পেলে যেন কৃতাৰ্থ হয় ব’লে মনে হয়। সবাই যে তার ভক্ত পাঠক তা নয়, তবে কবিকে দেখেই এদের মনে যে একটু বিশেষ শ্রদ্ধা হয়েছে তা নিশ্চয়। কবির খাস খিদমতগারটিকে দেখেছি, ঘণ্টা টিপতেই সিড়ি বেয়ে হাপাতে স্থাপাতে দৌড়ে এসেছে। এই খিদমৎগারটির সঙ্গে আমি দু’দও আলাপ করে নিয়েছিলুম। এটি বেশ লম্বা চওড়া সুগ্ৰী যুবক একটি ; কবির ঘরের কাজের জন্তে বিশেষভাবে নিয়োজিত এই কথা বললে, আর জিজ্ঞাস ক’লে যে কবি জার্মান জানেন কি না ; ফরাসী তিনি কইতে পারেন না সেটা শুনেছিল। ফরাসী ছাড়া জার্মান ভাষা এ নিজে য’লতে পারে, ব’ার দুই একথা