পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ঠার শ্রদ্ধা নিবেদন করে যান—সেট ভারী সুন্দর লাগে। বাঙালী ভদ্রগৃহস্থঘরের গিরীর মত স্নেহময় প্রশান্ত দৃষ্টি ব’লে সুরেন-বাবু এর নামকরণ করেছেন "বেনে-বউ"। রাত্রে }ওয়া-দাওয়ার পরে দেখছি, ডেকের উপর এক কক্ক শধ্বনি গ্রামোফোলে যত সব মার্কিন (Jazz) জাৰ্য ঠাটের দিকট গান আর উৎকট বাদ্য একটা শব্দের তাণ্ডব সৃষ্টি করে–যেন নোতুন খোয়-বিছানো মেরামত বড়ে রাস্তার উপর দিয়ে রোলার ইঞ্জিন তার সব রকম আৰ্ত্তনাদ নিয়ে চতে আরম্ভ ক’লে, আর আমাদের প্রথম শ্রেণীর চার পাঁচটি বিবাহিত, কুমারী আর অবীর প্রৌঢ়া, তরুণী আর অজ্ঞেয়-বয়স্ক, পীল, তম্বঙ্গী আর স্থলোদ্বমধ্য-ক্ষীণ নিম্নাঙ্গী ততগুলি অতি সাধারণ ফরাসীর মত মোট-সোটা থপথপে unromantic শ্রীহঁiদ-বিহীন পুরুধের সঙ্গে (এদের কারকারু বত্ৰিশ পাটী দাতের মধ্যে যোলো পাটই সোনা পিালে,---কবি বলছেন, বহুমুল্য এদের হাসি, সোনার তাসি কি না )ি ধপধপ করে যত আজকালকার ইতর ভাবদ।iঠক মার্কিন নাচ নাচতে সুরু করে—তখন দেখি, এই দম্প ঠী তাতে যোগ দেয় না। এই রকম আর একটি দম্পতী আছে, স্বামী ইন্দোচীনের একটি বড়ে সেনানী হ’বেন, জবরদস্ত গোপওয়াল ভারিক্কে চেহারা, ধেন নেপোলিয়নের পিপ্যাত অশ্বারোহী দল (Chasseurs) শাস্তর-দলের একজন স ওয়ার--স্ত্রীট একটী ক্ষীণাঙ্গী মধ্যবয়সের মহিল, এরাও একটু আলগোছা থাকেন। এই দম্পতীর একটি ভারী সুন্দর শ্রীমান ছেলে আছে, তার সঙ্গে ভাব ক'রেছি—তার নাম (Louis) লুই, বয়স নবছর, অ্যাদে শীন-এ ছেলেবেলায় কবে ছিল মনে নেই—খালি ফরাসী দেশের ইতিহাস আর ফরাসীদেশের ভূগোল পড়েছে—তার একটা দাদামশায় আছে, তার মায়ের বাপ, তিনি একে বড় ভালে বাসেন-- এতদিন ধরে জাহাজে ক’রে জলে জলে আসছে কিন্তু তবুও তার খারাপ লাগে না, কারণ এই বেশ আর তার দুটি ছোটাে ছোটাে বন্ধু জুটেছে তাদের সঙ্গে সারাদিন যখন ইচ্ছে খেলতে পারে—এইসব খবর তার কাছ থেকে সংগ্রহ করেছি ; আর ছেলের সঙ্গে ভাবের ফলে তার বাপের সঙ্গেও আলাপ হয়েছে। বাপট বললেন—“বেশ, vous etes deja des camarades–f TCHI CƠM CHRg হয়ে পড়েছে।” ঘবদ্বীপের পথে b^Jసి এই থেকে সকালে এর সঙ্গে দেখ হ'লে পরস্পর অভিবাদন করি, আর কবির সালে যাবার সময়ে এর বিরাট সোলার টোপ বা টোপর—সেটকে টুপী বললে তাতে ক্ষুদ্রত আরোপ করে তার অপমান করা হয়—সেটকে ডান হাতে তুলে কবিকে অভিবাদন ক’রে যান। শাড়ীওয়াল মহিলাটার স্বামী একদিন আমার সঙ্গে আলাপ করলেন—ইনি জানতে চাইলেন কবির পৈতৃক বাসভূমি কোথায়—আর তার মাতৃভাষা কি। যখন শুনগেন যে, কলিকাতায় এর বাড়ী তখন বললেন যে, তাহ’লে তো ইনি “ব্যাগালি” অর্থাৎ বাঙালী। আমি বল্লুম, “আপনি ফরাসী, কিন্তু ভারতবর্ষে যে বাঙালী আর অন্ত অন্ত ভাষা-ভাষী বিভিন্ন জাতীয় লোক আছে এপবর আপনি রাখেন তাহলে দেখছি।” ইনি উত্তরে বল্‌গেন—“আমি পণ্ডিচেরীতে কিছুকাল ছিলুম (এর স্ত্রীর শাড়ী-প্রতির কারণ এতক্ষণে বুঝতে পারা গেল)—সেখানে go foirs affeià political refugee ( বাঙলায় কি বয়বে—“রাজনৈতিক কাশীবাসী” ! গশ (অর্থাৎ প্রী অরবিন্দ ঘোষ ) আছেন। শহরটা অতি বাজেএকটুও (vie intellectuelle) f;fsă iși °iisii যায় এমন জীবন নেই—একজন ইংরেজ বলেছে যে, এই শহর হচ্ছে (a city of ghosts) প্রেতাত্মার পুরী সেটা ঠিক কথা—দেখতুম যে অরবিনের দলটিতেই কিছু সচ্চিস্তা আছে ।" শ্ৰী অরবিন্দের সঙ্গে (Paul Richard) পোল রিশা বলে একজন ফরাসী আর তার স্ত্রী থাকতেন, এর তিনজনে মিলে (Arya) “আৰ্য্য” বলে একখানি দার্শনিক মাসিকপত্র ইংরেজীতে বা’র করতেন—এদের নাম শুনেছেন, তবে আলাপ হয়নি এদের সঙ্গে। প্রথম শ্রেণীর অন্য যাত্রীদের মধ্যে পুরুষদের দুই একজনের সঙ্গে স্কচিৎ কখনও একট-আধটা বাক্যালাপ হয়েছে মীর-“বঝর” বা পরস্পরের জন্ত শুভদিন কামনা-ব কপালে হাত ঠেকিয়ে আধা-ফৌজী কায়দায় নমস্কার কর – এইটুকু যা। দ্বিতীয় শ্রেণীর লোকের এদিকে আসে না,— তাদের জন্য জাহাজের পিছন দিককার খোলা ডেকটার ব্যবস্থা, যেখানে জাহাজের মুকানী বা হাল-ঘর চাকা ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে সামনের কম্পাসের নির্দিষ্ট দিশ দেখে জাহাজকে