পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b-8 o তার গন্তব্যের অভিমুখী ক’রে রাখছে । তৃতীয় শ্রেণীও একেবারে আলাদা, এদের জন্ত বিশেষ কোনও খোলা ডেক নেই—এর সাম্নের আর পিছনের সাধারণ খোলা ডেকগুলিতে থালাসী, আগুনঘরের মিস্ত্রী, ফরাসী, আরব, মোপল, আনামী, বাবুরটী, যত হরেক রকমের লোকের প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড মধ্যে আর খোলা ডেকের চতুর্থ শ্রেণীর যাত্রীদের পাত শতরঞ্জী, কম্বল আর চ্যাটাইয়ের ফঁাকে একটু আধটু । দাড়াবার জায়গা পায়, তাতে দাড়িয়ে আবশুক মনে করলে বাইরের গোলা হাওয়া একটু ক’রে সেবন ক’রে যায়।

డా-*

কোইয়া-সানের যাত্রী শ্রী প্রবোধচন্দ্র বাগচী ঘে-দিন কোইয়া-সানের তীর্থযাত্রী হয়ে নারা ( Nara ) থেকে বেরিয়েছিলাম সে-দিনকার কথা ভুলবার নয় । আজ পাঁচ বছরের কথা। দিন পঞ্জিক রাখিনি। কিন্তু মনের শো-তে্যুকু ভাইশি পটে যে-ছবি আঁকা রয়েছে—ইতিহাসের স্মৃতি যে-ছবিকে সজীব ক’রে দিয়ে গেছে সে ছবি মুড়বার নয়। সেদিন প্রাতে উঠে আমরা নারার তপোবনের পথ বেয়ে চলেছি--- কোইয়া-সান রওনা হ'ব ব’লে । বসন্তের হাওয়া এসে তপল এই “উদীয়মান-সুর্যেPর দেশে লেগেছে। জাপান ফুলে ফলে সেজে উঠেছে। জাপানের ঘাটে বাটে, বনে ও কন্দরে সে শোভা পরিস্ফুট হয়ে উঠেছে। সুন্দরীর কিমোনোতে (Kimono) বসস্তের সে রাগ ধরা পড়েছে। নারার তপোবনের তপন এক অপূৰ্ব্ব শোভা হয়েছে। তপোবনতর পল্লবিত তয়ে উঠেছে। সাকুর-হানায়ক্ষ গছ ভরে উঠেছে। উমেী তখন কুঁড়ি থেকে সব বেধোয় নি। শীতের বাতাসে আড়ষ্টতা তখনে তার কাটেনি। এমন পথ বেয়ে আমরা চলেছি। ঝিলের পাশ থেকে হরিণশিশু এসে তার অভিবাদন জানিয়ে গেল। অশ্রমের মন্দির থেকে ভিক্ষু শাক নিয়োরাইয়ের (Shaka-niyoraiশাক্য তথাগত) গুণগান করলেন—ও পশ্চিমমুখী হয়ে বুদ্ধের জন্মভূমির উদ্দেশ্বে তার ভক্তির অঞ্জলি দান করলেন। মন্দির-চুড়ায় বসে পাখী তার সহানুভূতি জানিয়ে গেল। আমাদের মনটাও শ্রদ্ধায় ভ’রে উঠলো। ভারতের হারাণে ও চিরপ্রিয় আদর্শ নিয়ে গড় এই আশ্রমকে জাপান কেমন

  • Sakura-no-hana : Cherry slowers i Ume-no-hana—plum flowers