পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

- b-8२ কনফুসিয়স কথা। এই কোইয় পৰ্ব্বত প্রায় তিন হাজার ফুট উচু— :fTrsi (Yamato province) fositif: “R: gi $rgifta-stigmi (Yoshino gawa) i *Enfoi ristā ধারে অবস্থিত। মারা থেকে আমরা ৯টার ট্রেণে রওনা হ’লাম। পথের দু’ধারে জাপানের মনোহর প্রকৃতি---পাতায়, ফুলে ভ'রে হাস্ছে। মাঝে মাঝে ছোট পাহাড় পল্লবিত দেবদারুতে শোভিত হয়ে অভিনব দৃশু উৎপাদন করেছে। নীচে ছোট ছোট নদী ছুটে চলেছে। এই প্রকৃতিই জাপানকে সুন্দর ক'রে তুলেছে ; জাপানীকে আর্টিষ্ট করেছে। তাই জাপানী প্রবাসী—অশ্বিন, ১৩৩৪ চিত্রকরের তুলিকাপাতে [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড


SJAAA AA AASASSAAAAAAS AAASASASSJSJMMMAJ

এই প্রকৃতি সহজভাবে মূর্তি পেয়েছে—জাপানী কবির গানে ইয়াম-কাওয়ার ( পাহাড়ীয় নদীর ) প্রতিধ্বনি ধর দিয়েছে। কোইয়-সানের পথে হোরি-উ-জীর বিখ্যাত মন্দির । নারার থেকে সাত মাইল দূর। এই হোরি-উ-জীই হচ্ছে জাপানের সব চেয়ে প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দির–৬০৭ খৃঃ অব্দে রাজকুমার শো-তোকু নিৰ্ম্মাণ করিয়েছিলেন । এটা জাপানী বৌদ্ধদের সব চেয়ে বড় তীর্থস্থান। প্রায় দেড় হাজার বছর ধ’রে এই মন্দির দাড়িয়ে রয়েছে। অনেক অংশ তার জীর্ণ হ’য়েছে। কিন্তু জাপানী বৌদ্ধদের মনে সে-মন্দির বর্তমান যুগেও নিত্য নূতন ভাব জাগিয়ে তোলে। হোরি-উ-জীতে ভারতের অনেক খাটি জিনিষের সন্ধান মেলে। সেগুলি চীনেদের হাত দিয়ে পরিবর্তিত হ’য়ে আসেনি। খৃষ্টীয় ষষ্ঠ-সপ্তম শতাব্দীর লেখা সংস্কৃত পুর্থী এখান থেকেই পাওয়া গেছে। ভারতে বা চীন দেশে কোথাও এত পুরাতন সংস্কৃত পুথী মেলে নি। শুধু মধ্য-এশিয়ার মর ভূমিতে সম্প্রতি এর থেকে পুরাণে সংস্কৃত পুর্থীও কুড়িয়ে পাওয়া গেছে। হোরি-উ-জীতে থাটা ভারতীয় শিল্পের নিদর্শনও মেলে । সম্প্রতি আচাৰ্য্য সিলভ},-লেভি জানিয়েছেন যে, হোরি উ-জীর ভিক্ষুদের ভিতর কেহ কেহ ভারতীয় সঙ্গীতকলার খোজ রাখেন। খৃষ্টয় ষষ্ঠ-সপ্তম শতাব্দীতে ভারতবর্যের ভিক্ষুরা জাপানে যে-সব সুর আমদানী করেন, ভিক্ষু-পরম্পরায় হোরি-উ-জীতে তার আলোচনা ও শিক্ষা ছিল এবং এখনও কিছু আছে। আচাৰ্য্য লেভি হোরি-উ-জীর ভিক্ষুদের গীত সেই সুরের স্বরলিপি ক’রে নিয়েছেন এবং ত’ শীঘ্রই প্রকাশ করবেন লিখেছেন। ষষ্ঠ-সপ্তম শতাব্দীতে ভারতের দুই একটি রাগ কি ভাবে গীত হ’ত তার আভাস কিছু এর থেকে মিলবে আশা করা যায়। 添 嶺 辦 辦 আমরা কোইয়-সানের যাত্রী। হোরি-উ-জীতে বেশী থাম্বার সময় নেই। ফুলেভরা বনভূমি দিয়ে দেবদারুভরা উপত্যক দিয়ে ও ছোট ছোট স্রোতস্বতীদের বুকের উপর দিয়ে প্রায় দু’ ঘণ্টা পরে কোইয়া-গুচি (Koya-guchi) ষ্টেশনে পৌঁছলাম। গুচি মানে হচ্ছে দ্বার। কোইয়া