পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৭৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্য। ] দেখায়নি। এর প্রায় পচিশ বছর পরে (৫৪৫-৫৫২ খৃঃ অঃ) কোরিয়ার অন্তঃপাতী কুদার (Kudara) জনপদের রাজা জাপান-সম্রাটের সাহায্যপ্রার্থী হন ও সেই সময়ে দু’বার বুদ্ধমুৰ্বি, ও বৌদ্ধশাস্ত্রের গ্রন্থ উপহার স্বরূপ পাঠান। এই সূত্রে জাপানের সঙ্গে একটা নিকট-সম্বন্ধ স্থাপনের ইচ্ছাই তার বেশী ছিল। জাপান প্রথমে বিশেষ আগ্রহ না দেখালেও কুদরার রাজা ভগ্নোৎসাহ হ’লেন না । ৫৭৭ খৃঃ অঃ তিনি 烹 কোয়ান্নন –অবলোকিতেশ্বর পুনরায় জাপানে উপহার পাঠালেন—প্রায় দু’শো বৌদ্ধগ্রন্থ, বুদ্ধমূৰ্ত্তি নিৰ্ম্মাণের জন্য ভাস্কর, ও মন্দির নিৰ্ম্মাণের জন্ত স্থপতি । মন্দির প্রতিষ্ঠাকল্পে ভারতীয় ভিক্ষু ভিক্ষুণী দু’জনকে এই সঙ্গে জাপানে পাঠান হ’ল । নানি-ওয়া (Nani-waবর্তমান ও-সাকা O-saka) নগরে বৌদ্ধ মন্দির প্রতিষ্ঠা হ'ল এবং কোরিয়া থেকে প্রত্যাগত কয়েকজন জাপানী রাজকৰ্ম্মচারী এতে বিশেষ উৎসাহ প্রকাশ করলেন। এর পরই শো-তোকু তাইশির আবির্ভাব। শো-তোকুর হাতে ক্ষমতা আসার পরই তিনি e %= a কোইয়া-সানের যাত্রী b一8Q বৌদ্ধধৰ্ম্মকে জাতীয় ধৰ্ম্ম বলে ঘোষণা করলেন। বহু সমারোহে সমুদ্রতীরে “শি-তেন-নো জির" (shi-tennoji চতুৰ্দ্দিকৃপালের মন্দির–‘জি মানে মন্দির ) মন্দির নিৰ্ম্মাণ করা হ’ল । সেই সঙ্গে ভিক্ষুদের জন্ত শিক্ষা-বিভাগ খোলা হ’ল । বৃদ্ধ ও দরিদ্রের বাসস্থান, রোগীর আরোগ্যশালা ও ভৈষজ্যালয়ের ব্যবস্থাও হ’ল । কেঙ্গে-বুজি মন্দির—কোইয়াসান, কোরিয়া ও চীন থেকে যে-সব অর্ণবপোত জাপানে আস্তে সেগুলি প্রথমে এই স্থানে ভিড় তো । সেইজন্ত বিদেশীদের অবস্থানের জন্য পান্তনিবাসেরও স্বষ্টি হ’ল । অতিথি-সৎকারের কার্য্যে কোনো ফ্রট না হয় সে-বিষয়ে মন্দিরের পুরোঠিতের দৃষ্টি রাখতেন। এই আতিথেয়তার ধার জাপান আজও বজায় রেখেছে । শো-তোকু দেশের শাসন-প্রণালীর সংস্কার করেন । এই নূতন শাসন প্রণালীর প্রথমেই তিনি ধৰ্ম্মের কথা তুলেছেন। প্রজার নৈতিক উন্নতিই প্রথম দরকার। কোইয়ণদানের পথে-মন্দির