পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৮৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] ASAMAMA AMMMAMAMMAAAS AAAAA AAAA AAAA SAAAAA AAAAA এবং মাঝে মাঝে স্ত্রীর প্রহার খায় ও তাহাকেও ع - ... করিবার চেষ্টা করে। উগ্ৰচণ্ডার মেজাজ সেদিন বড়ই সপ্তমে চড়িয়াছিল, রাত্রেও তাহার কাংসকণ্ঠের চোটে প্রভার ঘুম ভাঙিয়া গেল। মহিলাটি থাকেন দোতলায়, তিনতলায় এক গুজরাট পরিবার বাস করে, তাহাদের অনেকগুলি ছেলে মেয়ে। রাত্রে তাহার একটু বেশী উৎসাহে খেলা করিতেfz«I ■ **f« §i<E Corfai Csfri, Damned Madrasi swine! একদম্ শোনে নেহি শেকৃতী ! ক্যা উপর দুম দুম কর্তা ?” সঙ্গে সঙ্গে মেমসাহেবের শয়নকক্ষের জানলাট হড়াং করিয়া খুলিয়া গেল, এবং অকথ্য ইংরেজী এবং রেঞ্জনী হিন্দিতে অনবরত গালাগাগির স্রোত বহিয়৷ চলিল । প্রভা বলিল, “মাগো মা, উপরের মানুষগুলো কি ? এসে ওর দাত ক’টা কিলিয়ে ভেঙে দিতে পারে না ? এত মা বাপ তোলা গাল হজম করছে কি ক’রে ? আমি যে বাঙালীর মেয়ে, আমারই রক্ত গরম হয়ে উঠছে। তোমার রাগ হচ্ছে না ।” হীরেন বলিল, “ওরা যদি দিব্য গাল হজম করতে পারে ত করুক না ? আমি ওদের হয়ে রাগ করতে যাই কেন ? আমি কেবল ভাবছি, যে, এই কালিনী মেম সাহেবটি ভারতীয়মাত্রকেই মান্দ্রাজী ঠিক করল কি ক’রে ?” প্রভা বলিল, “ওপরের গুজরাটগুলির জুতার তলায়ও মম দাড়াতে পারে না । হিংসেয় বোধ হয় জলে মরে তাই অত গাল দেয় । তা না হ’লে ছেলেপিলের হুড়েছড়িতে মেয়ে-মামুষের মাথায় ঘুম চড়ে যায়, এতো কখনও দেখিনি । আমার নন্দিনীটিরও সাপ্তাহিক চীৎকারের রাত ত ঘনিয়ে এল, সেদিন বোধ হয় মেম আমার চোঁদপুরুষের শ্ৰাদ্ধ করবে।” হীরেন বলিল, “খুব ত সাহস দেখিয়ে এলে, এখন কেমন ক’রে আত্মরক্ষা কর দেখা যাবে। আমি কিন্তু মোটেই এগোবোন, তা বলে রাখছি।” প্রভা বলিল, “আচ্ছ, এগিয়োনা। তুমি কি ভাব ছ আমার সাহায্য করবার লোক নেই? আমার আয়াকে সেই রাত্রে রেখে নেব এখন। সে গালাগালিতে মেম উগ্ৰচণ্ড SSAS SSASAS SSASAJMMA SMAAASAA S SSSSS レ・QQ AAAAAA AAAA AAAAMMMeMMeMMAMMSeAAAS সাহেবকেও হার মানাতে পারে। আর হাতাহাতি হয় যদি, ত আমি নিজেই পাব। পশ্চিমে মানুষ হয়েছি বাপু, কোনো কালো পেত্নীকে ডরাই না।” হীরেন হাসিয়া বলিল, “দেখাই যাবে।” কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে রণরঙ্গিনীর সঙ্গে প্রভার যুদ্ধে ডাক পড়িল না। তাহার মেয়ে রাত্রে যথারীতি চীৎকার করিয়া গেল, এবং সারা রাত মা বাবাকে নাচাইয়। ফিরিয়া ভোরের দিকে ঘুমাইয়া পড়িল। কিন্তু এত গোলযোগের মধ্যেও পাশের বাড়ীর মেম সাহেব দিব্য ঘুমাইয়া রছিলেন। বেলা ন’টায় ঘুম হইতে উঠিয় প্রভ। বলিল, “থাক, মেম সাহেব মান্দ্রাজী না হ’লে গাল দেন না বোঝা গেল । কিন্তু গুজরাটকে তিনি ধখন মান্দ্রজী ভাবেন, তখন বঙালীকেও মন্দ্রিাজী ভাবতে তার বেশ কঃ পেতে হ’ত ন৷ ” হীরেন বলিল, “ছোট ছেলের কায় ভেবে হয়ত কিছু বলেনি।” প্রভা বলিল, “থাক্ না। ওর মধ্যে অতটুকু মনুষ্যত্ব আছে কিনা ? সেদিন উপর তলার ছেলেদের গোলমালে গাঙ্গ দিল না ?” হীরেন বলি, “গোলমাশে তার মা-বাবাও বেশ খানিকট যোগ দিয়েছিলেন । আর গাল ত ও ছেলেদের দেয়নি, দ্বিচ্ছল তার মা-বাবাকেই। অথবা এও হ’তে পারে, তিনি গত রাত্রে খুব বেশী খোশ মেজাজে ছিলেন।” হঠাৎ রাস্তায় বিকট কোলাহল শুনিয়া স্বামী স্ত্রী দু-জনেই ছুটিয়া বারানায় বাহির হইয়া আসিল। দেখা গেল মেম সাহেবের মেজাজ রাত্রে যেমনই থাকিয়া থাক, সকাল বেলায় মোটেই প্রসন্ন নাই। গাড়ী চড়িয়া সবে তিনি কোথা হইতে ফিরিয়াছেন এবং বারান্দায় দাড়াইয়৷ গাড়ীওয়ালাকে তাহার বক্তৃতা-শক্তির সমুনা দিতেছেন। গাড়ীওয়ালাকে চার আন মাত্র পয়সা দেওয়ায় সে তাহ লইতে অস্বীকার করিতেছে, মেম তাহাকে বুঝাইতেছেন যে কুলীর গাড়ীকে তিনি ইহার বেশী দিতে পারেন না। “চলা যাও ম্যান, চলা যাও। কুলী গাড়ীকে কেতনা মিলেগী ? ক্যা ইয়ে তুমার মোটর গাড়ী হায় ?” ক্রুদ্ধ গাড়োয়ান বিকট মুখভঙ্গী করিয়া বলিল, “আরে বহুৎ বড় মেম হায়! মোটর মে তুম কভি চড়া মেম্‌ ?”