পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৮৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

bやや তা এদেশের প্রবেশিকার শিক্ষণর চেয়ে ভাল ও বেশ । নরওয়ের জমি অনুর্বরা ; তবু ব্যবসা-বাণিজ্য দ্বারা, খনিজ সম্পত্তি ও শিল্প দ্রব্যের দ্বারা ঐদেশ ধনী হয়েছে। কোনো অনেক বৎসর আগে আমাদের দেশে গবন্মেণ্টের প্রাচীনলিপি-পাঠক হ’য়ে এসেছিলেন এবং পরে বিশ্বভারতীর সংস্কৃতের অধ্যাপক হয়েছিলেন । আমাদের, দেশে মানা রকমের লিপি আগে প্রচলিত ছিল, সে-সব পড়বার স্বদক্ষ লোক আমাদের দেশে যথেষ্ট ছিল না । এইঞ্জস্থ্য ভারত গবৰ্ণমেণ্ট নরওয়ের য়ুনিভার্সিটি থেকে একে এনেছিলেন। ইনি বিশ্বভার তাতেও কিছুদিন ছিলেন। এ রা নিজের দেশের সাহিত্যাদির চর্চা ক'রেও অন্য দেশের ভাষা ও সাহিত্যচর্চা করেন, এমন শিক্ষণবিস্তার হয়েছে এদেশে । চেষ্টা থাকলেই মানুষ বড় হয়। ১৯২১-২২ সালে এদের রাজস্ব হয়েছিল প্রায় ৬০ কোটি টাকার সমান। ২৬ লক্ষ লোকের জুহু এত টাকা খরচ হ’তে পারে। নরওয়ের সম্পদের প্রধান কারণ অরণ্যানী এবং মাছ ধরার ব্যবসা । ময়মনসিংহ জেলায়ও তো মাছের ব্যবসা হ'তে পারে। অরণ্য থেকেও আয় হ’তে পারে। কিন্তু সেগুলোর মালিক আমরা মই। সুইজারল্যাণ্ডে ৪০ লাখ লোকের জষ্ঠ সাতটা বিশ্ববিদ্যালয় আছে। তা ছাড়া অন্য সব রকমের স্কুল কলেজ আছে। প্রাথমিক শিক্ষা অবৈতনিক ও ছেলেমেয়ে উভয়ের জন্ত বাধ্যতামূলক। এরা যে কতটা সভ্য জাতি, তা বোঝা যায় এতে, যে, এদেশে ৬• • • লাইব্রেরী আছে, আর বই আছে প্রায় ৯৪ চুরানব্বই লাখ। এদেশের রাজস্ব ১৯২২ সালে হ’য়েছিল প্রায় ২৫ কোটি টাস্কার সমান। এতক্ষণ যে-সব দেশের কথা বলা হ’ল, সেগুলা সবই ভারতবর্ষের মত মাটির দেশ, সোনারূপার নয় ; এবং তাদের অধিবাসীরাও মানুষ, দেবতা বা অতিমাধুর্য নয়। শিক্ষিত, ধনী ও শক্তিশালী আমরাও হতে পারি, যদি চরিত্রবান, জ্ঞানী, পরিশ্রমী, ও স্বাধীন হ’বার ও স্তে প্রাণপণ চেষ্টা করি । তামার নরিস বক্তব্য এখানে শেষ হ’ল । এখন অন্য কয়েকটি কথা বলতে চাই। এটা তরুণ-সন্মিলনী। সেইজন্ত তরুণ যারা বিশেষ করে তাদেরই আমি কিছু বলব। কালিদাসের রঘুবংশের প্রথমেহ আছে, “বাগধাবিবসম্পৃক্তে বাগথপ্রতিপত্তয়ে । জগতঃ পিতরে বলে পাৰ্ব্বতীপরমেশ্বরেী ॥" সেই শ্লোকটি পড়বার সময়ে আমরা শিখেছিলাম, “পিস্তরে” শব্দে মাতা ও পিতা দুজনকেই বোঝাচ্ছে, যদিও মাত৷ শব্দের উল্লেখ নাই। তেমনি আমি যখন তরুণদের কথা বস্ব, তখন বুঝতে হবে আমি শুধু পুরুষদের কথা বলছি না, মাতৃ-জাতির কথাও বসূছি। তাদেরও শক্তি আছে, তাদেরও কৰ্ত্তব্য আছে। অবশ্ব শিক্ষার অভাবে সকলের মধ্যে সে-শক্তির উপযুক্ত স্ফুরণ হয় নাই । আমাদের দেশে নারীই তো শক্তিরূপিণী ব’লে বৰ্ণিত হয়েছেন । জ্ঞানের অধিষ্ঠাত্রী দেবীও নারী। অথচ এখন নারীদের মধ্যেই শিক্ষার বিস্তার নাই । এটা মস্ত প্রহসন । আমার যা নিবেদন তা তরুণ তরুণ উভয়েরই প্রতি । আমরা ত মৃত্যুর আহ্বান শুনেছি, মৃত্যুর দূত যে কোনো সময় আসতে পারে, কিন্তু অনেক কাজ আমাদের করতে বাকী রয়ে গেছে। কিন্তু আমার খুব দৃঢ় বিশ্বাস, যাংলাদেশের ছেলেমেয়ের চেষ্টা করলে সে-সব করতে পারবে। কেউ কেউ বলতে পারেন, আমি স্বদেশপ্রেমে অন্ধ হয়ে এ কথা বলছি। কিন্তু আমি স্বদেশপ্রেমে অন্ধ হ'লেও সব কথা বিচার ক’রে বলতে চেষ্টা করি। প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ নরওয়েরই অধ্যাপক ষ্টেন্‌ , [ ২৭শ ভাগ,১ম খণ্ড ASA SSASAS SSAMAASAMA AJJJJJJAAASAAAS * ...--مع ) ...rم .حمر م.ہ ’’. --م۔ আমি ভারতের অনেক জায়গায় গিয়েছি, বিদেশেরও কিছু কিছু দেখেছি। আমার মনে হয় ন, বাংলার ছেলেমেয়ের অস্তর্নিহিত শক্তিতে অস্ত কোন দেশের ছেলেমেয়ের চেয়ে নিকৃষ্ট । আমি অবখ্য বাঙালী যুবকদের তরুণীদের অহঙ্কারী করতে চাই না। আমি আমার কাগজে খুব রূঢ় কথা লিখে অনেককে বেদন দি বটে, কিন্তু আমার মনে ংলার শিশু থেকে আরম্ভ ক’রে সকলের প্রতি প্রতি, বিশ্বাস ও শ্রদ্ধা আছে । আমি যদি কবি হ’তাম.তাহলে তা ভাল ক’রে প্রকাশ করতে পাৰ্বতাম। কবি যুখন মই, নীরস গদ্যেই জানাথ ! যাদের বয়স বেশ হয়েছে অথচ প্রাণটা নবীন রয়েছে, যারা প্রাশে চিরবসন্তের আহবান শুনেছেন, তরণের প্রতি আমার যে প্রাথন, সেটা তাদের কাছেও পৌছাতে চাই । ময়মনসিংহ জেলার যার তরুণ, নারী কি পুরুষ,তাদের কাছে আমি এই দাবী করছি, আয়তনে ও লোকসংখ্যায় ময়মনসিংহ যে-সব ভূখণ্ডের সমতুল্য, অন্ত সব রকমেই এ জেলাকে সেইসব দেশের সমতুল্য যকৃতে হবে। ২৬ লাখ, ৩০ লাখ, ৪০ লাখ লোক কি হতে পারে, কবৃতে পারে, তা আমি দেখিয়েছি। তা আমাদের দ্বারা কেন হবে না ? বলতে পারেন, আমাদের স্বযোগ নাই, অবস্থা প্রতিকুল । সুযোগ কখন কখন নিজ থেকে দ্বারে ধাক্কা দেয় বটে, কখন কখন অবস্থা অমুকুল হ’য়ে পড়ে বটে, কিন্তু অনেক সময়েই হযোগ করে নিতে হয়। এক ‘স্ববিরোধী জিনিস ছাড়া মামুষের পক্ষে আর কিছুক্ত অসম্ভব নয় । আপনার তো দেখছেন, আগে যা বল্পনা ছিল, তা' সবই এখন হয়েছে । পুষ্পকরথ তো আর এখন কল্পনার জিনিস নয়। কথিত আছে, ইন্দ্রঞ্জিৎ মেঘের আড়াল থেকে যুদ্ধ কয়েছিল । অনেক মানুষ আজকাল এরূপ যুদ্ধ করে, বাঙালীর ছেলেও ফ্রান্সে এরোপ্লেনের যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছে। এখন রেডিওর সাহায্যে প্রতিনিয়তই আকাশবাণী শোনা যাচ্ছে । সুতরাং কিছুই অসম্ভব বলা যেতে পারে না । ংস্কৃতে আছে যুবিব ধৰ্ম্মশীল; স্তাং । ইংরেজীতে তেমনি আছে, The glory of a young man is his strengh I as to কথা। যুবকের ধৰ্ম্মশীল হবে, এ কথার মানে এ নয় যে, যুবকের বনে গিয়ে সন্ন্যাসী হয়ে মৃত্যুর অপেক্ষা করবে ; এর অর্থ আসরা এই বুঝব যে, যৌবনের ধৰ্ম্ম যা তাই তাদের গ্রহণ করতে হবে। তরুণের ধৰ্ম্ম বা লক্ষণ হচ্ছে শক্তি, সেই শক্তি আপনাদিগকে অর্জন করতে হবে । শিকড় মাটিতে প্রোধিত হ'লে গাছ পত্রপুষ্পফলে মুশোভিত হয়। একটা বড় বাড়ী করতে হ’লে তার ভিত বেশ পাকা চওড়া করে করতে হয় । তেশ্বনি শক্তির গোড়ার ডিনিস সতেজ শক্তিমান দেহ । অবস্থ যে ব্যক্তি চিরশ্ন, সে যে কোন কাজ করতে পারে না, তা নয়। কিন্তু রায় দুকবল জাতি বড় কিছু কখনও করতে পারে না। শিক্ষানীতির একটা গোড়ার কণা তাছে, সুস্থ বলিষ্ঠ মনুষ্যনামধারী প্রাণী তৈরী করা। খুব সোজা সত্যি কথাও অনেকে বড় লোকের নাম না জব্‌লে মানতে চান না। তাই বলি, হাবাৰ্ট স্পেন্সার উপর শিক্ষাবিষয়ক প্রবন্ধে একথা বলেছেন। আপনার তরুণেরা সকলের আগে শরীরট তাজা করুন। আমি এখানকার পিটা ইস্কুল দেখতে গিয়েছিলাম, সেখানে ছেলেদের মুখ দেথে অনেককেই বেশ সুস্থ মনে হ’ল, এতে আমি বড় স্বর্থী হয়েছি। ভাল ক'রে খেতে দিতে পারলে, একটু খেলার জায়গা দিলে, আমাদের দেশের ছেলেরাও মানুষ হ’তে পারে, তাদের শরীর ও মনের শিরদাড়া খাড়া থাকৃতে পারে। দেহকে স্বস্থ রাখার ওস্ত যা যা’ করা দরকার তার কথা তো আমাদের ছেলেমেয়ের পাঠশালা থেকেই পড়ছে, কেবল কাজে কয়ূলেই হয়। সংযম, অবিলাগিতা খুব দরকার । ঋধিরা যে ব্রহ্মচর্য্যের কথা বলে গিয়েছেন.