পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] তরুণদের সেই ব্রহ্মচর্য পালন করা উচিত। ব্রহ্মচর্য মানে অবশ্ব সন্ন্যাসী হওয়া বা কুচ্ছ সাধন করা নয়। মানুষকে ভগবান যে-সব শক্তি দিয়েছেন সেগুলির ঠিক্‌ ভাবে স্বব্যবহার করাই ব্রহ্মচার্য। তাতেও সন্ন্যাসী হতে বা কৃষ্ণসাধন করতে বলা হয় নাই। “ যুক্তাহারবিহারশ ” হতে হবে, উপযুক্ত রূপ আহার-বিহার করতে হবে, আর জীবনে আনন্দকে পেতে হবে। উপযুক্ত কোন কোন লোকের সন্ন্যাসী হওয়ার বিরোধী আমি নষ্ট । একটা জাতির কি করা উচিত, তারই কথা হচ্ছে। ১.১১ বৎসর বয়সে বাংলা ইস্কুলে vভূদেব মুখোপাধ্যায়ের পুরাবৃত্তদারে আমরা পড়েছিলাম, স্পার্টার লোকদের দৃঢ় করবার জন্য লাইকার্গাদ খুব কঠোরতা অবলম্বন করেছিলেন, স্পাটাবাদীর দৃঢ় ও বীর হয়েচিলও বটে। কিন্তু এথেন্সের লোকের সকল রকম বিদ্যায়, শিল্পে, সাহিতো, সঙ্গীতে, ভাঙ্গর্যো, কৃতিত্ব লাভ করেছিল । তাদের আদর্শ জগতে এখনো চলছে. অথচ বীরত্বেও তার স্পার্টার সমকক্ষই ছিল । অামাদের আদর্শ সৰ্ব্বাঙ্গীন হওয়া টাই। আননা তার বিলাস ও আমোদপ্রিয়তা এক ডিনিস নয়। আনন্দ খুব উচু জিনিস। বিলাসী সেই আনন্দ পায় না, গরা যা পায় তা মেকী। উপনিষদে আছে, আনন্দ থেকেই সব উৎপত্তি, আপার যেদিন সব লুপ্ত হলে সেদিন সবই আনন্দের মধ্যে পুনঃপ্রমেশ করলে । তানন্দের ভিতর দিয়েই আত্ম পুষ্টিলাভ করে। ডাক্তারের বলেন, আনন্দের সঙ্গে যা খাওয়া যায় তা যেমন সত্বকে পরিপাক হয়, রোর করে গিলিযে দিলে তেমন হয় না । শিক্ষণতত্ত্ববিদেরাও বলেন. বালকদিগকে শিক্ষা দিতে হবে আননের ভিতর দিয়ে, নইলে সন্থলে নুতন জ্ঞান হৃদয়মনপ্রাণের জিনিষ ক'রে ফেল৷ মায় না। এমন্তই আমি বলেছি, সংযমের সঙ্গে আনন্দ চাই । তরুণের তষ্ঠা কয়েকটি লক্ষণ, সাহস, অভয়, আত্মবিশ্বাস ও আত্মনির্ভর । তা নইলে কিছু করা যায় না। আর দরকার শ্রদ্ধাপান হওয়া—শ্রদ্ধাবান লভতে জ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিদ্ধপের ভাব, বাঙ্গের ভাল থাকলে শিক্ষা হয় না। দুঃগের বিষয়, বঙ্গের কোথাও কোথাও এই বিক্রপের ভাবট, অকালবিজ্ঞতাটা কিছু বেশী। তরুণের আর-এক লক্ষণ মরণের চিস্তাকে মনে স্থান না দেওয়া । অন্তর্নিহিত অমরত্বে বিশ্বাস তরুণের লক্ষণ। সময়ের হিসাব করে, বয়সের হিসাব করে তার কোন কাজে প্রবৃত্ত হন না। আজ সকল দেশেই একটা ইয়ুথ মুভমেন্ট অর্থাৎ তরুণ-প্রচেষ্টা আরম্ভ হয়েছে । যাদের মনটা বুড়ে হয়ে গেছে, অনেকের ১৫১৬ বছরেও হয়ে যায়, তাদের কিছু বলবার নাই । অতীতের উপাদক যারা, তাদের কাজের পরিচয় তো আপনার দেখছেনই,জরাগ্রস্ততার ও প্রাচীনতার কীৰ্ত্তির পরিচয় তো আপনারা পেয়েছেনই। এখন তাজ! লোকদের কাজ নূতন পথ খুজে বের করা । ভীরু হ’লে চলবে না। শিশু প্রথম পৃথিবীকে দেখে বিস্ময়ভরে একটা নূতন জিনিস হিসাবে। শিশু যখন ষ্টাটুতে শিখে তখন সে বারবার পড়ে গিয়েও দমে না, কিছুতেই কোলে থাকতে চায় না, নিজে হাঁটুতে চায়। শিশুর মতন মন ও চোখ দিয়ে প্রাচীন পৃথিবীকে নূতন করে দেখতে হবে, নুতন করে তাকে গড় তে হবে। পুরোনো জিনিসকে একেবারে অগ্রাহ করতে বলছি না, তাকে নুতন করে গ্রহণ করতে হবে। পুরাতনের ময়মনসিংহ যুবকসম্মেলনের প্রথম অধিবেশনে সভাপতির অভিভাষণ ৮৬৭ ...,’ - .است SSAS SSAS SSAS SSAS SSAS SSY অভিজ্ঞতাকে অবখ্য শ্রদ্ধা করতে হবে, কিন্তু তাকে অন্ধভাবে বিশ্বাস ক’রে নিজের প্রত্যক্ষজ্ঞানলাভের ক্ষমতা বাল দিলে চলবে না। তরুণের অন্ত এক লক্ষণ—আইডিয়্যালিজ ম্ বা আদর্শে বিশ্বাস। অর্থাৎ যা বাস্তব, চোখে যা দেখি, কানে যা শুনি, তাই সত্য নয়, যা হওয়া উচিত তাই সতী । Fact is not truth. সত্য যা তা ধানের fঞ্জনিষ। ময়মনসিংহের সম্বন্ধে মা সত্য তাকে ধ্যানের ভিতর দিয়ে দেখতে হবে, দেখতে হবে ৪৮ লক্ষ লোক সাহসে নবীন, জ্ঞানে প্রবীণ হয়েছে ; স্বাধীন হয়ে বিশ্বপ্রেমিকের ধৰ্ম্মে দীক্ষা লাভ করেছে । তাজ মা তথ্য ( fact ), তা তো চলে যাচ্ছে সময়ের সঙ্গে । ময়মনসিংহের শতকরা ৯৪ জন লোক নিরক্ষর, এই তথা দিনের পর দিন মিগা হচ্ছে। কিছুদিন পরে এই তপ্য বদলে যেতে পারে, একেবারে মিথ্যা হয়ে যেতে পারে। আর যা সত্য তা ক্রমে প্রকাশ পায় । সত্যকে মনশ্চক্ষুতে ধারণ ক’রে নিতে হবে । ভারতবর্ষের সম্বন্ধে নানারকম তথা দেখিয়ে পাশ্চাতোরা যখন আমাদের অভিভূত করতে চায়, বলে, যে, “তোমরা এত অশিক্ষিত, দুর্বল, সামাঙ্গিক কুপ্রথায় জর্জরিত, তোমাদের মধ্যে এত গৃহবিবাদ," তপন আমাদের বলতে হবে,"তোমরা যা বল্ছ তা তথ্য হতে পারে বটে ; কিন্তু আমাদের সম্বন্ধে তাই সতা নয়, আমরা যা হ’তে চাই, যা হ’তে চেষ্টা করছি, তাই হচ্ছে সত্য ।” তরুণেরা ধ্যানের ভিতর দিয়ে স্থির করুন কি তাদের হওয়া চিত এবং তারই উপাসনা করুন। কিন্তু শুধু আইডিয়ালিজম হ’লেই চলবে না। মানসী মূৰ্ত্তিকে - বাইরের রূপ দিতে চেষ্ঠা করতে হবে। যা হওয়া চাই করা চাই ক’লে মনের ভিতর স্থির করবেন, বাইরে তাই হতে হবে করতে হবে। তারপর আশাশীলতা—সবকিছুষ্ট হতে পারে ও হবে। ভারতবর্ধ যত মহৎ, যত ভাল, যত স্বাধীন হ’তে পারেন, ঠিক কি প্রণালী অবলম্বন করলে তা হতে পারেন, সে-বিষয়ে আমি আমার অজ্ঞতা স্বীকার করছি, ঠিক কোনো প্রণালীই আমি বলে দিতে পাবৃছি না। কিন্তু তা ব'লে কোন প্রণালীই নাই, একথা আমি মানি না। আমি মৃত্যুর দ্বারে এসে পড়েছি, তবু আমি আশাহীন হইনি। তরুণেরাও আশা রাখুন, উপায় বের করুন। বাধা বিস্তু তো আছেই, কিন্তু বাধা বিস্তু আছে অতিক্রম করবার জন্য । সংগ্রাম ক’রেই তো মানুষের শক্তির বিকাশ হয়। এমসি ম বলেছেন, He who wrestles with me strengthens me, “cĩ stxt# #* #fờ 3Rỹ, CH *THT:# বলিষ্ঠ করে । কোনমতেই দম্বেন না, অদম্যতা তারুণ্যের লক্ষণ । তরুণের পঞ্চম লক্ষণ, অমরত্বে বিশ্বাস। চিরবসন্তের হাওয়া তরুণদের উপর বয়ে যাচ্ছে, অনির্বাশ অগ্নি রয়েছে তাদের মধ্যে। তরুণরা যে আত্মাহুতি দিতে পারে, কেন পারে ? কারণ তারা জানে, যে, সেবা অমর, নিষ্ফল সেবা নিষ্ফল আহুতি ব’ল কিছু নেই, সেবা যে দেবধিদেবের চরণে প্রদত্ত অঞ্জলি, তিনি অবিনাশী, তিনি যৌবনের দেবতা, তরুণদের রাজাধিরাজ। আমি যদি ঋষি হতাম, কবি হতাম, চিরতরুণতার বন্দন রচনা ক’রে আপনাদের শোনাতাম । কিন্তু সে সামর্থ। আমার না থাকলেও শ্রদ্ধা নিবেদন করুবার অধিকার আছে। তরুণকে ও চিরতরুণতার উৎসকে আমি নমস্কার করছি। (سبرہہ مر*..، بیہہ رہے۔ ی.پی.یہ۔ --مہ۔