পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯০৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] আত্ম-প্রতিষ্ঠার জন্ত আজিকার এই নামগুলি মুছিয়া ফেলিয়৷ পথঘাটের অন্ত নামকরণ করিতে পারেন এবং করিবেন । আমার মনে হয়, এর চূড়ান্ত মীমাংস হইবে সেদিন যেদিন কলিকাতার কোন পথের নামে কোন লোকের নাম যুক্ত থাকিবে না এবং মার্কিনের নিউইয়র্ক প্রভৃতি সহরের মতন আমাদের সহরেও রাজপথের নাম ১ নং, ২ নং, ৩ নং, এইরূপ নম্বর ওয়ারী হইবে। সিলেট মেস্ আমি প্রথম কলিকাতায় আসি তখন বিশ্ববিদ্যালয়ের তত্ত্বাবধানাধীনে কোন ছাত্রাবাস বা মেস্ ছিল না। মফঃস্বল হইতে যে-সকল ছাত্র কলিকাতায় কলেজে পড়িতে আসিতেন, তাহার নিজেরাত বাড়ী ভাড় করিয়া একসঙ্গে বাসা বান্ধিয় কলিকাতায় থাকিয় পড়া শুনা করিতেন । ভিন্ন ভিন্ন জেলার ছাত্রের নিজদের এক-একটা ছাত্রাবাস ঘথন গড়িয়া তুলিতেন । এইরূপে ত্রিপুরা হইতে যাহার আদিতেন তারা ত্রিপুর মেসে থাকিতেন । ঢাকার অনেক গুলি যুবক কলিকাতায় পড়াশুনা করিতেন ; এইজন্য ঢাকার দুটা মেস ছিল । ইঙ্গর মধ্যে ৩০নং মুসলমান পাড়া লেনের BBB BBKKB BYS gg SBBB BBB BSBBB বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্তী ছাত্রের স্মৃতি জড়িত ছিল । বোধ হয় আনন্দমোহন বস্তু মহাশয় এইখান হইতেই গণিতে অনৰ্ব পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করিয়া, পরে প্রেমচাঁদ রায়চাঁদ বৃত্তি লইয়। বিলা ত যান । ৮রজনীনাথ রায়, ৬ শ্রীনাথ দত্ত, শ্ৰীক্ত শশিভূষণ দত্ত, প্রভৃতি সেকালের বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বলতম রত্ন-সকল, অনেকেই মুসলমান পাড়ার সঙ্গে সংস্পৃষ্ট ছিলেন । এইজন্স সে-যুগের কলিকাতার ছাত্রাবাস-সমূহের মধ্যে মুসলমান পাড়ার এই মেস একটা আভিজাত্য লাভ করিয়াছিল। বরিশালেরও বোধ হয় একটা স্বতন্ত্র মেস ছিল। তখনও যশোর ও খুলনা পৃথক হয় নাই। একই জিলা ছিল। যশোরখুলনার একটা মেস্ ছিল । আমাদের শ্রীহট্টেরও একটা মেদ ছিল। আমি এইখানেই আধিয়া প্রথম উঠিলাম। সুন্দরীমোহন দাস মহাশয় আমার একবৎসর পূৰ্ব্বে কলিকাতায় আসিয়াছিলেন, ইহা পূৰ্ব্বেই কহিয়াছি। তিনি ! {{ সত্তর বৎসর E፦ዓ » সিলেট মেসেতেই ছিলেন। তার সঙ্গে আসিয়া আমিও এই দলেই ভিড়িয়া গেলাম । তখন ১৫ নং নিমু পানসামার লেনে শ্রীহট্টের ছাত্রদের আডড ছিল । একতালা বাড়ী। অনেকগুলি ঘর। বাড়ীর ছুটো খণ্ড ছিল। সিলেট-মেস্ হইলেও এখানে অন্য জেলারও কেহ কেহ ছিলেন । ইহাদের মধ্যে কুমারখালীর তিনজন ছিলেন। ঢাকার একজন, এবং উত্তর বঙ্গের একজন । ঢাকার প্রযুক্ত মনোমোহন দাস মেডিকেল কলেজে পড়িতেন। ইনি ডাক্তারা পাশ করিয়৷ এম-বি উপাধি শহয়। সরকারী কৰ্ম্ম গ্রহণ করেন । বহুবৎসর পরে ( ১৮৯৪ ) ইহার সঙ্গে মথুরায় সাক্ষাৎ হয়। তখন তিনি মথুরায় সরকার হাসপাতালের ডাক্তার ছিলেন । সম্ভবতঃ সে-জেলার সিভিল সাজ্জনের পদই লাভ করিয়াছিলেন। কুমারখালীর নবদ্বীপচন্দ্ৰ পাপ মহাশয় ও ডাক্তারা পড়িতেন। ডাক্তারী পরীক্ষা পাশ করিয়া ইনি নিজের গ্রামে ধাইয়৷ চিকিৎস। ব্যবসায় আরম্ভ করেন । বহুকাল পরে কুমারপালাতে ইহার সঙ্গে দেখা হইয়াছিল। পরলোকগত ডাক্তার চন্দ্রশেপর কালা মহাশয়ও আমাদের সিলেট-মেসে ছিলেন এবং এপান হহতেঙ্গ ডাক্তারী পরীক্ষ। পাশ করিয়া কিছুদিন মফঃস্বপে চিকিৎসা-ব্যবসায় অবলম্বন করিয়া শেণে কলিকাতায় আধিয়া হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক রূপে বিশেষ প্রতিষ্ঠা লাভ করিয়াছিলেন । ছাত্রাবাসের অধিকাংশ সভাই শ্রীহট্ট হইতে আসিয়াছিলেন। শ্রীহট্টের ব্রাহ্মণ কায়স্থ ও বৈদ্য ছাত্রেরাই এই মেসে থাকিতেন । শ্রীহট্ট সাহ-প্রধান স্থান । সাহাদের মনে) ও ব্রাহ্মণকায়স্থাদির মতনই উচ্চ শিক্ষা বিস্তার হইতেছিল। প্রাচীন সমাজে ইহাদের জল চল ছিল না বলিয়। নিমু পাপামার লেনের মেসে ইহাদের কেহ ছিলেন না, স্বতন্ত্র মেসে অথবা অন্যান্ত জেলার মেসে ইহাদের কেহ কেহ থাকিতেন । তবে এই মেস্-জীবনের প্রথম অভিজ্ঞত। জীবনের প্রথমে বিদেশে-বিভূমে আসিয়া নিঃসম্পর্কিত লোকের সঙ্গে এই আমার প্রথমে একত্র বসবাস করিতে হয়। আর প্রথম দিন এই ছাত্রাবাসে আহার করিতে বসিয়া অামার ভিতরে এমন একটা আঘাত লাগে ধাহা আজও