পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৩২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৬ষ্ঠ সংখ্যা ] সে পরের হবে.তবু তা মন জুড়বে। ছেলে হোক, মেয়ে হোক, তারা কি কিছু বোঝে ? নিজের খোজ কি তারা নিজে রাখতে পারে, ন জানে । উনিই তা একটি বুড়ে ছেলেমানুষ , নিজের কাপড় গামছা জামা জুতে, টাকা পয়সার হিসেব রাখা দূরে থাক, খেয়ে পেট ভল্ল কি না তাই কি ছাই ভালো করে বোঝেন ? ...থেরে উঠছেন, এমন সময় আরো দুটি ভাত দিলে, না না করেন, কিন্তু ভাতক'টি উঠে যায়, হামেস দেখেছি ...ঐ দু'টির ক্ষিণে ত’ পেটেই থাকৃত। ছেলেরা ত আরো কাচী, আরো অবোধ । এই কথাগুলোই আমি নিস্তারকে বললাম। নিস্তার বললে, “তাই মা ; যা বলেছ তাই । বেটছেলের কি মানুষের মত মাকুয, না, তাদের জ্ঞানগমি আছে । খাওয়ালে ত’ খেলে, না খাওয়ালে ত চাওয়া নেই। বড়চ্চেলে সুরু বড় মা-হাওটা ; যেদিন চলে আসি সেদিন আমার আঁচল চোখে দিয়ে সে কি তার কান্ন৷ ” বলে নিস্তার গালের ওপর থেকে চোখের জলের ধারা আঁচল দিয়ে মুছে ফেললে । আবার বললে—“সে-ও যত কাদে আমিও তত কাদি । কিন্তু ধীরু আমার সুবোধ ; সে বললে—“দাদা, কাঁদিস্নি, ম আমার আস্বে শুনে আমি একচোখে হাসি, একচোখে কাদি । ••• • • ••• ” বলে নিস্তার একটু থামূলে ... কিন্তু তখনি আবার বলতে লাগল,—“খেয়ে তাদের পেট ভছে না, এ আমি দিব্যদৃষ্টিতে দেখতে পাচ্ছি এখান থেকে ” নিস্তার ফুপিয়ে হঠাৎ কেঁদে উঠ ল । নিস্তার বলে,—“সুরুর রং ফসর্ণ, ধীর আমার কালোটি। তবে মুরু কেমন আপনভোলা, ধীরু বেশ গোছালে । ধীরুই তার দাদাকে চালিয়ে নেবে।”...ব’লে নিস্তার হাসতে থাকে । কাজে কৰ্ম্মে বড় ভাই ছোট ভাইয়ের তাবেদার এ বড় তামাসার কথা – নিস্তার বলছিল, “ছটিতে ঝগড়াঝাটি হয়, আবার মিলও বেশ ৷ ” আমি বললাম, লেখাপড়া শেখালে ত—” জননী SAJS JJSS J JAASAASAASAASAASAASAA bs" নিস্তার বললে, “পাঠশালে দিয়েছিন্তু দুটিকেই। পণ্ডিতের চাল ডাল মাইনে পাৰ্ব্বনীর হুকুম-হাঙ্গামা যে নিত্যি নিত্যি কত তার ঠিক নেই।...কেবল দাও আর দাও...কোথা পাই বলে মা, অত যে খালি জোগাব’ আর জোগাব । ছাড়িয়ে নিলাম ; ভাবলাম, যদি উপোস ক’রে পড়ার খরচ জোগাতে হয়, তবে পড় শেষ না হ’তে যে ম’রেই ধাবে ।” বুড়কে শিখিয়ে দিয়েছি,নিস্তারকে পিসি বলে ডাকতে। শুনে নিস্তার ভারি পুসী। বললে, মেয়েছেলে হওয়ার ঐ ত' মজ, বৌম, কেউ না ডাকূলে তার ফঁাকা ফাকা শন্তি শহি লাগে। তোমার যদি ঐ সোনাটুকুন না হ’ত, তবে নিস্তার বলে,—“তোমাদের চরণের আশীব্বাদে আমার মুরু ধীর একদিন রোজগার করবেই।--... তখন আমি রাজ-মাতা হ'ব বোমা-তুমি যেমন এখন রাজরাণী।”••• এই কথা ক’টি বলতেই তার চোখ ডাগর হয়ে ঝকৃঝকৃ করে ; আবার পরক্ষণেই নিবে যায়। নিস্তার বলুত— “সে দেখতে পাবে না তার সুর ধীরু রোজগার করছে, টাক। আনছে... . タぶ }ঃখে নিস্তারের চোথে জল আস্ত । আমি বলতাম, “তিনি স্বর্গ থেকে দেখবেন ; দেখে তোমার সুখে তার আত্মা সুখী হবে।” হঠাৎ মুক্ত এসে হাজির— বললে, “লা লা ওলা- কি করছি লা নিস্তার ?” তারপর চিপ ক’রে আমায় একটা নমস্কার ক’রে গা এলিয়ে দিয়ে ধপ ক'রে বসেই পা ছড়িয়ে দিলে। মুক্তর ਯੇ, কলকলনি স্বভাব। নিস্তার বললে—“বেীমায়ের সঙ্গে সুখ-দুঃখের কথা কইছি, বোন। ছেলে দুটাে—” মুক্ত চেচিয়ে উঠলে---*ছ—টে ...?”