পাতা:প্রবাসী (সপ্তবিংশ ভাগ, প্রথম খণ্ড).djvu/৯৬৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

సెరీఫి

  • メー、メ SMMMS SSSSSAAAASAASAAASJJJSJJSS AAASASASS

উপরে যে-সব ছোট ছোট স্বাধীন দেশের সংক্ষিপ্ত বৃত্তান্ত দিলাম, তাহাদের শিক্ষার বন্দোবস্ত যে প্রকার, বঙ্গের ছোট বা বড় জেলাগুলিতে তাহ নাই। তাহাদের শিক্ষার বন্দোবস্তের সহিত আমাদের জেলাগুলির শিক্ষার বন্দোবস্তের কত প্রভেদ, আমরা কত নীচে, তাহ প্রত্যেক জেলার লোকের চেষ্টা করিলেই নিদ্ধারণ করিতে পারিবেন। আমাদের অনুন্নত অবস্থার রাজনৈতিক ও সামাজিক কারণও অনুমান করিতে পরিবেন। আমরা তুলনার জন্ত পৃথিবীর সুসভ্য, সমুন্নত, শক্তিশালী, ধনী দেশসমূহের উল্লেখ করি নাই । ছোট ও অপেক্ষাকৃত অখ্যাতনাম দেশ কয়েকটির উল্লেখ করিয়াছি। তাঁহাদের সহিত তুলনাতেও আমরা পশ্চাতে পড়িয়া আছি। আমাদের অনেক নেতা দেশের জল্প প্রাণ দিবার নিমিত্ত যুবকদিগকে আহবান করিয়া থাকেন। আমরা বুদ্ধ ; প্রাণ দিবার প্রবৃত্তি (এবং অনেকে বলিবেন সাহস ) আমাদের নাই । সুতরাং তাহার জন্ত আহবান ও কাহাকেও করি না। কিন্তু দুটি অবস্থায় আমরাও সে আহবানের অর্থ বুঝিতে পারি। প্রথম, নারীর সন্মান ও সতীত্ব রক্ষার জন্য । বঙ্গে, এবং অন্ত কোন কোন প্রদেশেও, প্রাণপণ করিয়াও নারীর সম্মান ও সতীত্ব রক্ষার প্রয়োজন অনেক স্থলে ও অনেক সময় হইতেছে। রক্ষার চেষ্টায় প্রাণ যে যাইবেই, এমন নয়। চেষ্টা র্যাহার করিয়াছেন, তাহাদের সংখ্যা খুব কম। র্তাহাদের মধ্যে একমাত্র কুমিল্লার পুণ্যবান রমেশচন্দ্র বন্দ্যোপাধ্যায় হত হইয়াছেন। সৰ্ব্বত্রই নারীরক্ষার চেষ্ট হওয়া চাই। এপর্যন্ত আত্মরক্ষার চেষ্টায় যত জন বঙ্গনারীর প্রাণ গিয়াছে, নারীরক্ষণচেষ্টায় ততজন বঙ্গীয় পুরুষের প্রাণ যায় নাই। দ্বিতীয়তঃ, আমেরিকার ইউনাইটেড ষ্টেটুস্থ স্বাধীনতার জন্য যেরূপ যুদ্ধ করিয়াছিল,এবং অন্ত কোন কোন দেশ যেরূপ স্বাধীনতা-যুদ্ধ করিয়াছিল, ভারতবর্ষে সেরূপ যুদ্ধের যদি সম্ভাবনা থাকিত, তাহা হইলে দেশের জন্য প্রাণ দিবার আহবানের একটা সোজা মানে বুঝা যাইত । কিন্তু সেরূপ সম্ভাবনা আমাদের জীবিতকালে দেখি নাই । এইজন্ত আমরা পরিশ্রমে সমর্থ সকল পুরুষ ও নারীকে দেশের উন্নতির জন্ত জীবনের প্রত্যেক দিন, সপ্তাহ, মাস ও \-l.-l.***\, \. -്.**.". . . প্রবাসী—আশ্বিন, ১৩৩৪ [ ২৭শ ভাগ, ১ম খণ্ড JSAAAAAA SAAAAAS AAAAA AAAA AAAASASASSJSJSS -്.ബി. বৎসর উৎসর্গ করিতে দেখিলে আনন্দিত হইব । দেশের জন্ত থাটিতে খাটিতে যাহার মৃত্যু হইবে, তিনি ধন্ত । জানি, রাষ্ট্রীয় স্বাধীনতার কথায় মন যেমন মাতিয়া উঠে, এমন আর কিছুতে নহে। আমরাও স্বাধীনত চাই। ইতিহাসে পড়িয়াছি, কোন দেশ কি উপায়ে স্বাধীন হইয়াছে। তাহার কোনটারই আমাদের দেশের অবস্থার সহিত সম্পূর্ণ সঙ্গতি ও সামঞ্জস্য নাই। এইজন্ত যে যে দিকে অগ্রগতির ও উন্নতির পথ ভাল করিয়া দেখিতে পাই, তাহার কথাই বলি । হয় ত সেই সেই দিকে অগ্রসর হইতে হইতে স্বাধীনতার পথ ও দেখিতে পাওয়া যাইবে । আলেয়ার পশ্চাতে ধাবমান হওয়ার আমরা পক্ষপাতী নহি । অবশু, আমরা যাহাকে আলেয়া মনে করি, অন্য অনেকে তাহ মনে না করিতে পারেন। তাহার। যে আলো দেখিয়াছেন, তাহার । অনুসরণ করিবার সম্পূর্ণ অধিকার তাহাদের আছে । বিশ্ববিদ্যালয়ে দল পাকান অনেক জনের পরামর্শ ও মত অনুসারে যে-সব প্রতিষ্ঠানের কাজ হয়, তাহাতে প্রত্যেকেই যদি প্রত্যেক ব্যাপার ভাল করিয়া বুঝিয়া তৎসম্বন্ধে স্বাধীন ভাবে মত প্রকাশ করেন, তাহা হইলে তাহাকেই কাৰ্য্যনিৰ্ব্বাহের আদর্শ প্রণালী মনে করা যাইতে পারে । কিন্তু অনেক প্রতিষ্ঠানে লোভ, ভয়, চক্ষুলজ্জা, বন্ধুত্ব, আত্মীয়ত, অনির্দিষ্ট নানাপ্রকার লাভের আশা, টাকার বা অন্তকিছুর ঘুষ ইত্যাদি নানা কারণ বশতঃ স্বাধীন মত প্রকাশ হয় না। তা ছাড়া নানা উপায়ে দল পাকানও হইয়া থাকে। কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে নান উপায়ে আপ্তবাবু নিজের লোক এত ঢুকাইয়াছিলেন, যে, তাহার জীবিতকালে তাহার ও র্তাহার দলের প্রভুত্ব অক্ষুণ্ণ ছিল। এখন তাহার দলের প্রভাব কিছু কমিয়াছে বলিয়। দল পাকাইবার চেষ্টা পূৰ্ব্বাপেক্ষা বেশী করিতে হয়। কাজে কাজেই গবন্মেণ্টের যদি কোন একটা কাজ হাসিল করিবার ইচ্ছা হয়, তাহা হইলে সরকারী প্রধান শিক্ষাকৰ্ম্মচারীদিগকেও দল পাকাইতে হয়। তখন আপ্তবাবুর উত্তরাধিকারীরা চীৎকার জুড়িয়া দেন, যে, বিশ্ববিদ্যালয়কে